ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিমানঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউরকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি

জনগণের টাকায় কেনা যুদ্ধোপকরণ ব্যবহারে যত্নবান হতে হবে

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ৭ এপ্রিল ২০১৬

জনগণের টাকায় কেনা যুদ্ধোপকরণ ব্যবহারে যত্নবান হতে হবে

বিডিনিউজ ॥ যশোরে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানকে ‘ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড’ দিয়ে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ জনগণের টাকায় কেনা যুদ্ধোপকরণ ব্যবহারে আরও যতœবান হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী একটি উচ্চতর কারিগরি বাহিনী, যেখানে পেশাগত দক্ষতার গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। ‘এ দক্ষতা একদিকে যেমন আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে, তেমনি সংগঠনের জন্যও বয়ে আনে সুনাম ও মর্যাদা। জনগণের কষ্টার্জিত অর্থের বিনিময়ে সংগৃহীত বিমান, রাডার, যুদ্ধোপকরণের কার্যকর ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণে আপনাদের হতে হবে অধিকতর যতœবান।’ বিমানবাহিনীর বিভিন্ন কার্যক্রমের পাশাপাশি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন কাজে অবদানের জন্য বুধবার মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটিকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড (জাতীয় পতাকা) দেন রাষ্ট্রপতি। এ উপলক্ষে ঘাঁটি মতিউরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সশস্ত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক আবদুল হামিদ বলেন, ‘সঠিক প্রশিক্ষণ শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখতে সহায়তা করে, পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়ায় এবং কর্তৃপক্ষের প্রতি আনুগত্য শেখায়। তাই দাফতরিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিবিড় প্রশিক্ষণও চালিয়ে যেতে হবে।’ নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণে পরিবর্তন আনার কথা বলেন রাষ্ট্রপতি। ‘বিশ্বায়ন ও প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশ বিশ্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নানা পরিবর্তন আনছে। বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ মোকাবেলায় নতুন নতুন কৌশল নেয়া হচ্ছে। ফলে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা ও দায়িত্বেও যোগ হচ্ছে নতুন মাত্রা। তাই বিমানবাহিনীর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন আনতে হবে এবং প্রতিটি পর্যায়ে আন্তর্জাতিক মানের প্রতিফলন ঘটাতে হবে।’ ‘ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড’ পাওয়ায় বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটির সকল সদস্যকে অভিনন্দন জানান আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটিতে অবস্থিত ২১০ রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিট বাংলাদেশের প্রথম আইএসও সনদপ্রাপ্ত বিমান ওভারহলিং প্রতিষ্ঠান। এই ইউনিটটি নিজস্ব কারিগরি জনবলের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১২২টি পিটি-৬ বিমানের ওভারহলিং কাজ সম্পন্ন করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করেছে। এর আগে রাষ্ট্রপতি প্যারেড চত্বরে পৌঁছলে বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল আবু এসরার এবং বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির অধিনায়ক এয়ার কমোডর মোঃ শফিকুল আলম তাকে স্বাগত জানান। প্যারেডে বিমানবাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল রাষ্ট্রপতিকে সালাম জানায়। রাষ্ট্রপতি খোলা জিপে চড়ে প্যারেড পরিদর্শন করেন। বিমানবাহিনী প্রধান এবং প্যারেড অধিনায়ক উইং কমান্ডার আরিফ আহমেদ দিপু এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন। প্যারেডে জাতীয় পতাকাসহ হেলিকপ্টার পাস অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্যসহ বেসামরিক-সামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
×