ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ১০ এপ্রিল ২০১৬

রাজশাহীতে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন এবং তাদের পক্ষে যারা নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন তাদের দল থেকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ। শনিবার নগরীর লক্ষ্মীপুর দলীয় কার্যালয়ে বিশেষ বর্ধিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একই সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থীসহ তাদের পক্ষে যারা আছে তাদের তালিকা করে জমা দিতে উপজেলা কমিটিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান জেলার সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। তৃতীয় ও চতুর্থ দফায় রাজশাহী বাগমারা, গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলার ৩২টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যেই মনোনয়নপত্র দাখিলসহ প্রচার শুরু হয়েছে। তিন উপজেলায় কয়েক বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে মাঠে রয়েছে। এর মধ্যে বাগমারা উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টিতে বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে রয়েছে। এরা হলেন, গনিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ, গোয়ালকান্দির সভাপতি আলমগীর হোসেন সরকার ও যোগিপাড়ার সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন। খাগড়াছড়ি ও কুড়িগ্রামে সংঘর্ষ স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম থেকে জানান, রাজীবপুরে নির্বাচনী প্রচারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলও ভাংচুর করা হয়েছে। সংঘর্ষে প্রার্থীসহ ৯ জন আহত হয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে মাত্র একজন। পরে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডভুক্ত ভুইয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী কামরুল আলম বাদলসহ আহত আরও ৭ জন যারা নিরাপত্তাহীনতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়নি বলে দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী। পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি খাগড়াছড়ি থেকে জানান, মাটিরাঙার গোমতিবাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফারুক হোসেন লিটনের (আনারস) নির্বাচনী অফিসে ভাংচুর চালিয়েছে সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। বড়াইগ্রামে প্রার্থী বাছাইয়ে অনিয়ম নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর থেকে জানান, বড়াইগ্রামে ইউপি নির্বাচনে তৃণমূলের মতামত না নিয়ে দলের গঠনতন্ত্র অমান্য করে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী ঘোষণার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে মাঝগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী এমএ খালেক পাটোয়ারী। শনিবার দুপুরে নাটোর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্মআহ্বায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী খালেক পাটোয়ারী বলেন, তৃণমূলের ভোটারদের ভোটে একক প্রার্থী নির্বাচনের জন্য গত ৭ এপ্রিল মাঝগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বিশেষ বর্ধিত সভার আহ্বান করা হয়। সেখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস। এছাড়া জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
×