ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

অফশোর কোম্পানির শেয়ারের মালিকানা পেয়েছিলেন ক্যামেরন

পানামা পেপার্স ॥ মার্কিন ধনী ও রাজনীতিকদের নাম নেই

প্রকাশিত: ০৩:৩১, ৯ এপ্রিল ২০১৬

পানামা পেপার্স ॥ মার্কিন ধনী ও রাজনীতিকদের নাম নেই

রাশিয়া থেকে চীন আর ব্রিটেন থেকে আইসল্যান্ডের কর্মকর্তা ও ধনীদের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করে দিয়েছে ‘পানামা পেপার্স’র তথ্য। তারা বিদেশে তাদের ধনসম্পদ লুকিয়েছেন- এমনটিই ফাঁস করে ওই পেপার্স। খবর এএফপির। কিন্তু একটি দলের কথা নেই সেখানে : বিশিষ্ট আমেরিকান নাগরিক, ধনকুবের ও রাজনীতিকদের নাম পানামার ল’ অফিস মোওস্যাক ফনসেকার ফাঁস হওয়া নথিপত্র থেকে লক্ষণীয়ভাবেই অনুপস্থিত। এ ল’ হাউস প্রকৃত মালিকদের পরিচয় গোপন করতে বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার স্পেল কোম্পাানি সৃষ্টি করেছিল। তাদের কেউ কেউ কর ফাঁকি দিয়ে থাকতে পারেন। হলিউড মোগল ও এ্যাসাইলুম রেকর্ডস এ্যান্ড ড্রিমওয়ার্কস এসকেজির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ডেভিড গেফেনের নাম পেপার্সে রয়েছে। কিন্তু আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বা রুশ প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে তুলনীয় এমন কারও নাম অন্তত এখনও পর্যন্ত পানামা পেপার্সে প্রকাশ পায়নি। আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর নাম এবং রুশ প্রেসিডেন্টের সমর্থকদের নাম ওই রেকর্ডে রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টসের ডেপুটি ডিরেক্টর ম্যারিনা ওয়াকার গুয়েভারা বলেন, সেখানে অনেক আমেরিকানেরই নাম রয়েছে, কিন্তু তারা অনেকাংশে বেসরকারী নাগরিকের মতোই। এ সংস্থাটি পানামা পেপার্সের তদন্ত ও প্রকাশকাজে সমন্বয় সাধন করে। তিনি এএফপিকে বলেন, কিন্তু এটা কদাচিৎই এ কথা বোঝায় যে, আমেরিকানরা পুরোপুরি আর্থিক স্বচ্ছতার পরিচয় দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, এটি যুক্তরাষ্ট্র অংশের ব্যবস্থার বাইরে রয়েছে বলে দেখায় না। আসলে যুক্তরাষ্ট্র এক বড় ভূমিকা পালনকারী। পানামা দলিলে আমেরিকানদের ক্ষুদ্র উপস্থিতির এক সম্ভাব্য কারণ হলো বিদেশে তহবিল ও তৎপরতা গোপন করার আশা করছেন এমন মার্কিন নাগরিকরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে স্প্যানিশাভাষী পানামার দিকে আকৃষ্ট হন না। কারণ তাদের হাতে ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ ও ক্যাম্যান দ্বীপপুঞ্জের মতো বিকল্প রয়েছে। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন আগামী সপ্তাহেই তার আয়কর বিবরণী প্রকাশ করতে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ডেভিড ক্যামেরন স্বীকার করে বলেছেন, তিনি ও তার স্ত্রী সামান্থা ক্যামেরন তার বাবা ইয়ান ক্যামেরনের অফশোর ট্রাস্টের শেয়ারের মালিকানা পেয়েছিলেন। ব্লেয়ারমোর হোল্ডিংস নামে অফশোর কোম্পানির বিসয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে ক্যামেরন বলেন, ২০১০ সালে ওই শেয়ার ৩০ হাজার পাউন্ডে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শেয়ারের লভ্যাংশের ওপর তিনি আয়কর শোধ করেছেন। সেগুলো থেকে কিছু মুনাফাও এসেছিল। কিন্তু সেই লভ্যাংশ ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স ভাতার চেয়েও কম ছিল। ফলে যুক্তরাজ্যের অন্যসব সাধারণ করের মতোই সেটি পরিশোধ করা হয়েছিল। পানামা পেপার্স নামে পরিচিত ধনী ও ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের কর ফাঁকির লাখ লাখ গোপন দলিলপত্র ফাঁস হওয়ার পর যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে, সেটি এখন অনেকের ভুল বোঝাবুঝির কারণেও হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ব্লেয়ারমোর বিষয়ে বলা হচ্ছে যে, কর ফাঁকি দেয়ার উদ্দেশ্যেই এটি করা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি তা নয়। বরং একটি এক্সচেঞ্জ কন্ট্রোল হিসেবে এটি তৈরি হয়েছিল।
×