ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রায় বড় ধরনের কাটছাঁট

প্রকাশিত: ০৪:৩৯, ১২ এপ্রিল ২০১৬

রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রায় বড় ধরনের কাটছাঁট

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঘাটতির মুখে শেষ পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কাটছাঁট করা হলো। ২৫ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা কমিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৭২০ কোটি টাকা। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। বিশাল আকারে রাজস্ব ঘাটতি সমন্বয় করতেই লক্ষ্যমাত্রা কমানো হয়েছে বলে জানা গেছে। এনবিআর সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ লাখ ৮ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। নতুন লক্ষ্যমাত্রায় কমানো হয়েছে মোট রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও। সংশোধিত মোট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআর থেকে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হলো ১ লাখ ৫০ হাজার ৭২০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৫১১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটি আমদানি-রফতানি, স্থানীয় পর্যায়ের মূসক এবং আয়কর ও ভ্রমণ কর বাবদ আদায় করছে মাত্র ৯০ হাজার ৬৫৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। সে হিসেবে অর্থবছরের বাকি চার মাসে রাজস্ব আদায় করতে হবে আরো ৮৫ হাজার ৭১৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে প্রথম আট মাসে যে রাজস্ব আদায় হয়েছে, অর্থবছরের বাকি চার মাসেই প্রায় তার সমপরিমাণ রাজস্ব আদায় করতে হবে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সাধারণত অর্থবছরের শেষ দিকে রাজস্ব আদায় কিছুটা বেশি হয়। তবে চলতি অর্থবছর শেষে বড় ধরনের রাজস্ব আদায় ঘাটতি থেকে যাবে। কারণ বছরের শুরুতেই লক্ষ্যমাত্রা অনেক বেশি ধরা হয়ছে। সবকিছু বিবেচনা করে সরকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ঘোষিত ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে বাজেটে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে আয়কর খাতে ৬৫ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা, মূল্য সংযোজন করে (মূসক) ৬৩ হাজার ৯০২ কোটি টাকা এবং সর্বশেষ শুল্ক থেকে ৪৬ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
×