ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সিরাজদিখানে উৎপাদন দ্রুত কমছে

ফসলি জমির মাটি অবাধে যাচ্ছে ইটভাঁটিতে

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ১৩ এপ্রিল ২০১৬

ফসলি জমির মাটি অবাধে যাচ্ছে ইটভাঁটিতে

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে আইন অমান্য করে ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাঁটিতে। অনেকটা জোর-জুলুম করেই কেটে নেয়া হচ্ছে ফসলি জমির মাটি। ফলে কমছে ফসল আর বেকার হচ্ছে কৃষক। পরিবেশও পড়ছে হুমকির মুখে। সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের গুয়াখোলা-উত্তর গুয়াখোলা গ্রামের মধ্যবর্তী এলাকায় এ পর্যন্ত প্রায় তিন শ’ বিঘা ফসলি জমির মাটি ইটভাঁটিতে কেটে নেয়া হয়েছে। এখনও চলেছে মাটি কাটার এ মহোৎসব। ফলে ব্যাহত হচ্ছে কৃষি পণ্য উৎপাদন। সিরাজদিখানের ওই এলাকাটিতে প্রচুর কৃষি জমি রয়েছে। প্রতি বছর ফসলও হয় ভাল। এ থেকে কৃষকের আয় রোজগারও ছিল ভাল। কিন্তু গত কয়েক বছর যাবত সাইফুল বাহিনী নামে একটি প্রভাবশালী চক্র কৃষকদের বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শন, ওয়ারিশ পাওনা ও বিভিন্ন লোভ-লালসা দেখিয়ে সামান্য মাটির কথা বলে জমিতে মাটি কাটতে শুরু করে। কিন্তু একবার জমিতে মাটি কাটা শুরু করতে পারলেই তাদের আর ঠেকায় কে। পুরো জমি তাদের দখলে চলে যায়। তারা মাটি কাটার মেশিন (ভ্যাকু) বসিয়ে পুরো জমি এমন গভীরভাবে কাটে যে, তাতে পার্শ্ববর্তী জমির মাটিও কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভেঙ্গে পড়তে শুরু করে। তখন পার্শ্ববর্তী জমি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ওই জমির মালিকও তার জমি ওই ভূমি দস্যুদের কাছে চাপে পড়ে নামমাত্র মূল্যে জমির মাটি বিক্রি করতে বাধ্য হয়। এমনকি ওই মাটি ইটভাঁটিতে নেয়ার কোন রাস্তা না থাকায় সাইফুল বাহিনী পার্শ্ববর্তী ফসলি জমির ওপর দিয়ে জোর করে ট্রাক ভর্তি মাটি নিয়ে য়ায়। এতে এ সব জমির ফসলও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ বছরসহ গত কয়েক বছরে এভাবে মাটি কাটায় ওই এলাকার শত শত বিঘা জমি এখন খালে (প্রায় ১০/১৫ ফুট গভীর) পরিণত হয়েছে। ভূমি দস্যু এই চক্রটি এতই প্রভাবশালী যে, তাদের ভয়ে কোন জমির মালিক কিছু বলতে সাহস পায় না। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, জমির উপরিভাগের ১০ থেকে ১৫ ইঞ্চির মধ্যে থাকে পলি মাটি। একে বলে মাটির প্রাণ। মাটি কাটার ফলে জমির উর্বরতা শক্তি কমে যায়, যা পঞ্চাশ বছরেও পূরণ করা সম্ভব হয় না। সাইফুল বাহিনীর প্রধান সাইফুল ইসলাম জানান, আমি টাকার বিনিময়ে জমির মাটি ক্রয় করে বিভিন্ন ইটভাঁটিতে সরবরাহ করি। আইনে কি আছে তা আমার জানার দরকার নেই। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহিনা পারভিন বলেন, এমন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।খোঁজ নিয়ে ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রেমের ফাঁদে ফেলে ছাত্রীকে ধর্ষণ ॥ গ্রেফতার দুই স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ বাঘায় বিয়ের প্রলোভনে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে উপজেলার কেশবপুর এলাকা থেকে বাঘা থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। এরা হলো, মুক্তার হোসেন ও বিদ্যুৎ। জানা যায়, উপজেলার আলাইপুর গ্রামের এক স্কুলছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গত ৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় অপহরণ করে নিয়ে যায় কেশবপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে শান্ত ইসলাম। এ ঘটনায় তাকে সহায়তা করে তারই ছোট ভাই মুক্তার হোসেন, বন্ধু বিদ্যুৎ ও সখিবর। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণের পর প্রথম দিন তাকে রাজশাহী শহরে নেয়া হয়। এরপর ঢাকায় নিয়ে ধর্ষন করে পালিয়ে যায় তারা।
×