স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কিশোরগঞ্জ জেলা বারের আইনজীবী মোঃ শামসুদ্দিন আহমেদসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন তাদের যুক্তিতর্ক শেষ করেছে। অন্যদিকে আসামি পক্ষ রবিবার শুরু করেছে। আজ তারা যুক্তিতর্ক শেষ করবেন। প্রসিকিউশন পক্ষ রবিবার ৭টি অভিযোগে তাদের যুক্তি তুলে ধরেন। অন্যদিকে একইদিনে আসামিপক্ষও তাদের যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেছে। আজ সোমবার পর্যন্ত যুক্তি উপস্থাপন মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি এম আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে এ যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন, প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামি পক্ষে যুক্তিতর্ক শুরু করেছেন এ্যাডভোকেট মাসুদ রানা। আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তরে হত্যা, গণহত্যা, আটক, লুণ্ঠন, নির্যাতনের মতো সাতটি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলায় পাঁচ আসামির মধ্যে এ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন আহমেদ ও তার সহোদর সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মোঃ নাসিরউদ্দিন আহমেদ গ্রেফতার হয়েছেন এবং রাজাকার কমান্ডার গাজী আব্দুল মান্নান, হাফিজ উদ্দিন ও আজহারুল
ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
গত বছরের ১৩ মে পাঁচজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, আটক, লুণ্ঠন, নির্যাতনের সাতটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। তারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালে কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার বিদ্যানগর, আয়লা, ফতেরগুপ বিল, পীরাতন বিল ও আশপাশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এসব মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন রাষ্ট্রপক্ষের মোট ৪০ জন সাক্ষী। এর আগে এই ৪ জনকে আত্মসমর্পণ করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশ দেয়া হয়। পরে পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গত ১৫ এপ্রিল কিশোরগঞ্জের মামলায় তদন্তের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে। এর আগে গত ১৩ এপ্রিল এ প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
