ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ফিলিপিন্সে অং প্রতিশ্রুত ১২২ কোটি টাকা পুনরুদ্ধার নিয়ে হতাশা

প্রকাশিত: ০৬:০০, ৭ এপ্রিল ২০১৬

ফিলিপিন্সে অং প্রতিশ্রুত ১২২ কোটি টাকা পুনরুদ্ধার নিয়ে হতাশা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রিজার্ভ জালিয়াতির অর্থের একাংশ ফেরত আনতে বাংলাদেশের তদন্তকারী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিরা ফিলিপিন্সে গেলেও সেই অর্থ পুনরুদ্ধার নিয়ে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে ফিলিপিন্সের ব্যাংকিং ব্যবস্থাসহ দেশটির বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের দায় চিহ্নিত করার পরও চলমান প্রক্রিয়ায় সন্তুষ্ট নন দেশটিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত গোমেজ। তিনি জানিয়েছেন, রসিদে স্বাক্ষর করিয়ে দুই ধাপে তাদের হাতে চীনা বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী কিম অংয়ের ফেরত দেয়া অর্থ তুলে দেয়া হলেও পরে তা ফিলিপিন্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে রেখে দেয়া হয়েছে। তবে বুধবার ব্লু-রিবন কমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর তেওফিস্তো গুইনগোনা জানান, দেওয়ানি বাজেয়াফতকরণের মামলার মাধ্যমে কিম অংয়ের ফেরত দেয়া অর্থ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। এদিকে টাকা পাওয়া তো দূরের কথা, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া প্রায় ৬৫০ কোটি টাকার মধ্যে কমপক্ষে ৫শ’ কোটি টাকার হদিস এখনও মেলেনি। কিম অং নিজ থেকে যা ফেরত দিয়েছেন এবং দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২২ কোটি টাকা। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে থাকা টাকা চুরির ঘটনা তদন্তে সিআইডির তিন সদস্য বুধবার রাতে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। এর আগে মঙ্গলবার রাতে ফিলিপিন্সের উদ্দেশে রওনা দেয় আরও তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের চুরি হওয়া টাকার কিছু অংশ উদ্ধারের পর ফিলিপিন্স থেকে তা কিভাবে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে সে ব্যাপারে ফিলিপিন্সে একটি বৈঠক হয়েছে। সিনেট ব্লু-রিবন কমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর তিওফিস্টো গুইনগোনার উদ্যোগে আয়োজিত এ বৈঠকে ফিলিপিন্সের মানি লন্ডারিং কাউন্সিলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন ম্যানিলায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ। বৈঠক শেষে রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, রসিদে স্বাক্ষর করিয়ে দুই ধাপে তাদের হাতে চীনা বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী কিম অংয়ের ফেরত অর্থ তুলে দেয়া হলেও পরে তা ফিলিপিন্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে রেখে দেয়া হয়েছে। তবে বৈঠকের পর ব্লু-রিবন কমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর তেওফিস্তো গুইনগোনা জানান, দেওয়ানি বাজেয়াফতকরণের মামলার মাধ্যমে কিম অংয়ের ফেরত দেয়া অর্থ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। শুনানির পর এএমএলসি নির্বাহী পরিচালকের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ সাংবাদিকদের কাছে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, এই বিষয়টি আমাদের কাছে একদমই নতুন। কারণ এর আগে আমাদের কাছে এএমএলসি একটি লিখিত বক্তব্য পাঠিয়েছিল, এএমএলসি অফিসে গিয়ে আমাদের অর্থ সংগ্রহ করার জন্য। তিনি আরও বলেন, আমরা এর আগে একটি রসিদে স্বাক্ষর করে ৪.৬৩ মিলিয়ন ডলার গ্রহণ করেছিলাম। দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব ওই অর্থ গণনা করেন। সোমবারও আমি এক রসিদে স্বাক্ষর করে ৩৮.২৮ মিলিয়ন পেসো (ফিলিপিনো মুদ্রা) গ্রহণ করি। দূতাবাস প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা ওই অর্থ গণনা করেন। ওই অর্থ আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং আমরা তা গ্রহণও করি। কিন্তু এরপর ওই অর্থ গেল ভল্টে। গোমেজ জানান, আগামী ১৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে যে ৪৫০ মিলিয়ন পেসো জমা দেবেন বলে কিম অং জানিয়েছেন, তা গ্রহণের জন্যও বাংলাদেশ সরকার তৈরি রয়েছে। তিনি আরও জানান, ফিলিপিন্স কর্তৃপক্ষ ওই অর্থ বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করলে তা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে। তবে আবাদ জানিয়েছেন, কিম অংয়ের কাছ থেকে লিখিত স্বীকারোক্তি ছাড়া তারা কোন অর্থ বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে পারবেন না। তিনি বলেন, আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি এবং আমি নিশ্চিত, বৃহস্পতিবারের মধ্যে একটা সমাধান বের করা সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, ওই অর্থ যেখানেই থাকুক না কেন, তা পুনরুদ্ধার করা হবে। এদিকে, কিম অংয়ের আইনজীবী ইনোসিও ফেরার বলেন, সঠিক প্রক্রিয়া অবলম্বন না করে এএমএলসির ওই অর্থ ফেরত দেয়া উচিত নয়। শুনানিতে আবাদ বলেন, এই বিষয়টি উঠে এসেছে যে, তারা কেবল ওই অর্থ এএমএলসির কাছে জমা রাখতে ইচ্ছুক, কিন্তু আমরা তা বাংলাদেশের কাছে ফেরত দিতে চাইছি। আমি মনে করি সকলেই তা জানেন। আমরা এই বিষয়টি পরিষ্কার করতে চাই যে, বাংলাদেশের কাছে ওই অর্থ ফেরত দেয়াতে তার (কিম অং) কোন আপত্তি নেই। শুধু বস্তুগতভাবে ওই অর্থ বাংলাদেশের কাছে ফেরত দেয়া বাকি রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে তিনি (গোমেজ) রসিদে স্বাক্ষর করে ওই অর্থ গ্রহণ করেছেন। তবে চলমান প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রদূত গোমেজ যে সন্তুষ্ট নন, তা তার বক্তব্যেই ফুটে ওঠে। তিনি বলেন, কিন্তু আপনি (আবাদ) আমাকে ফোন করে বলেছিলেন, আধঘণ্টার মধ্যে অর্থ আসছে। আপনাকে তা গ্রহণ করতে হবে, আপনাকে রসিদে স্বাক্ষর করে ওই অর্থ গ্রহণ করতে হবে। আপনি আরও বলেছিলেন, আপনাকে প্রতিটা ডলার গোনার সময় সামনে থাকতে হবে। এই অবস্থায় মঙ্গলবার ব্লু-রিবন কমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর তেওফিস্তো গুইনগোনা বলেন, এই মুহূর্তে আমি মনে করি আপনাদের কোন পক্ষের মধ্যেই কোন চুক্তি নেই। দেখি, আমরা কিভাবে এই সমস্যার সমাধান করতে পারি। তার মধ্যস্থতায় বুধবার এএমএলসি এবং বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর সিনেটর গুইনগোনা জানান, এএমএলসি আদালতের আদেশ চেয়ে একটি দেওয়ানি বাজেয়াফতকরণের মামলা দায়ের করবে। এর মাধ্যমে ক্যাসিনো ব্যবসায়ী কিম অং-এর কাছ থেকে ফেরত পাওয়া অর্থ বাজেয়াফত করে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া প্রায় ৬৫০ কোটি টাকার (৮ কোটি ১০ লাখ ডলার) মধ্যে কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকার হদিস এখনও মেলেনি। ফিলিপিন্সে ক্যাসিনো ব্যবসায়ী কিম অং নিজ থেকে যা ফেরত দিয়েছেন এবং দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তার পরিমাণ দাঁড়াবে ১২২ কোটি টাকা। সাংবাদিকদের সঙ্গে টেলি-সাক্ষাতকারে সিনেটর বলেন, এএমএলসি এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের মধ্যকার বৈঠকে এএমএলসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, কিম অং লিখিত অনাপত্তি না দিলেও তারা দেওয়ানি বাজেয়াফতকরণের মামলা দায়ের করে অর্থ হস্তান্তর প্রক্রিয়া এগোতে আদালতের আদেশ নেবে। আদালতের আদেশ পাওয়ার পর বাংলাদেশ সরকারের কাছে অর্থ হস্তান্তরে আর কোন আইনি বাধা থাকবে না বলে জানান তিনি। গুইনগোনা আরও বলেন, সাধারণত আদালতের এ ধরনের আদেশ পেতে খুব একটা সময় লাগে না। এমন মামলায় যদি কেউ ওই অর্থ তার নিজের অর্থ বলে দাবি করে, তাহলে কিছুটা সময় লাগে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে এমনটা হচ্ছে না। তাই পুরো বিষয়টি ফয়সালা করতে সম্ভবত এক থেকে দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, এই মুহূর্তে প্রধান কাজ হলো একটি বাজেয়াফতকরণের মামলা দায়ের করা। কারণ এটাই সঠিক আইনী প্রক্রিয়া, যা অনুসরণ করতেই হবে। এখানে তিনটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ, যার ভিত্তিতে আদালতে যাওয়া হচ্ছে এক. ওই অর্থ বাংলাদেশের, দুই. ওই অর্থ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো উচিত এবং তিন. তা বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আদেশ প্রদান করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক সঠিক পথেই এগোচ্ছে ॥ বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গবর্নর হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পরে বুধবার প্রথম পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক করেন ফজলে কবির। এ বৈঠকে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নেয়া সকল উদ্যোগ জানানো হয়েছে পরিচালনা পর্ষদকে। একইসঙ্গে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক এখনও ’রাইট ট্রাকে’ আছেন। বুধবার বিকেল পৌনে ৬টায় পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক জামাল উদ্দিন। বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গবর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাটি শেষ হয় বিকেল পৌনে ৬টার দিকে। সভা শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বলেন, রিজার্ভ চুরির সামগ্রিক বিষয় বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে এ জন্য পর্ষদকে আইটি নিরাপত্তা নিñিদ্র করার বিষয়ে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ লুটের ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পরে পর্ষদের সভা ডাকতে বলা হয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। তখন সাবেক গবর্নর ড. আতিউর রহমান এক অনুষ্ঠানে ভারতে ছিলেন। তার দেশে ফেরার পরেই এ সভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে হঠাৎ করেই সে সভা স্থগিত করা হয়। সিআইডি দল এখন শ্রীলঙ্কা ও ফিলিফিন্সে ॥ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে থাকা টাকা চুরির ঘটনা তদন্তে সিআইডির তিন সদস্য বুধবার রাতে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে ফিলিপিন্সের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে আরও তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের দলটি শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। এই দলে সিআইডির এক নারী সদস্য ও ডিবির একজন রয়েছেন। এর আগে মঙ্গলবার রাতে সিআইডির উপমহাপরিদর্শক সাইফুল আলমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের অপর একটি দল ফিলিপিন্সের উদ্দেশে রওনা হয়। দলের অন্য সদস্যরা হলেনÑ সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (অর্গানাইজড ক্রাইম) মির্জা আবদুল্লাহ হেল বাকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হানুল কবীর। সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত দিতে হবে আরসিবিসিকেই ॥ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া অর্থ ফিলিপিন্সের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকে যাওয়ায়, এ ঘটনার দায় নিয়ে সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত দিতে হবে আরসিবিসিকেই। বুধবার ফিলিপিন্স সংবাদ মাধ্যম এবিএস-সিবিএন-কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এ মন্তব্য করেছেন দেশটির সিনেট সদস্য কোকো পিমেনটেল। তিনি জানান, বাংলাদেশ থেকে অর্থ ছাড় না করার নির্দেশনা পেয়েও তা না মানায় আরসিবিসি অপরাধ করেছে। পিমেনটেল বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব, সম্পূর্ণ অর্থ উদ্ধার করতে। কিন্তু আরসিবিসির কাছে ডলার ছাড় না করার অনুরোধ এলেও তারা পাত্তা দেয়নি, এটাও মাথায় রাখতে হবে। আমি মনে করি, এই দায়বোধ থেকেই বাংলাদেশকে সব ডলার ফেরত দেয়া উচিত আরসিবিসির। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি এটা ভেবে যে, স্টপ পেমেন্ট অর্ডার আসার পরও কিভাবে একটি ব্যাংক অর্থছাড় করে? এটাই তাদের দুর্বলতা আর দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিচ্ছে, ছুটি কোন অজুহাত হতে পারে না। ‘ব্যাংকটি এখন দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে’ এমন প্রশ্নের জবাবে পিমেনটেল বলেন, আমাদের তদন্তে কিম অং, মায়া দেগুইতো, ট্যান, উইলিয়াম গো এবং গাও আর দিংসহ ৭ জনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে, কিছুটা দায় রয়েছে ফিলরেমেরও। সুতরাং দায় এড়ানোর এখানে কোন সুযোগ নেই। অর্থ চুরির ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার লরেঞ্জো তানের ॥ অর্থ চুরির ঘটনার সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফিলিপিন্সের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের প্রেসিডেন্ট লরেঞ্জো তান। এ ঘটনা তদন্তকারী সিনেট কমিটির শুনানিতে দেয়া রিজালের সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দিগুইতোর বক্তব্যকে মিথ্যা অভিহিত করেছেন তিনি। বুধবার দেশটির ইংরেজী দৈনিক ইনকোয়ারার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে মঙ্গলবারের শুনানিতে দেশটির রিজাল ব্যাংকের জুপিটার শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দিগুইতো বলেন, ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট লরেঞ্জো তানের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করেছেন তিনি। তবে এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে প্রেসিডেন্ট তান বলেন, তার সুনাম নষ্ট করতেই দিগুইতো এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। নিজের দোষ ঢাকতেই দিগুইতো রিজাল ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন। অর্থ চুরির ঘটনার সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকারও করেন তিন।
×