ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্লাস্টিক ও ফার্নিচার পণ্য রফতানিতে সরকারের নগদ ভর্তুকি

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ১২ এপ্রিল ২০১৬

প্লাস্টিক ও ফার্নিচার পণ্য রফতানিতে সরকারের নগদ ভর্তুকি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্লাস্টিক ও ফার্নিচার পণ্য রফতানিতে সরকার নগদ ভর্তুকি ঘোষণা করেছে। নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত প্লাস্টিক পণ্যে ১০ শতাংশ এবং ফার্নিচার পণ্যে ১৫ শতাংশ হারে ভর্তুকি প্রাপ্ত হবে। তবে দ্রব্য উৎপাদনের কোন পর্যায়ে ডিউটি ড্র-ব্যাক (কাঁচামাল আমদানিতে রেয়াত) সুবিধা গ্রহণ করা যাবে না। এছাড়া শুল্ক বন্ড সুবিধা প্রাপ্ত ও ইপিজেড এলাকায় অবস্থিত প্রতিষ্ঠানগুলো এ ভর্তুকি সুবিধা পাবে না। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি পরিপত্র জারি করে অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে। পরিপত্রে বলা হয়েছে, রফতানি পণ্যের হ্যান্ডেলিং, মানোন্নয়ন, প্রক্রিয়াজাতকরণে নির্বাহকৃত ব্যয় এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পরিবহন এবং ফ্রেজ চার্জ পরিশোধজনিত ব্যয়ের বিপরীতে ডব্লিউটিও বিধি অনুযায়ী ভর্তুকি প্রাপ্ত হবে। পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, রফতানি ঋণপত্র বা চুক্তিপত্রের আওতায় রফতানি পরবর্তী পর্যায়ে প্রণীত প্রমাণাদি কালেকশনের মাধ্যমে প্রত্যাবাসিত রফতানি আয়ের বিপরীতে এডি ব্যাংক শাখায় রফতানিকারকগণ রফতানির ভর্তুকির জন্য আবেদন করবেন। টিটির মাধ্যমে অগ্রিম মূল্য প্রত্যাবাসনের শর্তযুক্ত রফতানি ঋণপত্র বা চুক্তির বিপরীতে রফতানির ক্ষেত্রে বিদেশী ক্রেতার যথার্থতা বা বিশ্বাসযোগ্যতা, মূল্যের সঠিকতা এবং বাংলাদেশ হতে প্রকৃত রফতানির নিমিত্তে টিটির মাধ্যমে অগ্রিম মূল্য প্রত্যাবাসন সম্পর্কে টিটির বার্তার ভাষ্য ও অন্যান্য কাগজপত্রের ভিত্তিতে নিশ্চিত হতে হবে। এছাড়া নকল ক্ষেত্রে ভর্তুকির আবেদনপত্র বিদেশী সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নস্ট্রো হিসেবে রফতানির মূল্য আকলনের (রফতানি মূল্য প্রত্যাবাসন) তারিখের ১৮০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে দাখিল করতে হবে। নিয়মবহির্ভূত ভর্তুকি প্রদানের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, বিধিবহির্ভূতভাবে ভর্তুকি পরিশোধ করা হলে পরিশোধকৃত অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে রক্ষিত পরিশোধকারী ব্যাংকের হিসাব বিকলনপূর্বক আদায় করা হবে। সেইসঙ্গে সংঘটিত অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যাংক কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর আগে চামড়াজাত পণ্য রফতানিকারকরা আগের ১৫ শতাংশ হারেই নগদ সহায়তা পাবেন। চলতি অর্থবছরের এ খাতে নগদ সহায়তা আড়াই শতাংশ কমিয়ে সাড়ে ১২ শতাংশ করা হয়েছিল। অন্যদিকে, রফতানিমুখী দেশী বস্ত্র খাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র ব্যাকের পরিবর্তে নগদ সহায়তা এবং বস্ত্র খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অতিরিক্ত সুবিধা এক শতাংশ কমিয়ে ৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হলেও এখন ২ শতাংশ বাড়িয়ে ৬ শতাংশ করা হয়েছে। পাশাপাশি হিমায়িত চিংড়ি রফতানির বিদ্যমান সিলিং বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া পাটজাত রফতানি পণ্যে ১০ শতাংশ নগদ ভর্তুকি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
×