ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পৃথক বরাদ্দে ব্যাংক ঋণ চায় মৃৎশিল্পীরা

প্রকাশিত: ০৩:৪১, ৯ এপ্রিল ২০১৬

পৃথক বরাদ্দে ব্যাংক ঋণ চায় মৃৎশিল্পীরা

একসময় বৈশাখী মেলাসহ বছরের অন্যান্য সময়ে অনুষ্ঠিত মেলা পূজা-পার্বণে মাটির তৈরি মনোমুগ্ধকর খেলনা, শৌখিন জিনিসপত্র তৈরিতে পালপাড়ায় মহাধুম পড়ে গেলেও বর্তমানে তার চিহ্ন পর্যন্ত নেই। সদর ও নলডাঙ্গা উপজেলার তেবাড়িয়া হাট, পালপাড়া, আমহাটি, কাইশাবাড়ী, জগদ্বীশপুর, বাঙ্গালপাড়া গ্রামের বেশিরভাগ শিল্পী ব্যবসা ধরে রাখতে এ বছর শুধুমাত্র হাড়ি পাতিল, ফুলের টব তৈরিতেই ব্যস্ত সময় পার করছে। মৃৎশিল্পীরা ভালবেসে শতকষ্টের মধ্যেও এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। পরিস্থিতির কারণে মৃৎশিল্পের অস্তিত্ব ক্রমান্বয়ে সংকটাপন্ন করে তুলছে। পুঁজি স্বল্পতা, আর্থিকভাবে ক্রমাগত লোকসান মৃৎশিল্পের স্থায়িত্ব ও প্রসারকে ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত করছে। ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা না থাকায় অনেক শিল্পীই তাদের পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় নিজেদের সম্পৃক্ত করছে। নলডাঙ্গা উপজেলার বাঙ্গালপাড়া, কাইসাবাড়ী, জগদ্বীশপুর পালপাড়া মৃৎশিল্পের জন্য খ্যাত। এখানে দেখা হয় তিন সন্তানের জননী অর্চনা দাসের সঙ্গে। তার বাড়িতে ঢুকতেই চোখে পড়ে, বারান্দায় দরজার সামনে বসে মা মেয়ে চানাচুর প্যাকেটিং করছেন। মৃৎশিল্পের দুরবস্থার কারণে বিকল্প পেশা হিসেবে চানাচুর ভেজে মোড়কজাত করে বাজারে বিক্রি করে সংসার চালান। তিন মেয়ের পড়ালেখা ও ভরণ-পোষণের অর্থ জোগাড় করতে অনিচ্ছা সত্ত্বেও তিনি অন্য পেশায় যেতে বাধ্য হয়েছেন। তার মতো অবস্থা এ গ্রামের অনেকেরই। শিল্পী না বাঁচলে শিল্প বাঁচে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার এই শিল্পের জন্য আলাদা ব্যাংক ঋণ, সরকারী বেসরকারী অনুদানের ব্যবস্থা করলে মৃৎশিল্পকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব। -কালিদাস রায়, নাটোর থেকে
×