ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে রেলের প্রকল্প

প্রকাশিত: ০৪:০০, ৯ এপ্রিল ২০১৬

অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে রেলের প্রকল্প

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ প্রকল্প গ্রহণের দীর্ঘ নয় বছর পর অবকাঠামোগত পরিবর্তন ও ট্র্যাক স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে পাহাড়তলীস্থ ক্যারেজ এ্যান্ড ওয়াগন শপে। অবকাঠামোগত পরিবর্তন কাজ শুরু করেছে ২টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু শত বছরের পুরনো মেশিনারিজ ক্রয়ের সিদ্ধান্ত এখনও পূর্ণাঙ্গতা পায়নি। কারণ মেশিনারিজ ক্রয়ের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে ঠিকই কিন্তু মূল্যায়ন কমিটি এখনও কোন সিন্ধান্ত নেয়নি। এদিকে, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে এ কারখানাকে আধুনিকায়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও কাজ শুরু হয়েছে ৯ বছর পর। ২০১৭ সালে এ প্রকল্প পূর্ণাঙ্গতা পাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ২০১৫ সালের ২৯ জুলাই রেল ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির বৈঠকে প্ল্যান্টস এ্যান্ড মেশিনারি সংগ্রহের দরপত্রটি চূড়ান্তকরণের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যাচাই বাছাই ও মূল্যায়ন শেষ হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়ে ৯ বছর ফাইলবন্দী হয়ে যায়। বর্তমান অর্থবছরে এ প্রকল্পের আওতায় প্রস্তাবিত রিভাইজড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল অনুমোদন, দরপত্র পুনর্গঠন ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ এবং অনুমোদন গ্রহণ করা হয়েছে দুই ধাপে। মূলত এ প্রকল্পে বিল্ডিং এ্যান্ড সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, ট্র্যাক ওয়ার্কস ও প্লান্টস এ্যান্ড মেশিনারি সংগ্রহের জন্য তিনটি প্যাকেজে ভাগ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী গত বছরের ৬ মে বিল্ডিং এ্যান্ড সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস এবং ট্র্যাক ওয়ার্কসের দরপত্র খোলা হয়। সে অনুযায়ী উভয় দরপত্র চূড়ান্তকরণের পর অবকাঠামোগত কাজ শুরু করেছে ঢাকার তমা কনস্ট্রাকশন এ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড। আর ট্র্যাক ওয়ার্কস শুরু করেছে চট্টগ্রামের নূর-ই-এলাহী এ্যান্ড ব্রাদার্স লিমিটেড। অপরদিকে, প্ল্যান্টস এ্যান্ড মেশিনারি সংগ্রহের প্যাকেজের দরপত্র গত বছরের ১৪ জুন খোলা হয়। দরদাতা দাখিলকৃত দরপত্রের কারিগরি মূল্যায়ন প্রতিবেদন (টিএসসি) ১২ জুলাই সম্পন্ন হয়েছে। এ প্রতিবেদনটি ২০ জুলাই রেল ভবনের দরপত্র মূল্যয়ন কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে প্রেরণ করা হয়। ২৯ জুলাই রেল ভবনে মূল্যায়ন কমিটি তা সুপারিশক্রমে রেল মন্ত্রণালয়ে চূড়ান্তকরণের জন্য প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য এবং পূর্বাঞ্চলীয় চীফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হারুন অর রশীদ জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, অবকাঠামোগত পরিবর্তন শুরু হয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো। মেশিনারিজ ক্রয়ের বিষয়টি পরীক্ষিত ঠিকাদার পক্ষের সঙ্গে চুক্তিনামার মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজের অগ্রগতি আসবে।
×