ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইলিশের মণ এক লাখ ৭০ হাজার টাকা

প্রকাশিত: ০৪:২১, ৭ এপ্রিল ২০১৬

ইলিশের মণ এক লাখ ৭০ হাজার টাকা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সামনে পহেলা বৈশাখ। এ উৎসবকে ঘিরে ইলিশ খেতে নিরুৎসাহিত করতে প্রচারণার পরও বরিশালে ইলিশের পাইকারি বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মাছের দাম। বড় ইলিশের মণ এখনই এক লাখ ৭০ হাজার টাকা। এতে ইলিশ চলে গেছে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। ইলিশের সঙ্গে বাংলা নববর্ষের কোন যোগসূত্র না থাকলেও সংস্কৃতির ধোঁয়া তুলে শহরের মানুষ অনেকটা ঘটা করে পান্তার সাথে ইলিশ খাওয়ার রেওয়াজ গড়ে তুলেছে। একদিকে চলছে ইলিশের পোনা বেড়ে ওঠার জন্য জাটকা সংরক্ষণ। অন্যদিকে, পহেলা বৈশাখে ইলিশ খেতে নিরুৎসাহিত করতে চলছে প্রচারণাও। কিন্তু নববর্ষকে ঘিরে ইলিশের চাহিদা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। আর চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় হু হু করে বাড়ছে ইলিশের দাম। ফলে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে ইলিশ। ইলিশের পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, ৩০ চৈত্র পর্যন্ত ইলিশের দাম বাড়া অব্যাহত থাকবে। তবে দেশের স্বার্থে এবং ইলিশ রক্ষায় পহেলা বৈশাখ ইলিশ খাওয়ার রেওয়াজ বন্ধ করার পরামর্শ সুধীজনদের। বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি এস এম ইকবাল বলেন, ‘এক সাথে সবাই ইলিশ খেলে বাড়তি চাপ পড়বে। টাকা স্থানান্তরে গ্রাহকরা নিচ্ছে না পুলিশ এসকট অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ব্যাংকের গ্রাহকদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের চালু করা বিনামূল্যের মানি এসকট সেবা কেউ নিচ্ছেন না বললেই চলে। অনেকে নিচ্ছেন না সেবাটি সম্পর্কে না জানার কারণে। আবার পুলিশের প্রতি আস্থাহীনতার কারণে জানার পরও সে পথে যাচ্ছেন না কেউ কেউ। ব্যাংকের গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে পাওয়া গেছে এ চিত্র। অপরাধ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ সেবাটি কার্যকর করার ক্ষেত্রে পুলিশের আরও মনযোগী হওয়া উচিত। রাজধানীর যে কোন ব্যাংকের ভেতরে ঢুকলেই চোখে পড়বে এ ধরনের বিজ্ঞপ্তি। যাতে ওই এলাকার জন্য প্রযোজ্য থানার উর্ধতন কর্মকর্তাদের নম্বর দিয়ে টাকা নিরাপদে গন্তব্যে নিয়ে যেতে পুলিশের মানি এসকট সেবা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। একটি বেসরকারী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক জানালেন, বড় লেনদেনের সময় মৌখিকভাবেও তারা গ্রাহকদের উদ্বুদ্ধ করে থাকেন। কিন্তু এ প্রস্তাবে গ্রাহকদের তেমন আগ্রহ দেখা যায় না। ধানম-ি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ম্যানেজার বদিউল আলম বাদল বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করি গ্রাহকদের কাছে এই বার্তা পৌঁছাতে যদি তারা টাকা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে তাহলে তারা পুলিশের সাহায্য নিতে পারেন। তবে গ্রাহকরা এই সাহায্য নেবেন কি নেবেন না সেটা তাদের একান্ত নিজস্ব ব্যাপার।’
×