ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

স্বাধীনতা কাপ ফুটবল ॥ মুক্তিযোদ্ধা ২-১ মোহামেডান

চ্যাম্পিয়ন মোহামেডানকে হারাল মুক্তিযোদ্ধা

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ১৩ এপ্রিল ২০১৬

চ্যাম্পিয়ন মোহামেডানকে হারাল মুক্তিযোদ্ধা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মোহামেডান বনাম মুক্তিযোদ্ধা দ্বৈরথ। তাতে জয়ী দ্বিতীয় দলই। ‘কেএফসি স্বাধীনতা কাপ ফুটবল’ ম্যাচে ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ২-১ গোলে হারিয়ে পূর্ণ তিন পয়েন্ট অর্জন করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে প্রথমার্ধে কোন দলই গোল করতে পারেনি। এটা ছিল উভয় দলেরই তৃতীয় ম্যাচ। আর মোহামেডানের দ্বিতীয় হার। তাদের পয়েন্ট ৩। গ্রুপে ছয় দলের মধ্যে তারা তৃতীয় থেকে নেমে গেল চতুর্থ অবস্থানে। পক্ষান্তরে মুক্তিযোদ্ধার এটি ছিল দ্বিতীয় জয়। ৬ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থানে তৃতীয়। টপকে গেল সাদা-কালোদের। ৯ ও ৬ পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে দুই ফেবারিট শেখ জামাল ধানম-ি এবং চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড। এর আগে মোহামেডান শেখ জামালের কাছে ২-০ গোলে হারে এবং একই ব্যবধানে হারায় উত্তর বারিধারাকে। আর মুক্তিযোদ্ধা নিজেদের প্রথম ম্যাচে ২-০ গোলে হারে চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারায় ১-০ গোলে। এই আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান। মঙ্গলবারের ম্যাচে তাদের খেলা দেখে হতাশই হয়েছেন গ্যালারিতে উপস্থিত দর্শকরা। তাদের খেলায় ছিল না কোন পরিকল্পনার ছাপ। আক্রমণগুলোর বেশিরভাগই ছিল নির্বিষ। প্রতিপক্ষের সীমানায় এসে খেই হারিয়ে ফেলে বার বার। ফরোয়ার্ডদের উপর্যুপরি ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো। তীব্র গরমের কারণে উভয় দলেরই ফুটবলাররাই তাদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারেননি। তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এর মধ্যেই খেলতে হয়েছে ফুটবলারদের। শুরুর দিকে অবশ্য কিছু সময় খেলায় আধিপত্য বিস্তার করে খেলে মোহামেডানই। মাঝমাঠে মাসুক মিয়া জনি ও উইংয়ে ইউসুফ সিফাত দ্রুতগতিতে একাধিকবার মুক্তিযোদ্ধার ডিফেন্স ভেঙ্গে ফেলেন। কিন্তু ভাগ্য সহায় না হওয়াতে গোলের দেখা পায়নি সাদা-কালো শিবির। ১০ মিনিটে সেনেগালিজ ডিফেন্ডার ইয়া ইয়া সাইয়ের বাঁ পায়ের ফ্রি কিক ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। ২৬ মিনিটে ইউসুফ সিফাতের নিচু ক্রস ছোট বক্সের ওপর থেকে মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন ইসমাঈল বাঙ্গুরা। প্রথমার্ধে মুক্তিযোদ্ধা উল্লেখযোগ্য কোন আক্রমণ শাণাতে পারেনি। ৬৫ মিনিটে আমিনুর রহমান সজীবের থ্রু পাসে মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষক মামুন খানকে একা পেয়েও দুর্ভাগ্যবশত গোল করতে পারেননি গিনিয়ান ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরা। দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে বল প্লেস করার চেষ্টায় তিনি ব্যর্থ হন। কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা পায় মুক্তিযোদ্ধা। এই ব্যর্থতার মাসুল দিতে হয় মোহামেডানকে। ৭৩ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ডানপ্রান্ত থেকে গোল মুখে ক্রস করেন নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড আহমেদ কোলো মুসা। বলটি বাঁক খেয়ে মোহামেডানের ডিফেন্স লাইনের ক্যামেরুনের ডিফেন্ডার পাউমি লন্ড্রির গায়ে লেগে আশ্রয় নেয় জালে (১-০)। কাক্সিক্ষত গোলের দেখা পেয়ে উজ্জীবিত হয়ে উঠে মুক্তিযোদ্ধা। ৮২ মিনিটে আবারও আঘাত হানেন আহমেদ কোলো মুসা। এবার ২৫ গজ দূর থেকে ডান পায়ের বক্র ফ্রি কিকে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি (২-০)। ইনজুরি টাইমে (৯০+২ মিনিট) বিশ্বনাথ ঘোষের কর্নারে হেড করে ব্যবধান কমান মোহামেডানের ইসমাঈল বাঙ্গুরা (১-২)। ফলে হতাশার হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় কাজী জসিমউদ্দিন জোসির শিষ্যরা।
×