ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যুদ্ধাপরাধী বিচার

কিশোরগঞ্জের পাঁচ রাজাকারের রায় যে কোন দিন

প্রকাশিত: ০৬:১০, ১২ এপ্রিল ২০১৬

কিশোরগঞ্জের পাঁচ রাজাকারের রায় যে কোন দিন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় কিশোরগঞ্জের দুই সহোদর এ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন আহম্মেদ ও ক্যাপ্টেন নাসির উদ্দিন আহম্মেদসহ ৫ রাজাকারের বিরুদ্ধে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। রায় ঘোষণার জন্য ট্রাইব্যুনাল সিএভি ঘোষণা করেছেন। অর্থাৎ যে কোন দিন রায় ঘোষণা করা হবে। চেয়ারম্যান বিচারপতি এম আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সোমবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। এটি হবে ট্রাইব্যুনালের ২৩তম মামলার রায়। এর আগে ৬ বছরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মোট ২২টি মামলায় ২৬ জনকে দ- প্রদান করেছেন। এর মধ্যে ১৯ জনের মৃত্যুদ-, একজনের যাবজ্জীবন, একজনের ৯০ বছরের কারাদ- এবং ৫ জনকে আমৃত্যু কারাদ- প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে পতালক আছে ৫ জন। কিশোরগঞ্জের ৫ রাজাকারের মধ্যে একমাত্র এ্যাডভোকেট শামসুদ্দন আহম্মেদ গ্রেফতার হয়েছেন। অন্য ৪ জন এখনও পলাতক রয়েছেন। যারা পলাতক আছেন তারা হলেন, শামসুদ্দিনের ভাই সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মোঃ নাসিরউদ্দিন আহমেদ, ‘রাজাকার কমান্ডার’ গাজী আব্দুল মান্নান, আজহারুল ইসলাম ও হাফিজ উদ্দিন। তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় অপহরণ, নির্যাতন, হত্যা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে আদালতে। শুনানিতে প্রসিকিউশন পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন ও প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামি শামসুদ্দিনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম মাসুদ রানা। পলাতক অপর চারজনের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আব্দুস শুকুর খান শুনানিতে অংশ নেন। পরে প্রসিকিউটর সুলতান মুহাম্মদ সীমন জনকণ্ঠকে বলেন, তদন্ত কর্মকর্তাসহ প্রসিকিউশনপক্ষে ২৫ জন এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামিপক্ষে কোন সাক্ষী ছিল না। ‘দুইদিন উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে আদালত রায় অপেক্ষমাণ রেখেছেন। এখন যে কোন দিন রায় ঘোষণা হতে পারে।’ প্রসিকিউশন পক্ষ সাংবাদিকদের বলেছেন তারা ৭টি অভিযোগই প্রমাণ করতে পেরেছে। তারা আশা করছে আসামিদের সর্বোচ্চ দ- প্রদান করা হবে। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী বলেছেন, প্রসিকিউশন পক্ষ কোন অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। আসামিরা খালাস পাবেন বলে তারা মনে করছে। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন গতবছর ১০ মে এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করলে তিন দিন পর আদালত তা আমলে নেয়। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে গতবছর ১২ অক্টোবর পাঁচ আসামির যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করে আদালত।
×