ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

স্বাধীনতা কাপ ফুটবল, রহমতগঞ্জ ৩-২ ফেনী সকার

আক্ষেপের হার ফেনী সকারের

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ৭ এপ্রিল ২০১৬

আক্ষেপের হার ফেনী সকারের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ঢিল মারলে যেমন পাটকেলটি খেতে হয়, তেমনি এক গোল করলে বিনিময়ে তিন গোল হজম করতে হয়! আরেক গোল শোধ করতেই শেষ হয়ে যায় সময়। তার এমনটাই ঘটেছে ফেনী সকার ক্লাবের বেলাতে। ‘কেএফসি স্বাধীনতা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট’-এর ‘বি’ গ্রুপের খেলায় বুধবার আগে গোল করেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে হারতে হয়েছে রহমতগঞ্জের কাছে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ঢাকা আবাহনীকে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছিল ফেনী সকার। অথচ সেই ফেনীই কি না ধরা খেল কাগজে-কলমে নিজেদের চেয়ে পিছিয়ে থাকা রহমতগঞ্জে! গত প্রিমিয়ার লীগে যেখানে ১১ দলের মধ্যে ফেনী ছিল আট নম্বরে, সেখানে রহমতগঞ্জ ছিল দশ নম্বরে। এই আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রহমতগঞ্জ ০-১ গোলে হেরেছিল টিম বিজেএমসির কাছে। রহমতগঞ্জের বিজয়ের নেপথ্য রূপকার দলের কোচ কামাল বাবুর। এই সেই কামাল বাবু, যার আছে কোচ হিসেবে এই আসরে শিরোপা জেতার রেকর্ড। ২০১২ সালে তার অধীনে ফরাশগঞ্জ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। হারিয়েছিল শেখ জামালের মতো দলকে। ১১ মিনিটে বক্সের ভেতর ফেনীর অধিনায়ক-ফরোয়ার্ড আকবর হোসেন রিদনের বাঁ পায়ের ক্রস থেকে বল পেয়ে তাতে পায়ের সংযোগ ঘটিয়ে বল জালে পাঠান ঘানাইয়ান ফরোয়ার্ড টুয়াম ফ্রাঙ্ক (১-০)। ২৫ মিনিটে মিডফিল্ডার সোহেল মিয়া গোল করে সমতায় ফেরান রহমতগঞ্জকে (১-১)। ৫২ মিনিটে রহমতগঞ্জের কঙ্গোলিজ ফরোয়ার্ড সিয়ো জুনাপিয়ো বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হন। ৬৬ মিনিটে সতীর্থ ফরোয়ার্ড নুরুল আবসারের ক্রসে গড়ানো শটে বল জালে পাঠান জুনাপিয়ো (২-১)। ৭১ মিনিটে দারুণ এক গোল পায় রহমতগঞ্জ। এবারও গোলদাতা জুনাপিয়ো। প্রায় মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে ফেনী সকারের বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। গোলরক্ষক ওসমান গনি তখন পোস্ট ছেড়ে বের হয়ে আসেন অনেক সামনে। গনিকে কাটানোর পর একদম ফাঁকা পোস্ট পেয়ে যান জুনাপিয়ো (৩-১)। গ্যালারিতে উপস্থিত গুটিকয়েক দর্শক হাস্যকর গোল দেখে যথেষ্ট পুলকিত হন। ৯০ মিনিটে প্রায় মাঝমাঠ থেকে সতীর্থকে পাস দেন ফেনীর বদলি ফরোয়ার্ড ইকবাল হোসেন ভুইয়া। বল রিসিভ করে জালে ঠেলে দেন ঘানাইয়ান ফরোয়ার্ড টুয়াম ফ্রাঙ্ক (৩-২)। ফলে আক্ষেপ বাড়ে ফেনী সকারের। হয় তো আরেকটু সময় পেলে তিন নম্বর গোলটাও করে ফেলত তারা! রহমতগঞ্জের পয়েন্টে ভাগ বসাতে পারত। তবে তা আর হয়নি। ফলে ভগ্ন মনোরথেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে লাডি বাবা লোলার শিষ্যদের।
×