ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দোষী সাব্যস্ত হলে রিজার্ভের অর্থ ফেরত দেবে ফিলিপিন্সের রিজাল

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ১৩ এপ্রিল ২০১৬

দোষী সাব্যস্ত হলে রিজার্ভের অর্থ ফেরত দেবে ফিলিপিন্সের রিজাল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাচারের মাধ্যমে টাকা নিয়ে আসার পরও ফিলিপিন্সের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন আরসিবিসি বলছে, দোষী সাব্যস্ত হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত দেবে। মঙ্গলবার সিনেটের পঞ্চম দফায় শুনানিতে এ কথা জানান ব্যাংকটির প্রেসিডেন্ট লরেনজো তান। তবে ঠিক কি পরিমাণ অর্থ ফেরত দেয়া হবে তা তিনি উল্লেখ করেননি শুনানিতে। এদিকে রিজার্ভ জালিয়াতির দু’মাস পরে ব্যাংকটির আইন শাখার প্রধান মাসেল এস্তাভিলু জানিয়েছেন, চুরি হওয়া অর্থ ছাড় বন্ধের জন্য ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঠানো বার্তা অস্পষ্ট থাকায় পেমেন্ট বাতিল করতে পারেনি আরসিবিসি ব্যাংক। তবে ফিলিপিন্সের সেই ব্যাংকের ‘বার্তা অস্পষ্ট থাকার’ বক্তব্যটিকে মেনে নিতে পারছে না বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, বার্তা পাঠাতে কোন ধরনের অস্পষ্টতা ছিল না। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ এ্যাকাউন্ট থেকে চুরির ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ফিলিপিন্সে পাচারের অভিযোগে ক্যাসিনো জাংকেট অপারেটর কিম অং এবং রিজাল কর্মাশিয়াল ব্যাংক কর্পোরেশনের মাকাতি সিটির জুপিটার শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মাইয়া সান্তোষ দিগুইতোর বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করেছে দেশটির এ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল (এএমএলসি)। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় টাকা উদ্ধারের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে অর্থমন্ত্রী, অর্থসচিব, কেবিনেট সচিব ও গবর্নরসহ সংশ্লিষ্টদের উক্ত রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে ‘সুইফট মেসেজ হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০১ মিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশী মুদ্রায় ৮০০ কোটি টাকা অর্থ লোপাটের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ফিলিপিন্সের আরসিবিসি ব্যাংকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার এবং বাকি অর্থ শ্রীলঙ্কায় পাচার হয়। এ ঘটনার পর দেশটির গণমাধ্যমসহ বিশ্ব মিডিয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। যে এ্যাকাউন্টগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়েছে ফিলিপিন্সে তা খোলা হয়েছিল প্রায় এক বছর আগেই। অন্যের সই জাল করে একটি হিসাব খুলেন ফিলিপিন্সের রিজাল ব্যাংকের জুপিটর শাখা ব্যবস্থাপক দিগুইতো। ওইসব এ্যাকাউন্ট খোলার জন্য যেসব ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল সেগুলোও ছিল ‘ভুয়া’। ঘটনা প্রকাশের প্রায় দুইমাস পর ফিলিপিন্সের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন আরসিবিসির প্রেসিডেন্ট লরেনজো তান বলেছেন, দোষী সাব্যস্ত হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত দেবে। মঙ্গলবার সিনেটের পঞ্চম দফায় শুনানিতে তিনি বলেন, ৮১ মিলিয়ন ডলার পাচারে তার ব্যাংক দোষী হলে অর্থ পরিশোধে তিনি বোর্ডকে অনুরোধ জানাবেন। এদিকে মুদ্রাপাচার বিরোধী সংস্থা, এএমএলসি জানিয়েছে, ফেরত পাওয়া অর্থের দাবিদার তৃতীয় কোন পক্ষ না হলে একতরফাভাবেই মামলা চলবে। আর এই অর্থ পেতে বাংলাদেশ ব্যাংককে বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। কারণ হিসেবে এএমএলসি বলছে, মামলা পরিচালনা এবং কিছু পদ্ধতিগত কারণের কথা। বার্তা অস্পষ্টতার জন্য পেমেন্ট বাতিল করতে পারেনি রিজাল ব্যাংক ॥ রিজার্ভের চুরি হওয়া অর্থ ছাড় বন্ধের জন্য ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঠানো বার্তা অস্পষ্ট থাকায় পেমেন্ট বাতিল করতে পারেনি ফিলিপিন্সের রিজাল ব্যাংক। মঙ্গলবার দেশটির সিনেট কমিটির পঞ্চম দফা শুনানিতে এমনটাই দাবি করেন ব্যাংকটির আইন শাখার প্রধান মাসেল এস্তাভিলু। তিনি বলেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৩টি অস্পষ্ট বার্তা আসে। ওইদিন আরসিবিসি সুইফট সিস্টেম থেকেও ৭৯০টি বার্তা পায় তারা। সেগুলোর মধ্যেও পেমেন্ট বন্ধ করার কোন বার্তা ছিল না। পরের দিন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পেমেন্ট বন্ধ এবং অর্থ ছাড় করা হয়ে গেলে তা জব্দ করার অনুরোধ আসে বলে জানান এস্তাভিলু। ব্যাংকটির আইন কর্মকর্তার বক্তব্যের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে জানতে চাইলে উর্ধতন এক কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, ওই ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক ওই এ্যাকাউন্টগুলোতে হ্যাক করে বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা নিয়ে আসা হয়েছে শুরু থেকেই জানতেন। জানার পরও ডলার জমা হলে তড়িঘড়ি করে তা ট্রান্সফার করা হয়। কিম অং ও দিগুইতোর বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ এএমএলসির ॥ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ এ্যাকাউন্ট থেকে চুরির ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ফিলিপিন্সে পাচারের অভিযোগে ক্যাসিনো জাংকেট অপারেটর কিম অং এবং রিজাল কর্মাশিয়াল ব্যাংক কর্পোরেশনের মাকাতি সিটির জুপিটার শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মাইয়া সান্তোষ দিগুইতোর বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করেছে দেশটির এ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল (এএমএলসি)। মঙ্গলবার ফিলিপিন্সের অর্থপাচার বিরোধী এ সংস্থা বিচার বিভাগের কাছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলা করার সুপারিশ করে। অর্থ পাচারের জড়িত থাকার অভিযোগে এক মামলায় রিজাল ব্যাংকের সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক দেগুইতো এবং জুপিটার শাখায় মিথ্যা তথ্যে ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খোলা চার ব্যবসায়ী মাইকেল ফ্রান্সিস ক্রুজ, জেসি ক্রিসটোফার লাগ্রোসাস, আলপ্রেড সান্তোস বারগারা এবং এনরিকো তেওদোরো ভাসকোয়েজ অভিযুক্ত করার অনুমতি চেয়েছে এএমএলসি। এ চার ব্যবসায়ীর এ্যাকাউন্টে রিজার্ভ চুরির টাকা স্থানান্তর করা হয়। আরেক মামলায় ক্যাসিনো জাংকেট ক্যাম সিন অং ওরফে কিম অং এবং ওয়াইক্যাংক ঝু’র বিরুদ্ধে রিজার্ভ চুরির অভিযোগ আনার অনুমতি চেয়েছে এএমএলসি। বিচার বিভাগে পৃথক দুই মামলা করার অনুমতি চেয়ে এএমএলসি বলেছে, তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ১৫ মে জুপিটার শাখায় ভুল তথ্যে চার ব্যবসায়ীকে এ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দিয়েছিলেন ওই শাখার ব্যবস্থাপক মাইয়া সান্তোস দিগুইতো। এ্যান্টি মানি লন্ডারিং সংস্থা আবেদনে আরও বলেছেন, ভুল তথ্যে এ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতির পর ওই চার এ্যাকাউন্টে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির টাকা স্থানান্তর এবং তুলে নেয়ারও অনুমতি দিয়েছিলেন জুপিটার শাখা ব্যবস্থাপক। এ্যাকাউন্টে আসা বিপুল অংকের এ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ এ্যাকাউন্ট চুরির মাধ্যমে আসা সম্পর্কে ই-মেইল বার্তাও পেয়েছেন দেগুইতো। ওই ই-মেইল বার্তায় টাকা পেমেন্ট বন্ধ করার অনুরোধও ছিল যা তিনি উপেক্ষা করেছেন। অধিকন্তু ওই টাকা উত্তোলনের সুযোগ করে দিয়েছেন ব্যাংক ম্যানেজার। তদন্ত রিপোর্টের উল্লেখ করে বিচার বিভাগকে এ কথা জানিয়েছেন এএমএলসি। এ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল বলেছে, রিজার্ভ চুরির টাকা ফিলিপিন্সে আসা এবং তা ভাগ-বাটোরায়ায় দেগুইতোর ভূমিকা প্রমাণ যে তিনি অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত। বিপুল এ অর্থ ফিলিপিন্সে পাচার এবং তা ভাগ-বাটোরায়া সঙ্গে পূর্বাপর উদ্বৃত করে এএমএলসি বলেছে, দিগুইতোর সম্পৃক্ততা নিয়ে সংশয় নেই। এএমএলসি আবেদনে বলেছে, সিনেট কমিটির গত ১৭ মার্চের শুনানিতে চুরির টাকা স্থানীয় মুদ্রায় রূপান্তরে জড়িত বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান ফিলরেমের প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের সূত্র ধরে ক্যাসিনো জাংকেট উইক্যাং ঝু’কে আসামি করা হচ্ছে। ওইদিনের শুনানিতে ফিলরেম কোম্পানির প্রেসিডেন্ট জানান, দেগুইতোর নির্দেশে টাকা উইক্যাং ঝু’র কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। এদিকে রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের মাকাতি সিটির জুপিটার শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মাইয়া সান্তোস দেগুইতোর বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলা করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট লরেনজো তান। সোমবার মাকাতি সিটি ট্রায়াল কোর্টে দায়ের করা মামলার একটিতে আরসিবিসি প্রেসিডেন্ট ৩২ মিলিয়ন পেসো ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন। মামলার আর্জিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ এ্যাকাউন্ট থেকে চুরির ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ফিলিপিন্সে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ঢুকিয়ে তা বিলি-বণ্টনে লরেনজো তানের জড়িত থাকা নিয়ে অসম্মানজনক মন্তব্য করেছেন দিগুইতো। একই কোর্টে দায়ের করা অপর মামলায় দেগুইতোর বিরুদ্ধে অসত্য বক্তব্য ও রিভাইজড প্যানেল কোর্ড লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। লরেনজো তান আর্জিতে বলেন, রিজার্ভ চুরি নিয়ে সিনেট কমিটির শুনানিতে দেয়া দেগুইতোর বক্তব্য ছিল ধারণাপ্রসূত। ওইসব বক্তব্য সত্যের অপলাপ মাত্র। পুরুষের মতো মায়ার মুখোমুখি হওয়ার পরামর্শ ॥ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় এবার ‘পুরুষ মানুষের মতো’ আচরণের প্রসঙ্গ উঠল। ফিলিপিন্সের আরসিবিসি ব্যাংকের জুপিটার শাখার প্রাক্তন ম্যানেজার মায়া স্যান্তোস দিগুইতোর বিরুদ্ধে ব্যাংক প্রেসিডেন্ট লরেঞ্জো ট্যানের করা মামলার ঘটনায় ফিলিপিন্সের সিনেটে পঞ্চম দিনের শুনানিতে মায়ার আইনজীবী ফার্দিনান্দ টোপাচি বলেন, সাহস থাকলে যেন মামলা করার বদলে ট্যান ‘পুরুষ মানুষের মতো’ তার এবং তার মক্কেলের মুখোমুখি হন। এর আগে প্রতিটি শুনানিতেই যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ নিউইয়র্ক ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার ফিলিপিন্সে পাচারের পেছনে ট্যানকে দায়ী করেছেন মায়া। তিনি ট্যানকে নিয়ে ‘কুরচিপূর্ণ মন্তব্য’ করেছেন, এমন অভিযোগে মায়ার বিরুদ্ধে সোমবার মাকাটি সিটি আঞ্চলিক আদালতে ৩ কোটি ২০ লাখ পেসোর মানহানির মামলা করেন ট্যান। ট্যানের দাবি, মায়া ও তার আইনজীবী যোগসাজশ করে অর্থ জালিয়াতির অপবাদ তার ওপর চাপাচ্ছেন। অথচ মায়া নিজেই সরাসরি জালিয়াতির অর্থ লেনদেনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। ট্যান বলেন, তার বিরুদ্ধে মায়া ও তার আইনজীবীর আনা অভিযোগ পুরোপুরিই অনুমান নির্ভর। টাকা উদ্ধারের নির্দেশ কেন নয়, হাইকোর্টের রুল ॥ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় টাকা উদ্ধারের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে অর্থমন্ত্রী, অর্থসচিব, কেবিনেট সচিব ও গভর্নরসহ সংশ্লিষ্টদের উক্ত রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার হাইকোর্টের জিনাত আরা ও এ কে এম জাহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রের পক্ষে ছিলেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি। গত ১৭ মার্চ সদ্য পদত্যাগকারী বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমানকে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন এই আইনজীবী। রিটে ড. আতিউর রহমানের গ্রেফতার ও পাসপোর্ট জব্দ করা, টাকা উদ্ধারের ব্যবস্থা, জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতারের নির্দেশনা এবং রিজার্ভ চুরির ঘটনা তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের আরজি জানানো হয়। রিটের অপর এক নির্দেশনায় অর্থ চুরির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে (ইউএসএ) দেওয়ানি আদালতে মামলা করার নির্দেশনা চাওয়া হয়। তবে মঙ্গলবার রিটের ওপর শুনানি শেষে শুধু টাকা উদ্ধারের জন্য রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রিটের বিষয়ে ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে যে টাকা গচ্ছা গেছে তার মালিক জনগণ। সংবিধানের অনুচ্ছেদ-(৭) এ অনুযায়ী সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৩(ক) অনুযায়ী মালিকানার নীতি জনগণের পক্ষে রাষ্ট্র মালিক। তাই জনগণের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের গবর্নর তার দায়িত্ব পালন ব্যর্থ। ব্যর্থ গবর্নরের বিচার হওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, ব্যাংক থেকে অর্থ (টাকা) পাচারের ঘটনা এক মাস আগের। কিন্তু সেটা প্রকাশ পায় এক মাস পর। এতে তার (গবর্নর) গাফিলতি প্রকাশ পায়। তাই ড. আতিয়ারকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত। তদন্ত কার্যক্রম চলছে রিট অনুযায়ী আবারও তদন্ত করতে হবে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত হচ্ছে তা ঠিক, তবে জুডিশিয়াল কমিশন গঠন না করলে তদন্ত সঠিক হবে না।
×