ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

এবার হজে যাবেন এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১২ এপ্রিল ২০১৬

এবার হজে যাবেন এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি এবং হজ প্যাকেজ ২০১৬’র সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এতে সরকারী ব্যবস্থাপনায় হজব্রত পালনকারীর সংখ্যা দ্বিগুণ হবে। সংশোধিত নীতি ও প্যাকেজ অনুযায়ী, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় চলতি বছর হজব্রত পালনকারীর সংখ্যা ১৭ হাজার ১১০ জন হ্রাস করা হবে। এছাড়া বৈঠকে প্রতিবছর ২৮ এপ্রিল জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা দিবস পালনের প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, সৌদি সরকারের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে হজ নীতি ও প্যাকেজের সংশোধন করা হচ্ছে। এর ফলে চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে পাঠানো হজযাত্রীর সংখ্যা ১২ হাজার ১১০ ব্যক্তি হ্রাস পাবে এবং মোট ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ ব্যক্তি হজ পালন করবেন। আগে এই সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৬৮। সচিব বলেন, সংশোধিত (হজ) নীতি ও প্যাকেজের ভিত্তিতে সরকারী ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজারের স্থলে ১০ হাজার এবং বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ৮ হাজার ৮৬৮ স্থলে ৯১ হাজার ৭৫৮ মুসল্লি হজব্রত পালন করতে যাবেন। তিনি বলেন, হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়া, পরিবহন ও ক্যাটারিংসহ সব ধরনের অর্থ ই-পেমেন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। এ সঙ্গে কোরবানির অর্থ অনলাইনে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) জমা দিতে হবে। প্রত্যেক হজযাত্রীকে কোরবানির টোকেন সংগ্রহ করতে হবে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ বছর কেউ কোরবানি দিতে পারবেন না। প্রত্যেক হজ এজেন্সিকে ৫০ জনের স্থলে কমপক্ষে ১৫০ হজযাত্রী নিতে হবে। প্রত্যেক ফ্লাইটে ৪১৯ হজযাত্রীর জন্য ৩ মোয়াল্লেম থাকবেন। প্রত্যেক হজযাত্রীকে ওয়াটার কুলার চার্জ হিসেবে ১৫০ সৌদি রিয়াল দিতে হবে, যা তাদের অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ ১ হাজার সৌদি রিয়াল থেকে সমন্বয় করা হবে। হজব্রত পালনকারীদের তীব্র গরমের কষ্ট লাঘবে আরাফাত ময়দানে ওয়াটার কুলিং ব্যবস্থা থাকবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) মন্ত্রিসভায় নেয়া সিদ্ধান্তের প্রতিবেদন এই বৈঠকে পেশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ১৩টি মন্ত্রিসভা বৈঠকে ৭৯টি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর মধ্যে প্রায় ৪৯টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়েছে। এর সাফল্যের হার হচ্ছে ৬২.০৩ শতাংশ। এছাড়া ৩০টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। যা মোট সিদ্ধান্তের ৩৭.৯৭ শতাংশ। ওই সময়ে তিনটি নীতি বা কৌশল ও ৫টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক অনুমোদন ও ৯টি বিল সংসদে পাস করা হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে বাস্তবায়িত ৩৩টির সাফল্যের হার হচ্ছে ৫০ শতাংশ। অপর ৩৩টির বাস্তবায়ন হার ৫০ শতাংশ। সচিব বলেন, ২০১৫ সালের প্রথম ৩ মাসের চেয়ে ২০১৬ সালের একই সময়ে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার অনেক বেশি। এছাড়া বৈঠকে প্রতিবছর ২৮ এপ্রিল জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা দিবস পালনের প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২২ থেকে ২৭ আগস্ট স্কটল্যান্ড ও লন্ডনে দক্ষ উন্নয়নবিষয়ক কর্মকা- পরিদর্শন সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা এবং আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১৪ থেকে ১৫ মার্চ জার্মানি সফর সম্পর্কেও মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়।
×