ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৬:১২, ৮ এপ্রিল ২০১৬

উবাচ

সব ভোট জাপার! স্টাফ রিপোর্টার ॥ এমন শিরোনামে হকচকিয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে শর্ত প্রযোজ্য। আর এই শর্ত জুড়ে দিয়েছেন স্বয়ং পার্টিপ্রধান এরশাদ। জনপ্রিয়তা খোয়াতে থাকা জাপার জন্য তিনি নিরপেক্ষ নির্বাচনের শর্ত দিয়ে বলেছেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে সব ভোট জাপার বাক্সে গিয়ে ঢুকতো। অবশ্য অনেকে প্রশ্ন করতেই পারেন নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে কী করে এক দলের বাক্সেই সব ভোট ঢোকে? তাহলে কি সেই প্রক্রিয়া গণতান্ত্রিক হয়। বৃহস্পতিবার বগুড়া শহীদ টিটু মিলনায়তনে জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। এরশাদ বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন মেরুদ-হীন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বেশরম। তাকে রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আজিজ মার্কার চেয়েও এই কমিশনার খারাপ। এ কারণে মানুষের মনে ক্ষোভ রয়েছে। মানুষ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। যেখানেই যাচ্ছি মানুষের ঢল। মানুষ পরিবর্তন চাচ্ছে। এজন্য জাতীয় পার্টির প্রয়োজন। বগুড়া ও রংপুরে পার্টির অবস্থান খুব শক্তিশালী। এসব এলাকার আসনগুলো পুনরুদ্ধার করা গেলে আবারও জাপা ক্ষমতায় যাবে। তবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রয়োজন। কপ্টারে চড়ুন স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানী ঢাকার যানজটের জন্য কুখ্যাতি আছে। সেটা যে নতুন বিষয় তাও নয়। বহু পরিকল্পনা নেয়া হলেও কাজের কাজ খুব কমই হচ্ছে। আবার যেদিন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী রাস্তায় নামেন সেদিন তো কথাই নেই। অন্তত এক ঘণ্টা থেকে ৪৫ মিনিট থমকে থাকতে হয়। সম্প্রতি বিএনপি সরকারের সাবেক মন্ত্রী ওসমান ফারুক যানজটের কারণে দুই ঘণ্টা দেরিতে একটি আলোচনা সভায় পৌঁছে এজন্য রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের চলাচলকে দায়ী করেছেন। যদিও তিনি শুধু সমালোচনা না করে পরামর্শ দিয়েছেন কপ্টার ব্যবহার করার জন্য। গেল বুধবার সকালে গুলশানের বাসা থেকে রওনা হয়ে বেলা ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে ওই আলোচনা সভায় পৌঁছতে পারেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের এই উপদেষ্টা। ফারুক রাজধানীতে যানজটের অনেক কারণের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর চলাচলকে দায়ী করে বলেন, আমি মাননীয় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ রাখব, তারা যেন একটা বিকল্প পন্থা বের করেন রাস্তায় চলাচল করার জন্য। কারণ তাদের চলাচলে সমস্ত নগরজীবন ব্যতিব্যস্ত হয়ে যায়, বিপর্যস্ত হয়ে যায়। অনেক দেশে হেলিকপ্টার দিয়ে করা হয়, এখানেও হেলিকপ্টার ব্যবহার করে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা দিয়ে যাতায়াত করা অসম্ভব কিছু হবে না। গোলাপি, একটা কিছু কর স্টাফ রিপোর্টার ॥ দলীয় প্রতীকে প্রথমবার স্থানীয় নির্বাচনে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এখানে প্রশ্ন উঠেছে নির্বাচন কমিশনের ‘নির্লিপ্ততা’ নিয়ে। তবে একজন নির্বাচন কমিশনার বলছেন তাদের এসব দায় নেই। যদিও এ নিয়ে মুখ খুলছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর নির্বাচন কমিশন। এ কমিশন ইচ্ছা করলে নির্বাচন বাতিল করতে পারে, গ্রহণও করতে পারে। যে কারও চাকরিও খেতে পারে। কিন্তু এ কেমন কমিশন, লড়েও না, চড়েও না। আগায়ও না পিছায়ও না।’ তিনি কমিশনকে উদ্দেশ করে বলেন, একটা কিছু কর গোলাপি, একটা কিছু কর। সুরঞ্জিত বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গতকালও নয়জন মারা গেল। এখানে তুমি-আমি চক্ষু বুঁজে রাখতে পারি না। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদেরও আত্মাহুতি দিতে হচ্ছে। আমাদের নির্বাচন কমিশন এদের রক্ষা করতে পারে না। এরকম নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দিয়ে তো আমরা আসি নাই।
×