ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাঁশখালীতে উদ্ভট কথা প্রচার করে উন্নয়নে বাধা দেয়া হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৬:১১, ১১ এপ্রিল ২০১৬

বাঁশখালীতে উদ্ভট কথা প্রচার করে উন্নয়নে বাধা দেয়া হচ্ছে

মোয়াজ্জেমুল হক/জোবাইর চৌধুরী ॥ চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গ-ামারায় দেশী-বিদেশী বেসরকারী যৌথ উদ্যোগে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ বিষয়ে সরকার অটল অবস্থানে রয়েছে এবং এ ব্যাপারে রবিবার খোদ প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুত ও জ্বালানি উপদেষ্টা এবং বিদ্যুত সচিব বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন। এদিকে বাঁশখালীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। বিরোধী কয়েকটি রাজনৈতিক দলসহ স্বার্থান্বেষী মহল রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনাকে সামনে এনে পানি ঘোলা করার যে চেষ্টা চালিয়েছিল তা আতুড় ঘরেই মরেছে বলে প্রতীয়মান। ৬৬০ মেগাওয়াট উৎপাদনভিত্তিক দুটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র এলাকার লোকালয় থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে সাগর পাড় এলাকায় নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বেসরকারী উদ্যোগে জয়েন্ট ভেঞ্চারে। বেসরকারী চীনা দুটি কোম্পানির সঙ্গে দেশীয় শিল্প গ্রুপ চট্টগ্রামের এস আলম গ্রুপ এর অংশীদার। প্রায় ৮৫৫ একর জমি নিয়ে এ বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ কাজের শুরুতে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে লঙ্কাকা- বাঁধিয়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটল তা নিয়ে বেশ হৈ চৈ হয়েছে। পক্ষে-বিপক্ষে নানা মহল নানা বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করে রেখেছিল। সাধারণ মানুষ পড়েছিল বিভ্রান্তিতে। রবিবার খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিদ্যুত ও জ্বালানি সচিব তৌফিক-ই-এলাহী, বিদ্যুত সচিব পৃথক পৃথকভাবে এ ব্যাপারে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। অপরদিকে বাঁশখালীতে রবিবার উপজেলা সদরে বিভিন্ন সংগঠনের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে। এ সমাবেশ হয়েছে বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতাকারীদের ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকা-ের বিরুদ্ধে। এদিকে নির্মিতব্য কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের বেসরকারী দেশীয় অংশীদার এস আলম গ্রুপের পক্ষ থেকে রবিবার আবারও জানানো হয়েছে, তারা সকল প্রকার নিয়মনীতি মেনেই এ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কাজে হাত দিয়েছে। বর্তমানে যেহেতু মাত্র মাটি ভরাট কাজ চলছে সেক্ষেত্রে কিছু কিছু অনুমতি এখনও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তার মানে এই নয় যে, সরকারী যথাযথ অনুমোদন না নিয়েই এ প্রকল্প হতে যাচ্ছে। দেশে বিদ্যুতের অভাবে যখন সর্বত্র হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে তখনই বেসরকারী উদ্যোগে বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণে এগিয়ে এসেছে বেসরকারী উদ্যোক্তারা। বাঁশখালীর গ-ামারায় কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র নির্মাণ অনুরূপ উদ্যোগেরই একটি অংশ। এ ছাড়া এ প্রকল্পে মোটা অঙ্কের বিদেশী বিনিয়োগ হচ্ছে। দেশী-বিদেশী মিলে প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকা এতে বিনিয়োগ হবে। কর্মসংস্থান হবে ব্যাপক। কিন্তু যারা পরিবেশের ধুয়া তুলে এ প্রকল্পের বিরুদ্ধে উদ্ভট কথা প্রচার করছে তারা নিশ্চয়ই বিদ্যুত খাতে দেশের উন্নয়ন হোক তা চায় না। যাদের কারণে বাঁশখালীতে গত সোমবার ত্রিমুখী সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে সে ব্যাপারে তদন্তের মাধ্যমে স্বার্থান্বেষী চক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। এদিকে রবিবার কেরানীগঞ্জে নতুন কেন্দ্রীয় কারাগারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাঁশখালীর প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করেছেন বাঁশখালীতে উদ্ভট কথা প্রচার করে মানুষের জীবন নেয়া হয়েছে। সরকারের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করতেই উদ্ভট কারণ দেখিয়ে এই বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা করা হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি সুস্পষ্টভাবে জানান আজকাল বিদ্যুত উৎপাদন করতে গেলেই একদল আন্দোলনে নামে পরিবেশ রক্ষার নামে। তিনি বলেন, কিছু কিছু উদ্ভট চিন্তা-ভাবনা কিছু মানুষের আছে। আমি জানি না কিভাবে তা আসে। আমি জানি না বাঁশখালীর নেপথ্যে উদ্দেশ্যটা কি। আমি বলতে পারব না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যত দ্রুত বিদ্যুত উৎপাদন করে একটি স্বস্তি দিয়েছিলাম এখন সে উৎপাদনে বাধা দেয়ার চেষ্টা চলছে। অথচ এটা আমাদের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন। বিদ্যুত ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী রবিবার বলেছেন, বাঁশখালীর এ প্রকল্প থেকে সরে আসার কোন সুযোগ নেই। স্বার্থান্বেষী মহল কাজে বাধা দিচ্ছে তাদের হীন উদ্দেশ্যে। এ বিদ্যুত কেন্দ্র হবে বিশ্বমানের। এ প্রকল্প থেকে সরে আসার কোন সুযোগ নেই। বাঁশখালীর গ-ামারায় কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুত কেন্দ্র হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন। অপরদিকে বিদ্যুত ও জ্বালানি সচিবও বলেছেন, বাঁশখালীতে এ বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মিত হবে এবং সেখান থেকে উৎপাদিত বিদ্যুত সঙ্কট দূরীকরণে সহায়তা করবে। বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের পক্ষে বাঁশখালীতে সমাবেশ ॥ এদিকে বাঁশখালীর গ-ামারায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের পক্ষে রবিবার সমাবেশ হয়েছে। উপজেলা পরিষদ মাঠে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকা-ে ঈর্ষান্বিত হয়ে কতিপয় রাজনৈতিক দলের নেতারা এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তারা জনগণকে ভুল বুঝিয়ে আন্দোলনে নামিয়েছে। যারা এই রক্তক্ষয়ী খেলায় মেতেছে তদন্তপূর্বক সকলকে বিচারের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি বিএনপি নেতা লেয়াকতকে ঘটনার মূল হোতা উল্লেখ করে তাকে অচিরেই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ প্রকল্প কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্রটি পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতামত নিয়েই সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করবে। কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্র নিয়ে কোন মহল অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করলে সরকার বরদাশ্ত করবে না বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন। জনগণের মতকে প্রাধান্য দিয়েই উন্নয়ন সকল প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। পৌরসভা আওয়ামী লীগ যুগ্ম আহ্বায়ক নীলকণ্ঠ দাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পৌর মেয়র ও মুক্তিযোদ্ধা শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুভাষ আচার্য্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গফুর, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা, দফতর সম্পাদক শ্যামল দাশ, আওয়ামী লীগ নেতা আবু সৈয়দ, সুলতানুল গনি চৌধুরী (লেদু মিয়া), মজিবুল হক চৌধুরী, মাস্টার শামশুল আলম, নুরুল মোস্তফা চৌধুরী সংগ্রাম, জিল্লুুল করিম শরীফি, কফিল উদ্দিন, আবদুল জলিল, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক সিকদার, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক তাজুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ইমরানুল হক এমরান, সম্পাদক ফয়সাল জামিল চৌধুরী ছাকি প্রমুখ। সমাবেশ থেকে বক্তারা সরকারের উন্নয়ন কাজে বাঁধাদানকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ঘোষণা দেন। পাশাপাশি সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে আহ্বান জানান। এদিকে বাঁশখালীর সর্বস্তরের জনগণের একটাই দাবি পরিবেশবান্ধব কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ হলে বাঁশখালীবাসী উন্নয়নের দ্বারপ্রাšেন্ত পৌছে যাবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। এলাকায় বেকারত্ম দূর হবে। অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটবে এই এলাকায়। তাই সকলকে এই বৃহৎ প্রকল্প সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিয়ে এগুতে হবে। গুজব ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্যে কান না দিয়ে নিজের বিবেককে জাগ্রত করে সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্থানীয় উৎসুক মহল। ঘটনার মূল হোতা বিএনপি নেতা লেয়াকত ॥ উপজেলার গ-ামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনা গ্রামের দুদু মিয়ার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বিএনপি নেতা লেয়াকত আলী। পরবর্তীতে পশ্চিম বড়ঘোনা গ্রাম হতে গ-ামারা খামার পাড়া এলাকায় পাড়ি জমান তার পরিবার। দুদু মিয়ার পরিবারের একমাত্র সন্তান লেয়াকত। স্কুল জীবন গ্রামে না কাটিয়ে পড়েছেন সীতাকু-ু উপজেলার কুমিরা স্কুলে। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত এখানেই শেষ করেন সে। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম ল কলেজে ভর্তি হয়ে এলএলবি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। সেখান থেকে অকৃতকার্য হয়ে আর লেখাপড়া করেননি। সেই থেকে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন তিনি। ছাত্রদল রাজনীতিতে যুক্ত থাকার সময় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ও বাঁশখালী উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন। পরে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক পদে অধিষ্ঠিত হন। এর সুবাদে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা হয়। রাজনীতির একপর্যায়ে তিনি ২০০১ সালে গ-ামারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকার বিভিন্ন আলোচিত হত্যাকা-ের মামলার আসামিও হন। ক্ষমতার দাপটে আসামি থাকাকালীন সময়েও সে এলাকায় তার রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ওয়ান ইলেভেনের সময় বিএনপি থেকে বেরিয়ে এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল অলির সঙ্গে যুক্ত হন। সেখানেও তার নোংরা রাজনীতির কারণে স্থান মেলেনি। পরবর্তীতে সাকা চৌধুরীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য জাফরুল ইসলাম চৌধুরীকে নিয়ে মতবিরোধ সৃষ্টি করেন। সেই মতবিরোধ অদ্যাবধি চলমান আছে বলে বিএনপির বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেছিল তিনি। উপজেলা নির্বাচনের পর এলাকায় দীর্ঘদিন না থেকে চলতি বছরের মার্চ মাসে কয়লা বিদ্যুত প্রকল্পকে টার্গেট করে এলাকায় ফিরে আসেন। এলাকার সাধারণ মানুষের অজ্ঞতাকে পুঁজি করে দেশের সর্ববৃহৎ প্রকল্পে বাধা প্রদান করে প্রাণহানির ঘটনা ঘটানোর নেপথ্য নায়ক তিনি। যে ঘটনায় প্রাণহানি ঘটেছে ৪ জনের। পুলিশসহ আহত হয়েছেন আরও বহু। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও চেক জালিয়াতির ৯টি মামলা বর্তমানে আদালতে চলমান। গ-ামারায় সোমবারের ঘটনার পর পুলিশ তাকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। অথচ তিনি এলাকায় রয়েছেন এবং বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যা এলাকাবাসীর মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। বাঁশখালীর এ ঘটনায় এ পর্যন্ত তিনটি মামলা হয়েছে। ঘটনার এক সপ্তাহ পার হতে চলেছে। কিন্তু গ্রেফতারকৃত ৯ জন ছাড়া নতুন করে আর কাউকে ধরা হয়নি বা যায়নি। অথচ যারা এ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটিয়েছে তারা এলাকায় পুলিশের নজর এড়িয়ে অবস্থান করছে। এ ছাড়া জামায়াত-শিবির ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিকর স্ট্যাটাস দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ প্রসঙ্গে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, এ ঘটনা নিয়ে যেসব মামলা হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিষয়টি নিশ্চিত করে দায়ীদের গ্রেফতার করা হবে। এ ব্যাপারে পুলিশ কৌশলী হয়ে এগুচ্ছে বলে তিনি জানান। অহেতুক ধরপাকড় করে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করতে পুলিশ চায় না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
×