ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বৈশাখ বরণে ইলিশের বদলে বাগদা

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ১০ এপ্রিল ২০১৬

বৈশাখ বরণে ইলিশের বদলে বাগদা

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও এক শ্রেণীর লোভী বোট মালিক ও জেলেদের জাটকা নিধনের কারণে সাগরে এখন আর বড় ইলিশ মিলছে না বলে জানা গেছে। পহেলা বৈশাখে পান্তা ইলিশ হয়ত আগের মতো পাওয়া যাবে না হোটেল-রেস্তরাঁয়। আগামী ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ। ১৪২২ বঙ্গাব্দের বর্ষপূর্তি ও ১৪২৩ বঙ্গাব্দের উদযাপন। আর এই দিনেই ফুটে উঠবে বাঙালীর বৈচিত্র্যময় চরিত্র। রঙের ছটায় থাকবে ডালভাত আর পান্তার আয়োজন। কিন্তু এবার বৈশাখে থাকতে পারছে না রূপালী ইলিশ। সাগরে ফিশিংবোট যাতায়াত থাকলেও ইলিশশূন্য। সাগরে জেলের জালে এখন আর উঠছে না ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। এজন্য আগেভাগে ভোক্তা ও বৈশাখী অনুষ্ঠানের জন্য অনেকে ইলিশের পরিবর্তে বাগদা চিংড়ি কেনা শুরু করেছে। জানা যায়, কিছুদিন ধরে জেলেদের জালে ধরা দিচ্ছে না ইলিশ। কিছু কিছু জাটকা (মিনি ইলিশ) ধরা পড়লেও পরিমাণমতো সাইজের কোন ইলিশ আটকা পড়ছে না তাদের জালে। কক্সবাজারের সবচেয়ে বড় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র হচ্ছে নুনিয়াছড়ার ফিশারি ঘাট। সেখানেও ইলিশের দেখা নেই। মাছের আড়ত তথা স্টককারীদের কক্ষ বা স্টোর রুমও পুরো ফাঁকা। তবে কিছু আড়তে বিশেষ দিনের জন্য অল্পসংখ্যক ইলিশ হিমায়িত করে রাখলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। বৈশাখ উদযাপনে ইলিশ সরবরাহ নিয়ে চরম বিপাকে পড়ছে মৎস্য ব্যবসায়ীরা। ফিশারি ঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী আনোয়ার জানান, এবার বৈশাখের জন্য মৎসাগারে স্টককৃত কোন ইলিশ নেই। কমে গেছে সাগরে ইলিশ মাছ। তিনি বলেন, ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ইলিশের অর্ডার দিচ্ছে অনেকে। কিন্তু ইলিশ না থাকার কারণে সেই চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। কয়েকজন হোটেল মালিক বলছেন, পান্তা আর বাগদা চিংড়ির আয়োজন থাকলেও এবার বৈশাখে জাতীয় মাছ ইলিশের ফ্লেবার থাকবে না বাঙালীর বর্ষ উৎসবে।
×