ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের জন্য নয়া সহায়তা কৌশল অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ৭ এপ্রিল ২০১৬

বাংলাদেশের জন্য নয়া সহায়তা কৌশল অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশে আগামীতে সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করতে নতুন কৌশলের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বুধবার বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় নতুন কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্কের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর আলোকে আগামী পাঁচ বছর বাংলাদেশে সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করবে সংস্থাটি। বুধবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন এ কৌশলপত্র ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের আয়ে উন্নীত হতে সহায়ক হবে বলে দাবি করা হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রতিবছর ২১ লাখ যুবক কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছে। তাদের জন্য ভালমানের কর্ম সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে নতুন কৌশলপত্র। বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও দারিদ্র্য দূর করতে কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে প্রথম শর্ত হিসেবে দেখছে বিশ্বব্যাংক। নতুন কৌশলপত্রে টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তাছাড়া সরকারের সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্যার্জনেও বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে নতুন কৌশলপত্রে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান কার্যালয়ের কান্ট্রি ডাইরেক্টর কিমিও ফান বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ দারিদ্র্য দূরীকরণে উল্লেখ করার মতো অগ্রগতি করেছে। এ সময়ে অর্থনৈতিক উন্নতি এবং প্রবৃদ্ধিও হয়েছে বেশ ভাল। তবে এ সব বিষয়ে দেশটির আরও ভাল কিছু করার সুযোগ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বর্তমানে প্রধান আলোচ্য বিষয় কর্মসংস্থান। টেকসই ও বাড়তি প্রবৃদ্ধির জন্য কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। আগামীতে বাংলাদেশের উন্নয়নে বাধা দূর করতে বিশ্বব্যাংক সহায়তা দেবে। বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যালয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন এ বিষয়ে বলেন, ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সময়কালের কৌশলগত পরিকল্পনায় প্রবৃদ্ধি বাড়ানো, প্রবৃদ্ধির সুফল সবার কাছে পৌঁছে দেয়া ও টেকসই প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে প্রতিযোগী সক্ষমতা নিশ্চিত করায় গুরুত্ব দিতে হবে। সবার কাছে প্রবৃদ্ধির সুফল পৌঁছাতে নতুন কৌশলপত্রে সামাজিক অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থায় বিশেষ গুরুত্ব থাকছে। শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তায় দেয়া হবে বিশেষ গুরুত্ব। সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলপত্র বাস্তবায়নেও গুরুত্ব দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। তিনি বলেন, টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব থাকছে। বিদ্যুত খাত, পরিবহন কৃষি ব্যবস্থায় দূষণ কমাতে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই নিম্ন মধ্য আয়ের দেশের মর্যাদা লাভ করেছে এবং ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশে যেতে চাচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাপক দারিদ্র্য নিরসন এবং কর্মসংস্থানের প্রয়োজন। বিশ্বব্যাংক গ্রুপ বাংলাদেশের উচ্চ এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। বিশ্বব্যাংক গ্রুপ বাংলাদেশ সরকারের সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাকে গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করে দেখেছে বাংলাদেশের টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান তৈরির জন্য আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরে বিদ্যুত উৎপাদন, চরাঞ্চলে যোগাযোগ, আঞ্চলিক ও বিশ্ব যোগাযোগ শহরায়ন এবং ব-দ্বীপ পরিকল্পনায় বিশেষ নজর দিতে হবে।
×