ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মোওস্যাক ফনসেকার সদর দফতরে পুলিশের অভিযান

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ১৪ এপ্রিল ২০১৬

মোওস্যাক ফনসেকার সদর দফতরে পুলিশের অভিযান

বিশ্বের শত শত প্রভাবশালী ব্যক্তির কর ফাঁকির তথ্য ফাঁস হওয়ার পর আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসা আইনী পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মোওস্যাক ফনসেকার সদর দফতরে অভিযান চালিয়েছে পানামার পুলিশ। খবর বিবিসির। মঙ্গলবার পানামা সিটিতে এ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের পক্ষ থেকে চালানো এই অভিযানে দেশটির ‘সংগঠিত অপরাধ দমন ইউনিট’ এর সদস্যরাও অংশ নেন। কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে অভিযান শেষ হয়। মোওস্যাক ফনসেকার মাধ্যমে অফশোর লেনদেনের এক কোটি ১৫ লাখ নথি ওয়াশিংটনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টসের মাধ্যমে তা চলতি মাসের শুরুতে সারা বিশ্বের সংবাদ মাধ্যমে আসতে শুরু করে। এ ঘটনা পরিচিত হয়ে ওঠে পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারি নামে। বিশ্বের ধনী আর ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা কোন কৌশলে গোপন সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এবং গত ৪০ বছর ধরে মোওস্যাক ফনসেকা তাদের ক্ষমতাশালী মক্কেলদের কিভাবে কর ফাঁকি দিতে ও অর্থ পাচারে সহযোগিতা করেছেন তা বেরিয়ে আসতে থাকে এসব নথি থেকে। শুরু থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসা মোওস্যাক ফনসেকা বলছে, তাদের নথি ফাঁস হয়নি, হ্যাকড হয়েছে। আর তাদের কাজ নিয়ে কোন অভিযোগও এর আগে কখনও ওঠেনি। মোওস্যাক ফনসেকার সদর দফতরে অভিযানের পর পানামার এ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, গণমাধ্যমে এই ল’ ফার্মের ‘অবৈধ কর্মকাণ্ডের’ যেসব খবর এসেছে, সে বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ খুঁজতেই তারা তল্লাশি চালিয়েছেন। সদরদফতর ছাড়াও তদন্ত কর্মকর্তারা মোওস্যাক ফনসেকার সহযোগী কয়েকটি প্রতিষ্ঠানেও অভিযান চালিয়েছেন বলে ওই বিবৃতিতে জানানো হয়। দক্ষিণ সুদানে দুই ত্রাণ কর্মীকে গুলি করে হত্যা দক্ষিণ সুদানে বন্দুকধারীরা দুই ত্রাণ কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে। এ নিয়ে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধে ত্রাণ কর্মী নিহতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে গেল। বুধবার সহকর্মীরা এ কথা জানায়। খবর এএফপির। দক্ষিণ কোরিয়ার এই দুই নাগরিক কাজ করতে যাওয়ার সময় দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকায় নিহত হয়। তারা দুজনেই ল্যান্ডমাইন ও অবিস্ফোরিত বোমা নিরাপদে রাখার দায়িত্বে নিয়োজিত ড্যানিশ ডেমিনিং গ্রুপের (ডিডিজি) কর্মী ছিল। মর্মান্তিক এ হত্যাকা-ের কথা উল্লেখ করে ডিডিজের এক বিবৃতিতে বলা হয়, যানবাহনে হামলা চালিয়ে দলের দুই সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ডিডিজের প্রধান টমি হল বলেন, আমাদের নিহত এ দুই সহকর্মীর পরিবারের সদস্যদের আমি আন্তরিকভাবে সমবেদনা জানাচ্ছি। জাতিসংঘ জানায়, ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ সুদানে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে কমপক্ষে ৫১ ত্রাণ কর্মী নিহত হয়। এর পাশাপাশি এ গৃহযুদ্ধে আরও হাজার হাজার লোক প্রাণ হারায়।
×