ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগ

আজ ক্রিকেটার দলে ভেড়ানোর দিন

প্রকাশিত: ০৫:১০, ১০ এপ্রিল ২০১৬

আজ ক্রিকেটার দলে ভেড়ানোর দিন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দরজায় কড়া নাড়ছে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগ (ডিপিএল)। আর ১২ দিন পরই ২২ এপ্রিল শুরু হয়ে যাবে লীগ। আজ ক্রিকেটার দলে ভেড়ানোর দিন। লীগে অংশ নিতে যাওয়া ১২ দল আজ ‘প্লেয়ার্স বাই চয়েজ’ পদ্ধতিতে ক্রিকেটারদের দলে নেবে। এবার লীগে অংশ নিচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দল প্রাইম ব্যাংক, আবাহনী লিমিটেড, প্রাইম দোলেশ্বর, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমি, কলাবাগান ক্রীড়াচক্র, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব। প্রথম বিভাগ ক্রিকেট থেকে উঠে আসা ক্রিকেট কোচিং স্কুল (সিসিএস) ও গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্সও খেলবে এবার। এ দলগুলো ক্রিকেটার দলে যুক্ত করবে আজ। নগরীর একটি হোটেলে সকাল ১১টা থেকে সেই কাজ শুরু হবে। ‘প্লেয়ার্স বাই চয়েজে’ শ্রেণী ভাগ করা আছে। আইকন ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ‘ই’ শ্রেণী পর্যন্ত ক্রিকেটার থাকবে। এরসঙ্গে থাকবে একটি ‘ফ্রি’ শ্রেণীর। প্রতিটি ক্লাবকে ন্যূনতম ১০ জন ক্রিকেটার দলে নিতে হবে। ১০ ক্রিকেটার দলে নেয়ার পর হবে আইকন ও ‘এ প্লাস’ ক্রিকেটারদের দলে ভেড়ানোর কাজ। ‘প্লেয়ার্স বাই চয়েজ’ নিয়ে বিস্তারিত জানাতে গিয়ে এ পদ্ধতির কমিশনার ও বিসিবির পরিচালক মাহবুবুল আনাম জানান, ‘প্রথম ১৩ রাউন্ডে ‘এ’ থেকে ‘ই’ পর্যন্ত ডাকতে পারবেন ক্লাবগুলো। এরপর আইকন ও ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরি রাউন্ডটি অনুষ্ঠিত হবে। এক টেবিলে ৬ জনের কেউ বসতে পারবে না। ক্লাবগুলোর কলিংটাও লটারির মাধ্যমেই হবে। এখানে আমরা আগেই লটারিটা করে রাখবো। তাতে করে ক্লাবগুলো আগে থেকেই জানতে পারবে কখন তার ডাক আসবে। যাতে করে তারা তাদের সম্ভাব্য দলটার একটা পরিকল্পনা করতে পারে এবং কিছুটা বাধ্যবাধকতা আছে। কমপক্ষে দশজন খেলোয়াড় তাদের এই ড্রাফট থেকে নিতে হবে।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘ফাস্ট বোলিং প্রোগ্রাম হয়েছে। সেখান থেকে কিছু খেলোয়াড়কে আমরা বাছাই করেছি। যারা অন্য কোন বিভাগে এই বছর খেলেনি। তাদের নিয়ে একটি ক্যাটাগরি হয়েছে। সর্বনিম্ন এক লাখ টাকা। যদি কোন ক্লাব নিতে চায় ওখান থেকে নিতে পারবে। কারণ এই খেলোয়াড়দের আমরা এক্সপোজারও দিতে চাই।’ অবিক্রীত খেলোয়াড়দেরও সুযোগ থাকছে দল পাওয়ার। এমনই জানালেন মাহবুবুল আনাম, ‘এরপর যে খেলোয়াড়রা অবিক্রীত থাকবে তারা ফ্রি খেলোয়াড় হিসেবে গণ্য হবে। ক্লাবগুলোর সঙ্গে পরবর্তীতে আলাপ আলোচনা করে তাদের অন্তভুর্ক্ত করতে পারবে। সেক্ষেত্রে তাদের নির্ধারিত যে প্রাইজ আছে সর্বোচ্চ ওই প্রাইজেই তাদের দলভুক্ত করতে হবে। আমরা খেলোয়াড়দের পেমেন্টকে তিনটি ভাগে ভাগ করেছি। ৩০-৩০-৪০। ক্লাবগুলো এই চুক্তি করতে বাধ্য এবং এরই মধ্যে তার বিষয়টি মেনেও নিয়েছে।’ দল বদলের পদ্ধতি নিয়ে খেলোয়াড়দের মাঝে একটা অসন্তুষ্টি আছে। এ নিয়ে মাহবুবুল আনাম জানান, ‘ইতিমধ্যে ১২০ জন খেলোয়াড় কিন্তু রিক্রুটেড। আমি মনে করি এটা ১৫০ থেকে ১৬০ হবে। এর বাইরে যদি প্রতিটা দল ১৫ জনেরও বেশি করে খেলোয়াড়ও নেয় তাহলে কিন্তু ১৮০ জনের বেশি খেলোয়াড় হবে না। এই সংখ্যাটা কিন্তু খুব নেমে আসবে এবং একটা ক্ষেত্রে গিয়ে ওই সংখ্যক খেলোয়াড়ের প্রতিই কিন্তু চাপটা বেশি আসবে। এখন যদি কোন খেলোয়াড় তার স্বার্থ অক্ষুণ্ণ না রেখে চুক্তি করে সেক্ষেত্রে তার দায়িত্ব তাকেই নিতে হবে।’ শুরুতে শোনা গিয়েছিল, সাকিব ও মুস্তাফিজ তালিকায় থাকছেন না। এখন মাহবুবুল আনাম জানালেন আছেন, ‘তারা তালিকায় আছেন। তবে তারা আইপিএলে খেলার অনুমতি পেয়েছে। তো কোন ক্লাব যদি তাকে নিতে চায় তবে তাকে ওই গ্রেডেই নিতে হবে।’
×