ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভোমরা বন্দরে কাল থেকে কর্মবিরতির ডাক সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের

প্রকাশিত: ০৬:১১, ১১ এপ্রিল ২০১৬

ভোমরা বন্দরে কাল  থেকে কর্মবিরতির ডাক সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ পান আমদানিতে শুল্ক ফাঁকি দেয়ার ঘটনায় বিজিবির বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করার প্রতিবাদে সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন মঙ্গলবার থেকে বন্দরে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে। রবিবার দুপুরে ভোমরা সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ৭ এপ্রিল ভারত থেকে আমদানি করা দুটি পানের চালান বিজিবি আটক করে। বৈধ পথে মালামাল আমদানি করা সত্ত্বেও বিজিবির পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা সদর থানায় চোরাচালানি ধারা ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন ২৫ (খ) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ শুল্ক আইনের পরিপন্থী ও অমানবিক। পান আমদানি করে রাজস্ব ফাঁকিতে সহযোগিতা করার অভিযোগে দু’ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান, দুটি সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট ও দুইজন কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ৩৮ বিজিবি। ভোমরা বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার সিরাজুল গণি বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন ওই পানের ছাড়কারক সিএ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী খালিদ হোসেন শান্তর মালিকানাধীন আলেয়া এন্টারপ্রাইজ, আব্দুস সবুরের মালিকানাধীন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সুমাইয়া এন্টারপ্রাইজ, আমদানিকারক আল ফেরদৌস আলফার মালিকানাধীন আশিক এন্টারপ্রাইজ ও ছাড়কারক সিএ্যান্ডএফ মোস্তফা কামালের মালিকানাধীন সুন্দরবন এন্টারপ্রাইজ, ভোমরা বন্দরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদ রানা ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফ হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ, পণ্য আটক করা হলে কাস্টমস এ্যাক্ট ১৬৯ ধারা অনুযায়ী অবিলম্বে শুল্ক কর্মকর্তার কাছে তা জমা দেয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু সেটি না করে বিজিবি নিজ দফতরে নেয়ার পরে তা সদর থানায় জমা দিয়েছে। যা কাস্টমস এ্যাক্ট ১৯৬৯-এর ১৬৩ (৩) ও ১৬৯ ধারা পরিপন্থী। অথচ এই পানগুলো ৯ এপ্রিল শনিবার আদালত ওই পণ্যের বিপরীতে সঠিক শুল্ক-করাদি আছে উল্লেখ করে আমদানিকারকের কাছে মালামাল ফেরত দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। ভোমরা সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দিলওয়ার রাজু ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ভোমরা স্থলবন্দরে ইতোপূর্বে বিজিবির বে-আইনী হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত বিষয়ে হাইকোর্ট রীট পিটিশন নং-৩৩৩৯/২০০৩-এর রায়ে স্থল বন্দরের কার্যক্রম বিজিবির হস্তক্ষেপ বে-আইনী বলে ঘোষণা করা হয়েছে। হাইকোর্টের এ রায় সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের ৩৬ উখজ (অউ) ১১৩-এর অনুসরণে জারীকৃত। ফলে এ ক্ষেত্রে বিজিবি সদস্যগণ সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ ও হাইকোর্টের সুনির্দিষ্ট আদেশ স্পষ্টভাবে লংঘন করছে। পণ্য আটক করা হলে কাস্টমস্ এ্যাক্ট ১৬৯ ধারা অনুযায়ী অনতিবিলম্বে শুল্ক কর্মকর্তার নিকট তা জমা দেয়া বাধ্যতামূলক। এ ক্ষেত্রে তা না করে বিজিবির দফতরে নেয়া হয়েছে। এতে কাস্টমস এ্যাক্ট ১৯৬৯-এর ১৬৩ (৩) ও ১৬৯ ধারা লঙ্ঘিত হয়েছে। এ ছাড়া বিজিবি সদস্যরা প্রতিদিন শুল্ক এরিয়ায় কাস্টমস্ এ্যাক্ট-১৯৬৯-এর ধারা-৯, ধারা-১০, ধারা-২৭, ধারা-১৯৭, ধারা-১৯৮, ধারাসমূহ লঙ্ঘন করে চলেছে।
×