ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

যমজ রহস্য উদ্ঘাটন

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ১০ এপ্রিল ২০১৬

যমজ রহস্য উদ্ঘাটন

যমজ কেন হয়? সম্প্রতি নতুন এক গবেষণায় এ বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। যমজরা আচারে-আচরণেও পরস্পরের প্রতিরূপ হতে পারেন। এমনকি, কোন তাসের ডেক থেকে তাদের তাস বাছতে বলা হলে তারা একই তাস তুলে নেন। প্রত্যেকেরই যমজ রয়েছে। এ বিষয়ে লেখা হয়েছে কবিতা, সাহিত্য। সেই যমজত্বের সন্দর্ভ এমনই যে, কোন অসতর্ক মুহূর্তে তা কাবু করে ফেলতে পারে যে কোন মানুষকে। সিগমন্ড ফ্রয়েড তার যুগান্তকারী প্রবন্ধ ‘দ্য এ্যানক্যানি’-তে এ যমজত্বের ঘটনাটকে ব্যাখ্যা করেছিলেন মনস্তত্ত্বের বিন্দু থেকে। তার মতে, নিজের অবিকল প্রতিরূপ এক আতঙ্কের উৎস এবং তা মনোবিকারের ফল। ফ্রয়েড যা-ই বলে থাকুন, সাম্প্রতিক গবেষণা কিন্তু একেবারেই উল্টো পথে হাঁটতে চাইছে। কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরো বায়োলজির গবেষক মাইকেল শিহান তার এক গবেষণাপত্রে জানিয়েছেন, নিঃসম্পর্কিত দুটি মানুষের অবিকল এক চেহারার অধিকারী হওয়ার পেছনে কোন প্যারানর্মাল বিষয় কাজ করে না। কেবল চেহারার সাদৃশ্য নয়, নিঃসম্পর্ক যমজত্ব এতদূর গড়াতে পারে যে, এই যমজরা আচার-আচরণেও পরস্পরের প্রতিরূপ হতে পারেন। আসলে কী রয়েছে এ রহস্যের পেছনে? শিহানের বক্তব্য, বংশগতির একটা খেলা এখানে অবশ্যই কাজ করছে। দুই ভিন্ন দেশে, ভিন্নকালেও এই যমজ দেখা গিয়েছে। এর কারণ সুদূর অতীতে ঘটে যাওয়া গ্লোবাল মাইগ্রেশন এবং বংশবীজ। -ওয়েবসাইট অবলম্বনে।
×