ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

তৃতীয় দফা ইউপিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন ২৫ প্রার্থী

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ৯ এপ্রিল ২০১৬

তৃতীয় দফা ইউপিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন ২৫ প্রার্থী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তৃতীয় দফায় সারাদেশে ৬২০ ইউপির মধ্যে ২৫ ইউপিতে প্রার্থীরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন। কমিশন জানিয়েছে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থীরা সবাই আওয়ামী লীগ দলীয়। প্রার্থীদের প্রত্যাহার শেষে কমিশনের চূড়ান্ত হিসেবে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে প্রথম ধাপে আওয়ামী লীগের ৫৪ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে ৩৪ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। গত বুধবার ছিল তৃতীয় দফায় প্রার্থীদের প্রত্যাহারের শেষ সময়। প্রত্যাহার শেষে মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করে নির্বাচন কমিশনের সমন্বয় করা চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ৬২০ ইউপির মধ্যে ৮১টিতে বিএনপির কোন প্রার্থী নেই। প্রথম ধাপে ১১৯ ও দ্বিতীয় ধাপে ৭৯ ইউপিতে প্রার্থী ছিল না বিএনপির। আগামী ২৩ এপ্রিল তৃতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ হবে। কমিশন জানিয়েছে তৃতীয় ধাপে সারাদেশে চেয়ারম্যান পদে ২ হাজার ৬৭২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে ১ হাজার ১৮৫ জন। এর বাইরে ১৪ রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা রয়েছেন ১ হাজার ৪৮৭ জন। ক্ষমতাসী দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী রয়েছে ৬২০ ইউপিতেই। প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী রয়েছে ৫৩৯ ইউপিতে। ৮১ ইউপিতে তাদের কোন প্রার্থী নেই। তবে বিএনপির প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন নির্বাচনী সিডিউল ঘোষণার শুরু থেকেই তাদের ওপর বিভিন্নভাবে স্থানীয় ক্ষমতাসীন মহল নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার জন্য প্রয়োগ করা হচ্ছিল। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর থেকে এই চাপ প্রয়োগ ও নির্যাতনের মাত্রাও বাড়তে থাকে। দলীয় প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের বাড়িতে, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও মারধর করা হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনে প্রার্থীসহ পরিবারের সদস্য আত্মীয়স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীদের প্রাণনাশের হুমকি অব্যাহত থাকায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তারা জানান স্থানীয় প্রশাসন ও নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা এই সব বিষয়ে অবহিত থাকলেও কোন প্রকার আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এদিকে কমিশনের চূড়ান্ত হিসেবে দেখা গেছে তৃতীয় দফায় ১৪ রাজনৈতিক দলের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়াও সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রার্থী রয়েছে মাত্র ১৬৭ জন। জাসদের ২৬ জন, বিকল্পধারা বাংলাদেশের ৩ জন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টিনর প্রার্থী সংখ্যা ১২ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৯২ জন, জাতীয় পার্টির জেপির ৩ জন, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের ৩ জন, সিপিবির ৫ জন, জমিয়তে উলমায়ে ইসলাম বাংলাদেশে ১০ জন, খেলাফত মজলিসের ২ জন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল ১ জন ও অন্যান্য ১ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যে ২৫ ইউপিতে প্রতিদ্বন্দ্বী নেই আ’লীগের ॥ কুমিল্লার আদর্শ উপজেলার দুর্গাপুর উত্তর, লাকসামের গোবিন্দপুর, কুষ্টিয়ার খোকসা, জানিপুর, জয়ন্তী হাজারা, খোকসা, শিমুলিয়া, বেতবাড়িয়া, খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার তিনটহরী, জামালপুরের ইসলামপুরের গোয়ালেরচর, ঝিনাইদহের কালিগঞ্জের জামাল, নারায়ণগঞ্জের আলেরটেক, বক্তাবলী, কাশিপুর, রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া, নোয়াখালীর চাটখিলের খিলপাড়া, মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের বৌলতলী, পাওনদিয়া, কুমারভোগ, মেদেনিম-ল, লৌহজং, রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির জঙ্গল, লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের চরবংশী উত্তর, চরমোহনা, শরীয়তপুরের বিনোদপুর ও চিতলিয়া। গত ১৫ মার্চ তৃতীয় ধাপে নির্বাচনের জন্য ৬৮৫ ইউপির তফসিল ঘোষণা করে ইসি। এর মধ্যে রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলার ৫৩ ইউপির ভোটের তারিখ পিছিয়েছে ইসি। এ দফায় গত ২৭ মার্চ প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই ২৯ ও ৩০ মার্চ ও প্রত্যাহারের শেষ দিন ৬ এপ্রিল। নির্বাচন হবে ২৩ এপ্রিল।
×