ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

একে মোহাম্মাদ আলী শিকদার

পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন ও বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ১০ এপ্রিল ২০১৬

পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন ও বাংলাদেশ

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক তৈরি এবং তা ধরে রাখার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ-ফ্যাক্টর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। ভৌগোলিক, ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং ভাষাগত কারণে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের বন্ধনের অপরিহার্যতা ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। সাতচল্লিশে ভূখ- ভাগ হওয়ার পর আত্মীয়তা ও আত্মার বন্ধনকে ছিন্ন করা যায়নি। বাংলা বিভাজনের সত্তর বছর পার হয়েছে। কিন্তু আত্মার সংযোগ ও নাড়ির টান এখনও পুরোদস্তুর অটুট, বলা যায় কালের বিবর্তনে সেটি আরও সুদৃঢ় হয়েছে। সাতচল্লিশ সালে রাজনৈতিক নেতাদের অদূরদর্শিতা ও ব্যর্থতার কারণে উভয় বাংলার বিশালসংখ্যক মানুষ চৌদ্দ পুরুষের মাটির মমতাকে ছিন্ন করে, সবকিছু ফেলে, চোখের পানি নিয়ে এপার-ওপারে দেশান্তরিত হয়। কিন্তু ভাষা, নৃতাত্ত্বিকতা ও সাংস্কৃতিক শক্তির ক্ষমতা অন্যরকম। ভৌগোলিক দূরত্ব ও রাষ্ট্রীয় সীমানা সেটিকে বিকর্ষণের চাইতে আকর্ষণই করে বেশি। বিরহের অনুভূতিতে সম্পর্ক কিভাবে শক্তিশালী হয় তার প্রমাণ পাওয়া যায় একাত্তর সালে। তখন বাংলাদেশের এক কোটি উদ্বাস্তু মানুষকে পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার বাঙালীরা আপনজনের মতো গভীর মমতার সঙ্গে শুধু আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়নি, অকাতরে সব ধরনের সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেছে। তখন ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গে আমাদের পরিচয় ছিল জয় বাংলার মানুষ হিসেবে। এই পরিচয় পেলে ট্রাম, রেল ও বাসওয়ালারা ভাড়া নিত না। কলকাতার কোন কোন হোটেল-রেস্টুরেন্টে, বিশেষ করে এপার বাংলা থেকে যাওয়া মালিকের সামনে খাওয়ার পর জোর করেও বিল দেয়া যায়নি। ২০১৪ সালে বিজয় দিবস উপলক্ষে সপরিবারে কয়েকদিনের জন্য কলকাতায় গিয়েছিলাম। হোটেল, বাজার, সেনানিবাস, হাসপাতালসহ সব জায়গায় বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত যার সঙ্গে কথা হয়েছে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে অন্যরকম একটা আন্তরিকতার স্পর্শ পেয়েছি। জীবনে যার সঙ্গে কোনদিন দেখা হয়নি, অথচ মুহূর্তের মধ্যে মনে হয়েছে সে যেন কত আপন। নতুন প্রজন্ম, যাদের দাদা-নানা, মা-বাবা এক সময়ে বাংলাদেশে বসবাস করেছেন, তাদের মনে বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রবল আগ্রহ এবং ইতিবাচক ধারণা সত্যিই মুগ্ধ হওয়ার মতো। কলকাতার সামরিক হাসপাতালের লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদবির একজন ডাক্তার, বাবার মূল বসতি ছিল ময়মনসিংহ জেলায়। তিনি বাংলাদেশে কখনও আসেননি। বাবা এখন আর বেঁচে নেই। বাবার মৃত্যুর আগে অসুস্থ অবস্থায় প্রায়ই নাকি আবেগাপ্লুত হয়ে বাংলাদেশে বাপ-দাদার বসতভিটার কথা বলতেন। ছেলেমেয়েদের কাছে আবদার করেছিলেন একটু সুস্থ হলে তাকে যেন একবার বাপ-দাদার ভিটেটা দেখিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়। কর্নেল ছলছল চোখে বললেন, তা আর হয়ে ওঠেনি। আমাদের পরিচয় পেয়ে সে কি আগ্রহ ও আকুতি। নিজের চেম্বারে বসিয়ে আমাদের চা-পানি খাওয়ালেন, বাংলাদেশের কথা শুনলেন। ময়মনসিংহে একবার আসার এবং বাবার বসতবাড়ি দেখার মনে আকুতির কথাও জানালেন। বিদায়ের সময়ে বললেন, কলকাতায় কোন সমস্যা হলে যেন অবশ্যই তাকে জানাই। একাত্তরেই মূলত উভয় বাংলার মানুষের মনে নতুন করে উপলব্ধির সৃষ্টি হয় উগ্র সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কুফল কত ভয়ঙ্কর হতে পারে। সাতচল্লিশের ক্ষত পুনরায় ঝালাই হয়ে একাত্তরে সম্পর্কের নতুন ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিকগণের মনেও নতুন উপলব্ধির সৃষ্টি হয়। বঙ্গবন্ধু বাহাত্তরের ১০ জানুয়ারি দেশে ফেরার অল্প দিনের মাথায় কলকাতায় ছুটে যান। কৃতজ্ঞ জাতির মহান নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু সেদিন কলকাতার গড়ের মাঠে লাখ-লাখ মানুষের সামনে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ভূমিকার জন্য পশ্চিম বাংলার মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বাংলাদেশ আজ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং ভারতও তাই। সুতরাং রাষ্ট্রীয় সীমানা থাকবে। তবে দুই বাংলার মানুষ একে অপরের ভাই, বাঙালী ভাই, আত্মা ও আত্মীয়তার সম্পর্ক চিরদিন অটুট থাকবে। তা কেউ ভাঙ্গতে পারবে না। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকা-ের পর বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়া সামরিক শাসকদ্বয় এবং তাদের প্রতিভূগণ পাকিস্তানের মতো সাতচল্লিশের চেতনায় উগ্র সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রীয় নীতি গ্রহণ করায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ভয়ানক ধাক্কা খায়। তারপর দুই দেশেরই রাজনীতিক ও আমলাতন্ত্রের অদূরদর্শিতায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উত্থান-পতন ঘটালেও দুই বাংলার মানুষের নাড়ির টান অক্ষুণœ থেকেছে। এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের দীর্ঘ সময়ের মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত সিপিএম নেতা জ্যোতিবসুর অবিস্মরণীয় ভূমিকা আজ ইতিহাস হয়ে আছে। এ বাংলার মাটিতে তার নাড়ি পোতা আছে। সে টানের সঙ্গে যোগ হয়েছে দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা। তিনি হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করেছেন ভারত-বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও উন্নয়ন একই সূত্রে গাঁথা এবং তার অপরিহার্য পূর্ব শর্ত হচ্ছে উভয় রাষ্ট্রকে অসাম্প্রদায়িক দর্শন ও দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে সবকিছুকে বিবেচনা করতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। তিনি ভারতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে বোঝাতে সক্ষম হন যে, দু’দেশের অভ্যন্তরে অসাম্প্রদায়িক দর্শনকে সমুন্নত রাখতে হলে এবং দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধান চাইলে বৃহৎ দেশ-হিসেবে ভারতকেই বড় ও অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। ১৯৯৬ সালে অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দল আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে দীর্ঘদিন পর ক্ষমতায় এলে জ্যোতিবসুর ভূমিকার বাস্তব প্রতিফলন দেখা যায়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তখন আওয়ামী লীগ সরকার দ্রুততম সময়ে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের উইন উইন পরিবেশে পার্বত্য চট্টগ্রামের ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে সক্ষম হয়। জ্যোতিবসুর ভূমিকার কারণেই তখন বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে প্রথমবারের মতো গঙ্গার পানি বণ্টনের দীর্ঘমেয়াদী স্থায়ী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। জ্যোতিবসু বেঁচে থাকলে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিসহ অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধানের পথে এতদিনে আরও অনেক অগ্রগতি হতো। ২০১০ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লী সফরের মধ্য দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের নতুন দিগন্তের সূচনা হয়। ছিটমহল বিনিময় ও সমুদ্র সীমানা দ্বন্দ্বের মীমাংসাসহ অনেকগুলো জটিল সমস্যার সমাধান ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। তবে জ্যোতিবসু এখন আর বেঁচে নেই। তারপর ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জীর তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসায় তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তিটি থমকে যায়। কেন্দ্র, অঞ্চল, রাজ্য ভাষা, ধর্ম, বর্ণ এবং হাজারো নৃতাত্ত্বিকতার জাতীয়তাবাদের প্রভাবে ভারতীয় রাজনীতির সমীকরণ ও মেরুকরণ অত্যন্ত কঠিন ও জটিল। এক রাজ্যে যারা পরস্পরের মিত্র, অন্য রাজ্যে তারাই আবার পরস্পরের শত্রু। কেন্দ্রে মিত্রতার টেবিলে বসলেও রাজ্যে মুখ দেখাদেখি নেই। আবার কেন্দ্রে সাপে নেউলে তো রাজ্যে মাখামাখি। ২০১১ সালে মমতা ব্যানার্জী পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা ছিল উভয় দেশের স্বার্থে এবং বাঙালী বন্ধনের চেতনায় তিনি দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধানে পূর্বসূরির মতো অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন। কিন্তু ঘটল তার ঠিক বিপরীত ঘটনা। ভারতের দুইটি সরকারের দুইজন প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও শুধুমাত্র মমতা ব্যানার্জীর বিরোধিতায় তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিটি ঝুলে গেল। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের জঙ্গী সংগঠন জেএমবির জঙ্গীরা বাংলাদেশ থেকে তাড়া খেয়ে বর্ধমানের খাগড়াগড়ে ডেরা তৈরি করে। সেখানে বোমা বিস্ফোরণের জের ধরে কয়েকজন জঙ্গী ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে আটক হওয়ার পর যেসব তথ্য-উপাত্ত বের হয়ে আসছে তা বিশ্বাস করা কঠিন। জানা যায় তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক পশ্চিমবঙ্গের কট্টর উগ্র ইসলামিস্ট গোষ্ঠীর আশ্রয়-প্রশ্রয় পাচ্ছে বাংলাদেশের জঙ্গী সংগঠন জেএমবির সদস্যরা। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের বিরুদ্ধে এসব দেখেও না দেখার ভান করার অভিযোগ ওঠেছে। এখানেও নাকি মমতা ব্যানার্জীর ভোটের হিসাব আছে। তাই বাস্তবে মনে হচ্ছে দিদি ক্ষমতার মোহে সাপ পুষতে শুরু করেছেন, যা উভয় দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। এবার বিধানসভা নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জীর দল একাই লড়ছেন। জোট বেঁধেছে বামফ্রন্ট, কংগ্রেস, বিজেপিও আছে। তবে ভোটে সুবিধা করার কোন আভাস নেই। সাত দফা নির্বাচনের প্রথম দফা ৪ এপ্রিল হয়ে গেল। বাকি ছয় দফা শেষ হওয়ার পর ১৯ মে ফল প্রকাশিত হবে। ফল সম্পর্কে মিশ্র পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। কিছু কিছু জরিপকারী সংস্থার পূর্বাভাস মতে মমতাই আবার ক্ষমতায় ফিরে আসছেন। তাদের বিশ্লেষণ মতে বামফ্রন্টের দীর্ঘ ৩৪ বছরের শাসনামলের শেষ দিকের অপশাসন ও ব্যর্থতার কথা মানুষ এখনও ভুলেনি। দ্বিতীয়ত, কংগ্রেসের সাংগঠনিক অবস্থা এখনও দুর্বল ও ভঙ্গুর। তাই বাম কংগ্রেস জোট মিলিয়েও এবার অন্তত মমতাকে ক্ষমতা থেকে হটাতে পারছে না। তবে জরিপকারীদের মতে মমতা ব্যানার্জীর তৃণমূল কংগ্রেসের আসন সংখ্যা ১৮৪ থেকে কমে ১৬০-এ চলে আসতে পারে। তাতে ক্ষমতায় না এলেও বাম ফ্রন্টের একটা জাগরণের পথ খুলে যেতে পারে। তবে প্রগতিশীল মিডিয়ার রিপোর্ট মমতার পক্ষে নয়। সুখরঞ্জন দাস ও মানস ঘোষের মতো প্রবীণ অভিজ্ঞ সাংবাদিকদের বিশ্লেষণে একটু ভিন্ন চিত্র পাওয়া যাচ্ছে। তাদের মতে ভারতের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন যেভাবে শক্তিশালী মনিটরিং করছে তাতে রাজ্য প্রশাসন যদি কারচুপি করার সুযোগ না পায় তাহলে মমতার ক্ষমতায় ফিরে আসার সম্ভাবনা অনেক কম। আবার জরিপের ফল সবসময় ঠিক থাকে না। ২০০৪ সালে ভারতের জাতীয় নির্বাচনে শাইন ইন্ডিয়া সেøাগানে মুখর বিজেপিকে আগাম জয়ের খবরে বিভোর করে রেখেছিলেন প্রায় সব জরিপকারী সংস্থা। কিন্তু ফল প্রকাশের পর দেখা গেল সব জরিপের পূর্বাভাস মিথ্যা প্রমাণ করে সেবার নির্বাচনে জয়ী হয়ে ভারতের কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় মমতা ব্যানার্জীর দলের শক্ত অবস্থান কিছুটা হলেও দুর্বল হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের ১১ জন নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়কের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ নেয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। গোপনে ধারণ করা ভিডিওর মাধ্যমে কথিত ওই অর্থ নেয়ার চিত্র তুলে ধরেছে দিল্লীভিত্তিক সংবাদ ওয়েবসাইট নারদ নিউজ ডটকম। তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য নির্বাচনের সময়ে এ ঘটনাকে বড় ধরনের ধাক্কা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে শেষ কথা বলার মালিক পশ্চিমবঙ্গের জনগণ। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা হলো- যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তারা যেন উভয় বাংলার ভ্রাতৃত্বের বন্ধন ও নাড়ির সংযোগটি অক্ষুণ্ণ রাখেন। একই সঙ্গে প্রত্যাশা করি উভয় দেশের স্বার্থে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সমুন্নত রাখার জন্য দুদেশের সম্পর্কের উন্নয়নের পথে বাধা নয়, সহায়ক ভূমিকা পালন করবেন। লেখক : ভূ-রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক
×