ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নগরে জোনাকি

প্রকাশিত: ০৭:১১, ১৪ এপ্রিল ২০১৬

নগরে জোনাকি

মাসুদ মহিউদ্দিনের নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘নগর জোনাকি’ প্রচার হচ্ছে বৈশাখী টিভিতে। নির্মাতা এ ধারাবাহিকে এসে তার নিজস্ব নির্মাণশৈলীতে এনেছেন পরিবর্তন। আছে আরও অনেক কিছু। লিখেছেন নাফিসা তাবাসসুম ‘নগর জোনাকি’ নিয়ে আলাপ করতে গেলে, পরিচালক প্রথমেই যে কথাটা বলবেন, ‘শূটিংয়ে আসেন প্লিজ। দেখে যান।’ মাসুদ মহিউদ্দিন এই যে আয়োজন করে শূটিং স্পটে ডাকছেন তার প্রধান কারণ, শূটিংয়ের কড়া ব্যবস্থাপনাটা দেখানো। এমনিতেই ঢাকার শূটিং স্পটগুলোর অবস্থা ভয়াবহ। অপরিচ্ছন্ন, বাথরুম থেকে সারাক্ষণ গন্ধ আসছে, প্রপস থেকে শুরু করে কিছুরই ঠিক নেই। কিন্তু ‘নগর জোনাকি’র অবস্থা আলাদা। ঝকঝকে বাথরুম, প্রত্যেক আর্টিস্টের জন্য আলাদা পানির বোতল, স্বাস্থ্যসম্মত আয়োজন, যখন যেটা লাগছে পাওয়া যাচ্ছে। মাসুদ মহিউদ্দিন বলছেন, ‘এই ব্যবস্থা আমি রেখেছি শূটিংয়ের পরিবেশটা ঠিক রাখার জন্য। পরিবেশই যদি ঠিক না থাকে, তাহলে তো কাজ ভাল হবে না। অথচ এসবের জন্য আলাদা করে সামান্য বাজেট রাখলেই চলে।’ ‘নগর জোনাকি’তে এসে নির্মাতা তার প্রচলিত নির্মাণের স্টাইল থেকে বেরিয়ে এসেছেন। মন দিয়েছেন গ্ল্যামারে, ঝকঝকে উপস্থিতিতে। কিন্তু সেটা আবার ভারতীয় সিরিয়ালের হুবহু কপিও নয়। এর আগে তার নির্মিত ‘আগুনপোকা’, ‘মায়া’, ‘নীল আকাশের কাল রং’, ‘নির্বিকার মানুষ’ কিংবা ‘নীল নাগরিক’-এর সঙ্গে ‘নগর জোনাকি’র তফাত অনেক। ‘বিগফিশ’ নামের একটি বহুমাত্রিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, কর্পোরেট অফিস, সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারি, তার ভেতরের ঈর্ষা, প্রেম- এগুলোই ‘নগর জোনাকি’র গল্পের উপাদান। চিত্রনাট্য লিখছেন রূপান্তর। জেনিকে দেখা যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে। রাইসুল ইসলাম আসাদ, ইন্তেখাব দিনার, নিলয়, প্রিয়া আমান, সোমা, সৌমি- অভিনয় করছেন আরও অনেকে। বৈশাখী টিভিতে প্রতি রবি থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ১৫ মিনিটে প্রচার হচ্ছে ধারাবাহিকটি।
×