ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সামনে হালখাতা তৈরি হচ্ছে গণেশ ঠাকুর

প্রকাশিত: ০৩:৪১, ৯ এপ্রিল ২০১৬

সামনে হালখাতা তৈরি হচ্ছে গণেশ ঠাকুর

বাঙালী সংস্কৃতির সঙ্গে সেই আদিকাল থেকে জড়িয়ে আছে পাল সম্প্রদায়ের তৈরি তৈজষপত্র। আদিকাল থেকে মৃৎশিল্পীরা মাটি দিয়ে হাড়ি, পাতিল, সড়া, ঢাকনা, থালা, বদনা, ঢোকসা, সড়ই, কলসি, ডাবর, ফুলের টব, ব্যাংক, খেলনা, পুতুল, মূর্তি, কুয়ার পাট ইত্যাদি তৈরি করে আসছে। এসব সামগ্রী গ্রাম-বাংলার ঘরে ঘরে ব্যবহার হয়ে আসছে আদিকাল থেকে। তবে এই শিল্পটি স্বীকৃত শিল্প না হওয়ায় এবং বর্তমানে প্লাস্টিক, স্টিল, মেলামাইনের যুগে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। যদিও কর্মসংস্থানের অভাব, সামাজিক অবহেলা, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে অনেকেই পেশা ছেড়ে অন্য পেশা বেছে নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে। এসব কথা বললেন, নওগাঁয় পালপাড়ার গৌর চন্দ্র পাল, ইলা রানী পাল, রানু বালা পাল, অষ্টগোপাল পাল ও উর্মিলা পাল। গৌর প্রতিমা তৈরি করেন। উর্মিলা দৈয়ের হাড়ি, ইলা গণেশ ঠাকুর, গোপাল মাটির ব্যাংক, পুতুল, রানু বালা পূজার ঘট আর অষ্টগোপাল তৈরি করেন, মাটির হাড়ি-পাতিল, টব ইত্যাদি। ইলা রানী পাল ঘরে বসে গনেশ ঠাকুরে রং করছেন। ঘরে বসে মাটির তৈরি সামগ্রী বিক্রি করে সংসারে তিনি স্বামীকে সহায়তা করেন। তিনি বলেন, দিনে ৭/৮টি গণেশ ঠাকুর তৈরি করে থাকেন। আক্ষেপ করে বলেন, বর্তমানে তাদের মাটি কিনে নিয়ে এসব সামগ্রী তৈরি করতে হয়। কেউ মাটি দিতে চায় না। এছাড়া রং কিনতে হয়। সময় ও পরিশ্রম তো আছেই। বাইরের উঠানে বসে পূজার ঘট তৈরি করছিলেন, বৃদ্ধা রানুবালা পাল। স্বামী নগেন পাল অনেক আগেই মারা গেছেন। দিনে এখনো তিনি একশ’ ঘট তৈরী করেন। মাটি, জ্বালানি কাঠ, গুঁড়া ইত্যাদি কিনে তৈরি করতে হয়। পারিশ্রমিক ধরলে খরচই ওঠে না। Ñবিশ্বজিৎ মনি, নওগাঁ থেকে
×