ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঘোড়াশাল বিদ্যুত কেন্দ্র উন্নয়নে ১৭৩৬ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক

প্রকাশিত: ০৬:০০, ৮ এপ্রিল ২০১৬

ঘোড়াশাল বিদ্যুত কেন্দ্র উন্নয়নে ১৭৩৬ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সক্ষমতা বাড়ছে ঘোড়াশাল বিদ্যুত কেন্দ্রের। এ কেন্দ্রের চতুর্থ ইউনিটের বিদ্যুত উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে ২১ কোটি ৭০ লাখ ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ^ব্যাংক। দেশীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৭৩৬ কোটি টাকা। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে আরও ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের চুক্তি হয়েছে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ইআরডির অতিরিক্ত সচিব কাজী শফিকুল আজম এবং বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডাইরেক্টর রাজেশ্বরী পারালকার। প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন ইআরডির উপ-সচিব আনোয়ার হোসেন। কাজী শফিকুল আজম বলেন, ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিদ্যুত খাতের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চলতি অর্থবছরে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে অর্থ ছাড়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে। দেশের বিদ্যুত ঘাটতি পূরণে এ প্রকল্পটি ব্যাপক অবদান রাখতে সক্ষম হবে। তিনি জানান, বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে যে ঋণ পাওয়া যায় তার ৪০ শতাংশ ব্যয় হয় অবকাঠামো খাতে আর ৪০ শতাংশ ব্যয় হয় মানব উন্নয়নে। সিদ্ধিরগঞ্জের ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণে অর্থায়নের পর ঘোড়াশাল চতুর্থ ইউনিটের রি-পাওয়ারিংয়ে বড় অঙ্কের অর্থ দিল বিশ্বব্যাংক। তিনি জানান, বিশ^ব্যাংক সহজ শর্তে এ ঋণ দিচ্ছে। সংস্থাটির ঋণের বিপরীতে বার্ষিক শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। এ ঋণের অর্থ ছয় বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। রাজেশ্বরী পারালকার বলেন, নতুন কান্ট্রি পার্টনারশিপের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সহযোগিতা শক্তিশালী হবে। এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিদ্যুত সরবরাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে এ প্রকল্পটি ভূমিকা রাখবে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে আগামীতে বিনিয়োগ বাড়াবে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, রি-পাওয়ারিংয়ের মাধ্যমে দ্রুত বিদ্যুত উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে সরকার। কারণ রি-পাওয়ারিংয়ের মাধ্যমে গ্যাসের ব্যবহার কমানো সম্ভব। পুরাতন বিদ্যুত কেন্দ্রের আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি এবং দূষণ কমানোও সম্ভব হয়। এজন্য ঘোড়াশালে দুটি ইউনিটের কাজ শুরু হচ্ছে। তৃতীয় ইউনিট বাস্তবায়নে অর্থ দিচ্ছে চীনের এক্সিম ব্যাংক। আর চতুর্থ ইউনিট বাস্তবায়নের জন্য বিশ^ব্যাংকের সঙ্গে ঋণ চুক্তি হয়েছে। ঘোড়াশাল চতুর্থ ইউনিট রি-পওয়ারিং প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিশ^ব্যাংক ১ হাজার ৭৩৬ কোটি টাকা দেবে। অবশিষ্ট অর্থ সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে দেয়া হবে।
×