ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে বিশেষ প্রকল্পের টাকা আত্মসাত

প্রকাশিত: ০৪:০১, ১৩ এপ্রিল ২০১৬

যশোরে বিশেষ প্রকল্পের টাকা আত্মসাত

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) বিশেষ প্রকল্পের বরাদ্দকৃত ১০ টন চাল বিক্রি করে তার টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য উপশহরের বাসিন্দা আব্দুল ওয়াদুদ এ টাকা আত্মসাত করেন। ১০ টন চালের আনুমানিক মূল্য সাড়ে তিন লাখ টাকা। যশোর সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, নতুন উপশহরের ডি ব্লক স্কুল ও ই ব্লক স্কুল মাঠে মাটি ভরাট এবং রাস্তা সংস্কারকাজের জন্য এমপি কাজী নাবিল আহমেদের বিশেষ প্রকল্পের আওতায় গত ৭ জানুয়ারি ১০ টন চাল বরাদ্দ করা হয়। প্রকল্পের কাজ করার জন্য সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সভাপতি হয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ। এছাড়া আসাদুজ্জামান নান্নু, নাজমুল হুদা পনি, আব্দুল মান্নান, রানা হামিদ, শাহিনুর রহমান ও শাহিন খানকে সদস্য করা হয়। অথচ সাত সদস্যের কমিটির পাঁচ সদস্যই জানেন না মাটি ভরাট ও রাস্তা সংস্কারের কাজ না করে চাল উঠিয়ে বিক্রি করে টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। এ বিষয়ে কথা হয় প্রকল্প কমিটির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান নান্নুর সঙ্গে। তিনি বলেন, কমিটির সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ আমাকে কিছু না জানিয়ে চাল উঠিয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন। একই অভিযোগ করেন কমিটির অপর চার সদস্য যথাক্রমে আব্দুল মান্নান, রানা হামিদ, শাহিনুর রহমান ও শাহিন খান। তারা বলেন, আমাদের প্রকল্প আসার কথা বলে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় আব্দুল ওয়াদুদ। এর পর আমাদের আর কিছু বলা হয়নি। কবে চাল এসেছে, কবে বিক্রি করা হয়েছে এর কিছুই আমাদের জানানো হয়নি। এদিকে কাজ তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাজী আনোয়ারুল আলম জানান, আমি একা মানুষ কাজ দেখতে যেতে পারিনি। দায়িত্ব দিয়েছিলাম ফারুক হোসেন নামে এক প্রকৌশলীকে। কারণ অফিসিয়াল সব কাজই আমার একার করতে হয়। এ পর্যন্ত কোন কাজে অভিযোগ আসেনি। গৃহবধূর সন্ধান ৩৮ দিনেও মেলেনি স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ নিখোঁজের ৩৮ দিনেও সন্ধান মেলেনি গৃহবধূ হীরা বেগমের (২৪)। তার একমাত্র মেয়ে তিন বছরের শিশু হ্যাপী মাকে না পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোন সন্ধান মেলেনি হীরা বেগমের। তার অসহায় পরিবার থানা পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। হীরা বেগম কচুয়া উপজেলার কাকার বিল গ্রামের শেখ এসকেন্দার আলীর স্ত্রী। নিখোঁজ হীরা বেগমের মা তাছলিমা বেগম বলেন, হীরা বেগম শশুরবাড়ি থেকে গত ৩ মার্চ সকালে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার কথা বলে বের হয়। এর পর আর বাড়ি ফেরেনি। তার ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় জামাই এসকেন্দার আলী কচুয়া থানায় জিডি করেন।
×