ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে তরমুজ খেয়ে শিশুর মৃত্যু, অসুস্থ ৫

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১২ এপ্রিল ২০১৬

টাঙ্গাইলে তরমুজ খেয়ে শিশুর মৃত্যু, অসুস্থ ৫

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ১১ এপ্রিল ॥ টাঙ্গাইলে তরমুজ খেয়ে ফাহিম নামের ছয় বছরের শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। এ ঘটনায় এক ফল ব্যবসায়ীকে পুলিশ আটক করেছে। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে আরও চারজন তরমুজ ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আটক করা হয়। শিশু মৃত্যুর ঘটনায় ছয় সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম টাঙ্গাইলে অবস্থান করছে নমুনা সংগ্রহের জন্যে। তবে এখনও পর্যন্ত প্রকৃত ঘটনা জানা যায়নি। সোমবার বাংলাদেশ রোগতত্ত্ব গবেষণা ইনস্টিটিউটের ছয় সদস্যও একটি দল বিভিন্ন ফলের দোকান থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন। তবে এখনও পর্যন্ত এ ঘটনায় কোন মামলা হয়নি। এদিকে তরমুজ খেয়ে শিশু মৃত্যের ঘটনায় টাঙ্গাইলে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিপাকে পড়েছে ফল ব্যবসায়ীরা। রবিবার রাতে বাজার থেকে কিনে আনা তরমুজ খেয়ে এ মৃত্যের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একই পরিবারের আরও পাঁচজন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের মধ্যে দুজনকে টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। নিহত শিশু ফাহিম টাঙ্গাইল পৌর এলাকার বাবু মিয়ার ছেলে। অসুস্থরা হলো- নিহত ফাহিমের বাবা বাবু মিয়া ও দাদা মোমিন মিয়া। টাঙ্গাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান জানান, নিহত ফাহিমের দাদা মোমিন মিয়া রবিবার শহরের জগলু রোড়ের ফল ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামের কাছ থেকে একটি তরমুজ কিনে নেয়। পরে তা রাতে নিহত ফাহিমসহ ওই পরিবারের ৬ জনে খায়। এ সময় ৬ জন অসুস্থ বোধ করলে তাদের টাঙ্গাইল মেডিক্যাল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক ওই শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় রাতেই পুলিশ শহরের পুরান আদালত রোডের ফল ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামকে আটক করে। সে পৌর এলাকার থানাপাড়ার আব্দুল বারেকের ছেলে। টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক নূর মোহাম্মদ বলেন জানান ভর্তি হওয়া দুজনই এখন আশঙ্কামুক্ত। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ফুড পয়জনের কারণে এমনটা ঘটে থাকতে পারে। টাঙ্গাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, তরমুজ ক্রেতা মোমিন মিয়ার বক্তব্য অনুযায়ী শহরের চার তরমুজ বিক্রেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নমুনা পরীক্ষার জন্য তরমুজ সংগ্রহ করা হয়েছে। নমূনা পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে।
×