৮ এপ্রিল যাচ্ছ তো সিনেমা হলে? ফেসবুকে মাহির এমন প্রশ্ন ভক্তদের একটু নাড়িয়েই দিল বোধহয়। নতুন করে মনে করিয়ে দিল, যেতে হবে তো! দেয়ালে দেয়ালে সাঁটা আছে পোস্টার, পাড়ায় মহল্লায় চলছে মাইকিং; তবুও। প্রিয় নায়িকার জিজ্ঞাসা বলে কথা! সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘কৃষ্ণপক্ষ’। ফাটিয়ে দিয়েছেন তাতে, এককথায় বলতে গেলে। নয়তো কি আর পুরো মাস জুড়ে প্রেক্ষাগৃহে এখন চলে কোন বাংলা ছবি? হুমায়ুন আহমেদের গল্প বলেই এত ভাল অভিনয় করতে পেরেছিলেন- মাহির বক্তব্য এমনটাই। মৌলিক গল্প তো আজকাল ধুমকেতু। খুব একটা দেখাই যায় না বাংলা চলচ্চিত্রাকাশে।
নায়িকা মাহির সময়টা খুব একটা ভাল যাচ্ছে না বলতেই হবে। পুরোপুরি খালি হাত, কোন কাজই নেই। দীপংকর দীপনের ‘ঢাকা এ্যাটাক’ও শেষ লগ্নে। মুক্তির মিছিলে যোগ হতে আরও সময় লাগবে। এই সুযোগে, ব্যক্তিগত মাহি কিন্তু দারুণ আছেন। ব্যস্ততা নেই বলে ঘুরে ঘুরে উপভোগ করছেন সময়টা। আজ এখানে তো কাল ওখানে। অভিনেতাদের এমন সুযোগ যেন কালের লক্ষ্মী।
এর ফাঁকেই মুক্তির ঘন্টা বেজে উঠল ‘অনেক দামে কেনা’র। উপলক্ষ্য বৈশাখ। পরিচালক জাকির হোসেন রাজু। প্রযোজনায় জাজ মাল্টিমিডিয়া। চার্লি চ্যাপলিনের বিখ্যাত ছবি ‘সিটি লাইট’ এর ছায়া অবলম্বনে নির্মিত এটি। ডিপজলও বড় পর্দায় ফিরছেন বহু বছর পরে, এই ছবিটিকে ঘিরেই। নিজের একাকীত্ব¡ ঘোচাতে প্রতি রাতে মদ খেয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো, দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো; এসবই নিয়ম তার। বাপ্পীকে জানেন ছোট ভাই হিসেবে। সেই বিশ্বাস থেকেই একদিন অতীত জীবনের সমস্ত কথা খুলে বলেন তাকে। আর, তখনই উঠে আসে দৃষ্টিশক্তিহীন নারী ফুল বিক্রেতা মাহির সঙ্গে তার ভালবাসার কথা। ‘অনেক দামে কেনা’ এগিয়েছে এমন গল্পের ¯্রােতেই।
জাজ-মাহি সম্পর্ক কি এগোবে আর? প্রশ্নটা অনেকেরই। জাজের কর্ণধার যদিও সময়ের উপরই ছেড়ে দিয়েছেন উত্তর; তবুও খুব সম্ভবত, জাজের সঙ্গে এটিই মাহির সর্বশেষ ছবি। বাপ্পির সঙ্গেও। আরিফিন শুভ, শাকিব খানের মতো তারকার বিপরীতেও আর দেখা যাবে না তাকে। এদের ছবিতে নাকি নায়িকাদের অভিনয়ের সুযোগ খুব একটা থাকে না। দুই-তিনটি গান আর স্বল্প পোশাকে কিছু দৃশ্য থাকে শুধু। এতে পোষাচ্ছে না মাহির। শুধু তাই নয়, মনের মতো পরিচালক এবং গল্প না পেলে নাকি কাজই করবেন না জাজের এই আবিষ্কার। বছরে একটি ছবি, সেটাও না হলে দুই বছরে একটি। তবুও পরিকল্পনার বাইরে যাবেন না একদমই, অন্তত দুই বছর। দুই বছর খুব বড় সময় নয় যদিও, মাহি কি অটুট থাকতে পারবেন এই সিদ্ধান্তে! বিষ্ময়টা কেটে যাবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গেই। এর আগে তো অভিনয়ই ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়ে ফেলেছিলেন! অবশ্য রাগ যখন কেটে গেছে, ঘোষণাটিও ফেটে গেছে।
এখনকার সিদ্ধান্তটি অবশ্য মাহির জন্য আত্মঘাতী। অনেকেই রাগ করছেন মনে মনে। বিপক্ষেও অবস্থান নিচ্ছেন কেউ কেউ। তবুও ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তিত নন তিনি। ভাবছেন সোজা-সাপ্টা, ‘যা হওয়ার হবে। ২০ বছর পরও যেন বলতে পারি, আমি অমুক অমুক ছবিতে অভিনয় করেছি। দর্শক ছবির নামের আগে যেন বলে, মাহির ছবি। হোক না সেটা সংখ্যায় ১০টি! এতেই খুশি আমি।’
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: