ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ১২ এপ্রিল ২০১৬

ঢাকার দিনরাত

আগের সপ্তাহে ছিল অনেক প্রাপ্তি আর স্বস্তি, অনেক রং অনেক আনন্দের ছড়াছড়ি। টেবিল ভরে উঠেছে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা কার্ডে। অনেক প্রতিষ্ঠান আবার নববর্ষের শুভেচ্ছা কার্ডের সঙ্গেই পাঠিয়েছে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র। সত্যি বলতে কি প্রতিটি কার্ডেই বাঙালিয়ানা নান্দনিকভাবে প্রকাশিত। বাংলা লোকজ সংস্কৃতির বর্ণিল মোটিফ দিয়ে সাজানো এসব কার্ড দেখে মনেও লাগে রং, আর বাঙালী হিসেবে এক গভীর গৌরব ও আনন্দ এসে হৃদয়ে বাঁশি বাজিয়ে যায়। ‘শুভ নববর্ষ’ কথাটি কত বিচিত্র হস্তাক্ষরেই না উৎকীর্ণ এসব আমন্ত্রণপত্রের খামের ওপর। আহা আমাদের প্রাণের বর্ণমালা। বাঙালীর কবি রবীন্দ্রনাথ বৈশাখ নিয়ে এমন কিছু গান রচনা করেছিলেন যেগুলোর প্রথম পঙ্ক্তি অনিবার্যভাবে যোগ হয়ে চলেছে বৈশাখী শুভেচ্ছাপত্র ও আমন্ত্রণপত্রে। ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’- এ চরণটি বুঝি বহুল মুদ্রিত ও উচ্চারিত। প্রখর তপন তাপে কবিগুরুর বৈশাখী গান- প্রখর তপন তাপে/আকাশ তৃষায় কাঁপে/বায়ু করে হাহাকার। শেষ চৈত্রের ঢাকার তাপমাত্রা সম্পর্কে বলতে গিয়ে এই গানের কথাই মনে পড়ল। মহানগরে অসহনীয় তাপ, যেন শহর নয় এটা মরুভূমি! লু হাওয়া কি বইছে দিনের বেলা? বাতাস যেন উনুনের গর্ভ থেকে উঠে আসছে। শনিবার থেকেই শুরু। সেদিন রাতে তাপমাত্রা ছত্রিশ ডিগ্রী পর্যন্ত উঠেছিল, পরদিন করুণা করে এক ডিগ্রী কম। তার পরদিন আবার যে কে সেই। আমার মতো সাধারণ নাগরিক যারা ভাবেন এয়ার কন্ডিশন কিছুতেই চালাবেন না, ওটা শুধু অতিথিদের জন্য ব্যবহার্য। তারাও বাধ্য হন আরামপ্রদানকারী যন্ত্রটি চালু করতে। ঠাণ্ডা হাওয়ার পরশ পেয়েই রাতে নিদ্রাদেবী স্মিত হাসেন। অবশ্য এইসঙ্গে ভাবছিলাম তাদের কথা যাদের পক্ষে এয়ার কন্ডিশন কেনা সম্ভব নয়, মাথার ওপর বৈদ্যুতিক পাখাই যাদের সম্বল। কিন্তু ফ্যানের হাওয়া এত গরম হয়ে উঠছে কেন? অবাক বিষয় হচ্ছে রাতে আর লোডশেডিং কিংবা বিদ্যুত বিভ্রাট হচ্ছে না, অন্তত উত্তরায় যে হচ্ছে না সেটা হলফ করে বলতে পারি। তবু ঢাকায় যে প্রকৃত তাপমাত্রার চেয়ে বেশি তাপ অনুভূত হচ্ছে তার কিছু কারণ রয়েছে। ঢাকা প্রায় বৃক্ষশূন্য, কয়েকটি উদ্যানেই কিছুটা গাছের সমাহার লক্ষণীয়। আর হাজারে হাজার গাড়ি এবং লাখো ফ্ল্যাটের এসি থেকে নির্গত গরম বাতাস রাজধানীকে আরও উত্তপ্ত করে তুলছে। শহরের ভেতর বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডও দায়ী এই অসহনীয় তাপ বাড়ানোর জন্য। বসন্ত যাপন : ক্ষণিক কাব্য বসন্ত কি শুধু প্রেমিক হৃদয়ের ওপরই প্রভাব বিস্তার করে? তাকে উদাস করে তোলে! সত্যি বলতে কি বসন্ত ঋতুর বৈভবে আলোড়িত হয় প্রতিটি মানবহৃদয়। ঢাকাবাসী শত ব্যস্ততার মধ্যেও বসন্তের দিকে ফিরে তাকায়, তাকে সাদরে বরণ করে নিতে চায়, চায় বসন্ত যাপন করতে। বাঙালী মাত্রই কবিতা ও গানপ্রেমী। কোন উপলক্ষ পেলেই তারা মাতে উৎসবে। বাঙালী সংস্কৃতিমনা বলেই নিজ ভবনেও আয়োজন করে কবিতা ও গানের, এই বসন্ত উপলক্ষেই। মিরপুর ডিওএইচএস এলাকায় এমনই একটি আয়োজনে যুক্ত হয়েছিলাম বুধবার সন্ধ্যায় আবৃত্তিশিল্পী জাকিয়া নাজনীনের বাসভবনে। ‘বসন্তবেলায় ক্ষণিক কাব্য’ শীর্ষক এ আয়োজনে পরিচিত কবি ও কণ্ঠশিল্পী ছাড়াও ছিলেন শৌখিন শিল্পী ও কবিতার পূজারী। সবকিছু ছাপিয়ে ওই আয়োজনে বসন্তই হয়ে উঠেছিল সম্রাজ্ঞী, তা বলাই বাহুল্য। কবি কামরুল হাসান, পিয়াস মজিদের কবিতা এবং সুলতানা শাহরিয়া পিউ ও রওনাক মতিন লুনার গান উপস্থিত সুধীজনেরা উপভোগ করেন। দুয়ারে নববর্ষ কিছুটা বিরক্তি- অনেক হর্ষ! কাল বাদে পরশুই নববর্ষ, পহেলা বৈশাখ। আকাশে বাতাসে ভেসে আসছে উৎসবের আগাম ছটা। তবে তাতে কিছুটা বিরক্তিও ভর করেছে। অনেকের সঙ্গে কথা বলেই এমনটা মনে হলো। মানুষ চায় বাধাবিঘœহীন নিরঙ্কুশ উৎসব। পুলিশের চাপিয়ে দেয়া সীমাবদ্ধতায় মন সায় দেয় না। যদি উৎসবকে সীমিত ও সংকুচিত করে ফেলতে হয় অল্প ক’জন বখাটের কারণে, কিংবা আরও স্পষ্ট করে বললে উৎসববিরোধী বাঙালী সংস্কৃতিবিরোধী জামায়াত-শিবির-হেফাজতী চক্রের হুমকিকে যদি আমলে নেয়া লাগে, তাহলে আফসোসের সীমা পরিসীমা থাকে না। এ যেন অনেকটা সেরকম: সড়কে সড়কে ট্রাক-বাস বেসামাল হয়ে পরিণত হতে পারে যন্ত্রদানবে। তাই হাত-পা গুটিয়ে ঘরে বসে থাকলাম। বলা যায়, বিষয়টা এমন : ঘরের দরোজা-জানালাও বন্ধ রাখলাম, পাছে ওই পথ দিয়ে রোগব্যাধি ঢুকে পড়ে। আসলে এবারের উৎস হওয়া উচিত আরও প্রাণবন্ত ও প্রসারিত। গত বছরের রমনা উদ্যানের গ্লানিটুকু উড়িয়ে দিতে চাই বেশি বেশি করে নারীর অংশগ্রহণ। এবং অবশ্যই তাদের পাশে থাকবে সচেতন নাগরিকরা। যাতে ছোটখাটো ঝামেলা বাধাতেও কারও দুঃসাহস না হয়। রাত বারোটা এক মিনিটে নয়, বাংলা নববর্ষ শুরু হয় সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে (আহা ওই সময়ে অনুভব করা যায় ‘বৈশাখের ভোরের হাওয়া আসে মৃদুমন্দ’)। রাজধানীবাসীর আয়েশি অংশটিও প্রভাতনিদ্রার সুখটুকু ঝেড়ে ফেলে বৃহৎ আনন্দের সন্ধানে নববর্ষ উৎসবে যোগ দেয়। সকলেই যে সকাল-সকাল বেরিয়ে পড়েন রমনার উদ্দেশে এমন নয়। টেলিভিশনের কল্যাণে এখন কেবল ছায়ানট কেন, ধানম-ির রবীন্দ্রসরোবরসহ কয়েকটি স্থানে আয়োজিত বেশকিছু সাংস্কৃতিক সংগঠনের বর্ষবরণ উৎসব প্রত্যক্ষ করা যায় সরাসরি। এ উদ্যোগের ফলে দূর পরবাসে অবস্থানকারী বাংলাদেশের অগণিত মানুষের সঙ্গে মাতৃভূমির ভৌগোলিক দূরত্ব মুহূর্তে ঘুচে যায়। তবে হ্যাঁ, খোঁজ নিলে দেখা যাবে বাড়ির কাছাকাছি জায়গায় কোন না কোন আয়োজন চলছেই বর্ষবরণের। (আমি থাকি উত্তরায়। এখানে একাধিক বড়সড় উৎসব চলে।) নগরবাসীর নিরানন্দময় নিস্তরঙ্গ জীবনপ্রবাহে বৈশাখ সত্যিকারার্থেই নিয়ে আসে আনন্দের উপলক্ষ। ভোজ আর উপভোগের পহেলা বৈশাখে বাঙালি আপনা থেকেই আত্মপরিচয় খুঁজে পায় এবং আর দশজন স্বজাতির সঙ্গে আত্মীয়তা অনুভব করে। ধর্মীয় পরিচয় সেখানে সামান্যতম প্রতিবন্ধক নয়। বছরের প্রথম দিনে এটি এক অনন্য অর্জন। আমাদের জাতীয় জীবনে পহেলা বৈশাখ এমন একটি মুহূর্ত যখন বাঙালি হিসেবে আমাদের মনে এক অনিঃশেষ গৌরব এসে বাঁশি বাজায়; জেগে ওঠে ভ্রাতৃত্ববোধ, মুমূর্ষুরে উড়ায়ে প্রাণে বেজে ওঠে নব আনন্দ গান। ভুলে যাচ্ছি না যে দেশের পাহাড়ি জনপদে অবাঙালী আদিবাসীরা বৈসাবী উৎসবে মাতে পহেলা বৈশাখের ঠিক আগে-আগে। ঢাকার বাইরে দেশজুড়েই শহরে শহরে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব চলে। যদিও জীবনাচারে বাংলা যাদের চিরসখা সেইসব পল্লীবাসীর পহেলা বৈশাখ উদযাপনে রয়েছে কিছুটা ভিন্নতা। হালখাতা আর গ্রামীণ মেলার ভেতর দিয়ে বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামেও নতুন বছরের সূচনালগ্নের প্রাণোচ্ছল হাওয়া এসে আছড়ে পড়ে। নগর কিছুটা প্রভাবিতও করে চলেছে এখন পল্লীকে। পহেলা বৈশাখে ঢাকার রাস্তায় ঢল নামবে মানুষের, এ তো জানা কথাই। খোলা প্রাঙ্গণে ও সড়কে মানুষের এই মহাসমাবেশ কেবল একুশে ফেব্রুয়ারির জনসমাগমের সঙ্গেই তুলনীয়। তবে একুশের অভ্যন্তরে শোকবিধুরতা থাকে, আনুষ্ঠানিক সীমাবদ্ধতা থাকে যা সম্পূর্ণরূপে অনুপস্থিত পহেলা বৈশাখে। এই দিন কেবলই যেন আনন্দে ডানা মেলবার। সমগ্র রাজধানীই যেন হয়ে ওঠে সংস্কৃতিমেলা- যার অংশ বৈশাখী মেলা, আবৃত্তি আর গানের আসর। একসময় জাতীয় কবিতা পরিষদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠের আয়োজন করত। এখন আর দেখি না। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বৈশাখ বিষয়ক স্বরচিত কবিতা পাঠের আসরে একবার অংশ নিতে গিয়ে মনে হয়েছিল কবিরাও উন্মুখ হয়ে থাকেন নববর্ষে তার পাঠককে নতুন কবিতার স্বাদ দিতে। ভেবে পাই না প্রতি বৈশাখে কেন নয় একটি নির্দিষ্ট স্থানে কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠের আয়োজন? রমনার বটমূলের উৎসবের মতো সেটিও হতে পারে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের গৌরবদীপ্ত অংশ। তবে বৈশাখ কেবল আনন্দের নয়, প্রতিবাদেরও। সংবাদপত্রে বৈশাখী ক্রোড়পত্র ধারণ করে বৈশাখের চালচিত্র। উৎসবের শাখা-প্রশাখার আলোকপাত আর বৈশাখ-বন্দনা থাকে তার বড় জায়গা নিয়ে। ফিবছর পুরনো বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরে অগ্রযাত্রা এবং আত্মশুদ্ধির শপথ নেয়া হয়। আমাদের চিন্তাবিদরা বিশ্বসভায় বাঙালীর অবস্থান শনাক্ত করেও লেখেন। তবে তা যৎসামান্যই। প্রতিবাদের জায়গাটি প্রতুল নয়। এর প্রকাশ্য রূপ দেখতে পাই চারুকলা থেকে বেরুনো শোভাযাত্রায়। লোক ঐতিহ্যের মোটিফের সমান্তরালে এতে থাকে প্রতীকী মোটিফ। স্বৈরাচার, জঙ্গীবাদ ও মৌলবাদবিরোধিতা তাতে প্রত্যক্ষ করা যায়। দেশের সংস্কৃতিকর্মীদের দৃষ্টিভঙ্গির বার্তা থাকে তাতে, থাকে আন্দোলনের সঙ্কেত। আনন্দ প্রকাশের সহযোগে কখনও কখনও শাসকমহলের অন্যায্য কাজের সমালোচনার এই ভঙ্গিটি ব্যতিক্রমী। বিশ্বের অন্যান্য দেশে নানা জাতির বর্ষবরণের উৎসব থেকে বাঙালীর এই অসামান্য উৎসব এভাবেই পৃথক ব্যঞ্জনা লাভ করে। বাঙালীর এই প্রতিবাদী সত্তাটি বাস্তবিকই অসাধারণ। বৈশাখের শক্তিটিকে ঠিকই চিনেছে অপশক্তি, তাই পহেলা বৈশাখেই তারা আত্মঘাতী হামলার উদ্বোধন ঘটিয়েছিল। বৈশাখ তাই আমাদের নতুন করে সতর্ক হতে শিখিয়েছে। একাত্তরের পরাস্ত শক্তির প্রতিশোধস্পৃহা সম্পর্কে নিশ্চিত করেছে। আশা করছি সাকা চৌধুরীসহ ক’জন হেভিওয়েট যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি কার্যকরের পর এবারের নববর্ষ বরণ উৎসবে নব হর্ষধ্বনি শোনা যাবে। বইমেলা নব্বুইয়ের দশকেও নগরে বৈশাখী মেলার অনিবার্য অংশ ছিল বইমেলা। একটি দুটি নতুন বইও বেরুতো বাংলা বছরের প্রথম দিন। এখন অবশ্য বিচ্ছিন্নভাবে কোন কোন প্রকাশনী পুস্তক প্রদর্শনের আয়োজন করে। কিন্তু চাই প্রতিনিধিত্বশীল বইমেলা। প্রকাশকদেরও আহ্বান করি বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে অন্তত একটি হলেও নতুন বই প্রকাশ করুন, যে বই বাংলার নানা দিক, বাঙালীর উৎসবকে ধারণ করবে। পাঠকের প্রত্যাশা ছিল পহেলা বৈশাখে নতুন বই প্রকাশের রেওয়াজ গড়ে তোলায় তারা উদ্যোগী হবেন। ব্যবসাবুদ্ধির পাশাপাশি দায়িত্বশীলতাও কাম্য। শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের পরিচিতির সূচনা বইয়ের দোকানের মাধ্যমে। কালে কালে সেখান থেকে বইয়ের দোকান কমতে শুরু করে, বাড়তে থাকে পোশাকের দোকান। এ জন্য বই বিক্রির স্বল্পতাকে অবশ্য দায়ী করা যাবে না। এটি মার্কেট কর্তৃপক্ষের ব্যবসায়িক বুদ্ধিরই জের। দোকান ভাড়া বৃদ্ধির সঙ্গে আনুপাতিকভাবে বই বিক্রির হার বাড়েনি। এটা তো অস্বীকার করা যাবে না নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের তুলনায় বইয়ের মতো মননের উপকরণের চাহিদা সীমিত। যা হোক, আজিজ মার্কেটের বহু বইবিক্রেতা অদূরে কাঁটাবনের কনকর্ড ভবনের বেইজমেন্টে বইয়ের দোকান সাজিয়ে তুলেছেন। অনেক নবীন প্রকাশকও সেখানে দোকান খুলে বসেছেন। ফলে কয়েক বছরের মধ্যে এটি হয়ে উঠেছে শাহবাগের নতুন বইপাড়া। এই কনকর্ড প্রাঙ্গণেই গতবার হয়েছিল বৈশাখী বই উৎসব। এবার এখনও তেমন প্রস্তুতির কথা শুননি। তবে সুপরিচিত ১০ গ্রন্থ প্রকাশনা সংস্থা ‘চৈত্রে বই উৎসব’ নামে মেলার আয়োজন করেছে জাদুঘরে। সেখানে প্রতিদিনই লেখক-পাঠকদের ভাল লাগার মতো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। পহেলা বৈশাখেই এই মেলা শেষ হওয়ার কথা। তাই পাঠকদের অনুরোধ করব, বইমেলায় যান বই কিনুন। বৈশাখে প্রিয়জনকে বই উপহার দেয়ার রেওয়াজ ফিরিয়ে আনুন। ১০ এপ্রিল ২০১৬ [email protected]
×