ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন আরামবাগ

প্রকাশিত: ০৪:৪৬, ৯ এপ্রিল ২০১৬

অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন আরামবাগ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দেশীয় ফুটবলের সূতিকাগার বলা হয় এটিকে। এখান থেকেই বের হয়ে আসা প্রতিভাবান ফুটবলাররা ধাপে ধাপে ওপরের স্তরে খেলার সুযোগ পান। এর আরেকটি পরিচয় আছে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ফুটবল লীগের আসর। বলা হচ্ছে ‘পাইওনিয়ার ফুটবল লীগ’-এর কথা। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন পাইওনিয়ার ফুটবল লীগ শেষ হলো শুক্রবার। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে গাজীপুর সিটি ফুটবল একাডেমিকে ২-০ গোলে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আরামবাগ ফুটবল একাডেমি। অপরদিকে লীগের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস ৪-৩ গোলে উত্তরা রিক্রিয়েশন ক্লাবকে হারায়। ফাইনাল খেলা ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়। আরামবাগ চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে ১ লাখ টাকা এবং রার্নাসআপ গাজীপুর পায় ৫০ হাজার টাকা। উল্লেখ্য, আরামবাগ গত আসরে সুপার লীগ পর্যন্ত খেলেছিল। ৬০ দল নিয়ে এটা ছিল পাইওনিয়ারের চতুর্থ আসর। খেলা উপভোগ করতে স্টেডিয়ামে হাজির ছিল প্রায় হাজার পাঁচেক দর্শক। বেশিরভাগই ছিল আরামবাগের। তারা নেচে-গেয়ে পটকা ও আতশবাজি ফাটিয়ে সারাক্ষণ মাতিয়ে রাখে গ্যালারি। খেলা শেষ ও বিজয় নিশ্চিত হতেই তারা পঙ্গপালের মতো হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ে মাঠে। মাতে বাধভঙ্গা উল্লাসে। তাদের এই আনন্দ-উৎসব ও ভিড় দেখে স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে মনেÑ কে বলে ঢাকার ফুটবলে কোন দর্শক হয় না? ক’দিন আগেই বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগে রানার্সআপ হয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে আরামবাগ। শুক্রবার পাইওনিয়ার ফুটবলের শিরোপা ছিল তাদের জন্য ডাবল বোনাস পাওয়ার মতো আনন্দ। ২৩ মিনিটে আরামবাগ ফুটবল একাডেমির ফাহিম গাজীপুর সিটির গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোলের সুযোগ নষ্ট করে। ৩৭ মিনিটে গাজীপুর সিটির মেহেদী হাসান বাঁ প্রান্ত দিয়ে ঢুকে ছোট বক্সের ওপর থেকে বল বাইরে মারেন। দ্বিতীয়ার্ধের দুই মিনিটে মিডফিল্ডার আরিফের থ্রু পাসে বক্সের মাঝামাঝি থেকে মাটি কামড়ানো শটে গোল করে অধিনায়ক মিঠু। এগিয়ে যায় আরামবাগ (১-০)। ৫২ মিনিটে মেহেদী হাসানের বাঁ পায়ের শট আরামবাগের ক্রসপিসে লেগে ফিরে আসে। ৭০ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে রাজীবের থ্রু পাস নিয়ে মিডফিল্ডার আরিফ গাজীপুর একাডেমির ডিফেন্স ভেদ করে ঢুকে পড়েন। মাপা স্কয়ার পাস দেয় সতীর্থ উইঙ্গার ফাহিমের উদ্দেশ্যে। ছোট বক্সের ওপর থেকে দক্ষতার সঙ্গে ফাহিম বল জালে জড়ায় (২-০)। খেলার শেষ আবারও গোলপোস্ট বাধা হয়ে দাঁড়ায় গাজীপুরের সামনে। এবার মেহদী হাসানের ক্রসে অধিনায়ক সুজনের হেড সাইড পোস্টে লেগে খেলায় ফিরলে আবার হতাশায় ডুবে গাজীপুর। ম্যাচে তারা অনেক ভাল খেলেছে। কিন্তু ভাগ্য সহায় না হওয়াতে কোন গোল করতে পারেনি। এবারের আসরে নতুন দল ছিল ৯। এরা হচ্ছেÑ বসুন্ধরা কিংস, এফসি ভ্যাম্পায়ার রিটার্নস, নোয়াখালী ফুটবল ক্লাব, মঞ্জু ফুটবল একাডেমি, টাঙ্গাইল জুনিয়র একাদশ, চ্যালেঞ্জার্স স্পোর্টিং ক্লাব, বাংলাদেশ আত্মনির্ভরশীল ক্রীড়া সংঘ, জে স্পোর্টস একাডেমি এবং উত্তরা রিক্রিয়েশন ক্লাব লিমিটেড।
×