ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হিলারি-মিশেল সম্পর্ক তিক্ততায় পূর্ণ

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ১৩ এপ্রিল ২০১৬

হিলারি-মিশেল সম্পর্ক তিক্ততায় পূর্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটন ও বর্তমান ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার মধ্যকার সম্পর্ক তিক্ততা ও ক্ষোভে পরিপূর্ণ। এমনকি আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী অগ্রগামী প্রার্থী হিলারি ও তার পরিবারকে খাটো করে দেখেন মিশেল। মার্কিন লেখক কেট এ্যান্ডারসন ব্রাউনারের নতুন প্রকাশিত বই ‘ফার্স্ট উইমেন : দ্য গ্রেস এ্যান্ড পাওয়ার অব আমেরিকাস মডার্ন ফার্স্ট লেডিস’-এ এমন বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে। খবর টেলিগ্রাফের। ২০০৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকে এই দুই নারীর মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। তখন হিলারিকে হারিয়ে মিশেলের স্বামী বারাক ওবামা ডেমোক্র্যাটিক দল থেকে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের জন্য মনোনীত হন এবং পরে তিনি প্রেসিডেন্টও নির্বাচিত হন। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত এই নতুন বইয়ে বলা হয়েছে, ২০০৮ সালের নির্বাচনী প্রচার হিলারি ও ওবামা শিবির উভয়ের মধ্যে গভীর ও দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি করেছে এবং যা এখনও আশ্চর্যজনকভাবে তাজা রয়েছে। ৫২ বছর বয়সী মিশেল এখনও ভুলতে পারেননি, হিলারি কিভাবে শ্লেষাত্মক স্বরে ওবামার ‘আশা ও পরিবর্তন’ বার্তাকে উপহাস করেছিলেন। হিলারি তখন ওহাইওতে এক নির্বাচনী সমাবেশে বলেছিলেন, আকাশ উন্মুক্ত হবে, আলো নিচে নেমে আসবে, স্বর্গীয় কল্যাণময় সঙ্গীত গাওয়া হবে এবং সবাই জানবে যে, আমরা সঠিক কাজটিই করব এবং বিশ্বও সুন্দর হবে। অপরদিকে সাবেক ফার্স্ট লেডিও ইলিনয়ের তখনকার নবীন সিনেটর ওবামার কাছে প্রাইমারিতে হেরে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। ব্রাউনার লিখেছেন, ক্ষমতাধর এই দুই নারীর মধ্যে বৈরিতার মধ্যেও ওবামা প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় হিলারির সংযম স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়। সরকারী কাজে হিলারি প্রায়ই ওবামার সঙ্গে বৈঠক করলেও মিশেল কখনও সাবেক ফার্স্ট দম্পতি বিল ও হিলারিকে হোয়াইট হাউস ডিনারে আমন্ত্রণ জানাননি। এর পরিবর্তে মিশেল ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার স্ত্রী জিলের সঙ্গে সম্পর্ককে বেশি অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
×