ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দেশের প্রথম ইলেকট্রনিক্স সিটি গড়ে উঠছে সিলেটে

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ১১ এপ্রিল ২০১৬

দেশের প্রথম ইলেকট্রনিক্স সিটি গড়ে উঠছে সিলেটে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের প্রথম ইলেকট্রনিক্স সিটি গড়ে উঠছে সিলেটে। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ১৬৭ একর জমিতে এ সিটি গড়ে তোলার কাজ চলছে। তবে মেগাসিটি গড়ে তুলতে আরও ৬০০ একর জমি বরাদ্দের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সব ধরনের ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীতে দেশের চাহিদা পূরণ, বিদেশে রফতানি এবং বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে সিলেটে দেশের প্রথম ইলেকট্রনিক্স সিটি গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয় সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি)। এ বিশালাকারের প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০১৩ সালের জুলাই থেকে। কাজ শেষ হওয়ার মেয়াদ ছিল ২০১৬ সালের জুলাই পর্যন্ত। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদকালীন প্রথম প্রায় আড়াই বছরে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে ১০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। এতে প্রকল্পের মোট ব্যয় ৮০ কোটি ১৬ লাখ টাকা থেকে অনেক বেড়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি সিলেট সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ইলেকট্রনিক্স সিটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে যান। বর্তমানে ওই প্রকল্পের আওতাধীন ১৬৭ একর জমিতে মাটি ভরাটের কাজ চলছে। জানা যায়, বাস্তবায়নাধীন ইলেকট্রনিক্স সিটিতে তিনটি প্রকল্প থাকবে। এগুলো হচ্ছেÑ আইসিটি পার্ক, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্বে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স প্রকল্প। এ সিটিতে বিভিন্ন হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার তৈরি করা হবে। ইলেকট্রনিক্স সিটির নির্মাণকাজ শেষ হলে এখানে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমদের মতে, এ সিটিতে প্রায় ৬০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। তিনি জানান, বর্তমানে জোরেশোরে ইলেকট্রনিক্স সিটি গড়ে তোলার কাজ চলছে। সিলেটের জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন বলেন, ইলেকট্রনিক্স সিটির জন্য আরও ৬০০ একর জমি বরাদ্দ দিতে মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। জমি বরাদ্দ পেলে এ সিটি মেগাসিটি হিসেবে গড়ে উঠবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন কারণে নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি। তবে মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও প্রকল্পের কাজে কোন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হবে না।
×