ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হাসিমুখের নেপথ্যে

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ১৩ এপ্রিল ২০১৬

হাসিমুখের নেপথ্যে

‘আয় আয় চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা, চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা’ চাঁদ নিয়ে কত কবিতা গান লেখা হয়েছে তার কোন হিসাব নাই। চাঁদের দিকে তাকালেই মনে হয় কেউ যেন হাসিমুখে তাকিয়ে রয়েছে পৃথিবীর দিকে। চাঁদের বুড়ি চরকা কাটার শিশুতোষ কাহিনীর উৎপত্তি হয়ত এভাবেই হয়েছে। তবে বিজ্ঞানীদের সর্বশেষ গবেষণায় জানা গেছে, পৃথিবী অভিমুখে চাঁদের এই হাসিমুখ হয়ত সবসময় ছিল না। নাসার লুনার প্রস্পেক্টর মিশন ১৯৯০-এর দশক থেকে চাঁদের মেরু অঞ্চল পর্যবেক্ষণ কাজে নিয়োজিত ছিল। সেখানে হাইড্রোজেনের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর তারা সেখানকার একটি মানচিত্র তৈরি করেছে। চাঁদের অন্ধকার বিন্দুগুলো সম্পর্কে প্রচলিত ধারণা ছিল এগুলো গভীর গর্ত যেখানে সূর্যের আলো ঠিকমতো পৌঁছে না। যেহেতু চাঁদে বায়ুম-ল নেই। তাই চন্দ্রপৃষ্ঠে যে স্থানে সূর্যালোক সরাসরি পড়ে সে জায়গাটি আগুনের চেয়েও উষ্ণ। আর যেখানে সূর্য রশ্মি পৌঁছায় না সে অংশটুকু বরফের চেয়েও ঠা-া, যেমন গভীর খাদগুলো। ধারণা করা হয়, খাদগুলো আসলে জমাট বাঁধা বরফে পরিপূর্ণ। আরিজোনা অঙ্গরাজ্যের প্লানেটারি সায়েন্স ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী ম্যাট সিগলার বলছেন, মেরু অঞ্চলের গর্তগুলোর ঘনত্ব সবসময় একই রকম ছিল। হাইড্রোজেনের থেকে ধারণা করা যায়, কখনও বরফগুলোতে সূর্য রশ্মির স্পর্শ লেগে বরফ হাওয়া হয়ে উবে গেছে। বরফ নিশ্চিহ্ন হওয়ার সঙ্গে ওই অংশের চন্দ্রপৃষ্ঠের ঘনত্বও কমে গেছে। ফলে নিজের ভারসাম্য ঠিক রাখতে অক্ষের থেকে অন্তত ৬ ডিগ্রী ঘুরে যেতে হয়েছে। অতীতে হাজার হাজার বছরে চাঁদ এভাবে অক্ষের সঙ্গে হেলেদুলে নিজের ভারসাম্য ঠিক করে নিয়েছে বলে নতুন পর্যবেক্ষণ থেকে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন। -স্পেস নিউজ
×