ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পোশাক শিল্পের অগ্রযাত্রায় পাশে থাকবে চট্টগ্রাম বন্দর

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ৭ এপ্রিল ২০১৬

পোশাক শিল্পের অগ্রযাত্রায় পাশে থাকবে চট্টগ্রাম বন্দর

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি পণ্যের একটি বড় অংশই পোশাক শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। কাঁচামাল আমদানি এবং উৎপাদিত পণ্য রফতানি হয়ে থাকে এ বন্দর দিয়ে। এ খাতটির অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বন্দর। ভবিষ্যতেও পোশাক শিল্পের অগ্রযাত্রায় পাশে থাকবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বুধবার সংগঠনটির একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল। তিনি পোশাক শিল্পের আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে কোন প্রতিবন্ধকতা থাকলে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসও প্রদান করেন। বিজিএমইএ’র প্রথম সহসভাপতি মঈনউদ্দিন আহমেদ মিন্টুর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন পরিচালনা পর্ষদের সদস্য কাজী মাহাবুব উদ্দিন জুয়েল, এএম মাহাবুব চৌধুরী, সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, মোহাম্মদ সাইফ উল্লাহ মনসুর, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, প্রাক্তন পরিচালক- এমডিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও অঞ্জন শেখর দাস, বিজিএমইএ সদস্য এমএ হান্নান, গোলাম সোবহানী প্রমুখ। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (এডমিন ও প্ল্যানিং) জাফর আলম ও বন্দর সচিব ওমর ফারুকসহ বন্দরের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০২১ সালে ৫০ বিলিয়ন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ধারাবাহিক প্রচেষ্টা হিসেবে বিভিন্ন অবকাঠামোগত সমস্যা থেকে উত্তরণে গ্যাস বিদ্যুত সুবিধাসহ গার্মেন্টস্ জোন স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে বলে বন্দর চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়। তারা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত লক্ষ্যে ইয়ার্ডভিত্তিক পর্যাপ্ত ইকুইপমেন্ট স্থাপন ও জেটি সম্প্রসারণে ওভার ফ্লো ইয়ার্ডসহ বে-টার্মিনালের নির্মাণ, পোশাক শিল্পের বর্তমান সঙ্কটময় সময়ে দ্রুত রফতানির স্বার্থে কন্টেনারের ক্ষেত্রে জাহাজের কাট-অফ-টাইম শিথিলকরণ অব্যাহত রাখা, এলসিএল পণ্য দ্রুত ডেলিভারির ব্যবস্থা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে পোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পোশাক শিল্পের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে সম্পাদনে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন জেটির সম্প্রসারণসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন এবং বন্দর সম্পর্কিত পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধানে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন। ঢাকাই মসলিনের ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে গবেষণা করছে তাঁত বোর্ড প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহ নির্দেশনার আলোকে বাংলাদেশের সোনালি ঐতিহ্য বিশ্বখ্যাত ‘মসলিন’ প্রযুক্তি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড। ইতোমধ্যে সরকার বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড, বিটিএমসি, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ০৭ (সাত) সদস্য বিশিষ্ট একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে। বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড গবেষণার মাধ্যমে মসলিনে ব্যবহৃত ফুটি কার্পাস পুনরুদ্ধার ও উৎপাদন থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে সুতা তৈরি এবং চূড়ান্তভাবে মসলিনের ডিএনএ পরীক্ষা ফাইবার শনাক্তকরণ, ফাইবার দৈর্ঘ্য, মাইক্রোনিয়ার ভেল্যু, সুতার কাউন্ট নির্ণয়, সুতার টুইস্ট নির্ণয়, টেনসিল ট্রাম্প ইয়ার্ন ডেনসিটি, জিএসএম ইত্যাদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এ লক্ষ্যে কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। -বিজ্ঞপ্তি
×