ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিএম ডব্লিউ জালিয়াতি

পুলিশকে ফাঁকি দিলেও ধরা পড়ল শুল্ক গোয়েন্দার হাতে

প্রকাশিত: ০৮:৩৯, ৬ এপ্রিল ২০১৬

পুলিশকে ফাঁকি দিলেও ধরা পড়ল শুল্ক গোয়েন্দার হাতে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শুধু জালিয়াতি করে তিন কোটি টাকার গাড়ি আমদানি করেই ক্ষান্ত হননি তিনি। সেই গাড়ি আবার অন্য গাড়ির নামে রেজিস্ট্রেশন করে দিব্যি চালাতেন। কেউ ধরার সাহস পেত না। গাড়ির কাগজপত্র ঠিক আছে কি না তা- সন্দেহ করারও উপায় ছিল না পুলিশের। কিন্তুু পুলিশ না পারলেও শুল্ক গোয়েন্দা ঠিকই তাকে খুঁজে পায়। তারপর ফাঁস করা হয় বিএমডব্লিউ নামের এই বিলাসবহুল গাড়ির অজানা সব কাহিনী। যিনি চালাতেন এই গাড়ি- তিনি কাজী রেজাউল মোস্তফা, গুলশান ২ এর ১০৪ নং রোডের ৫জি বাড়ির বাসিন্দা। তিনি মূলত জেনারেটর ব্যবসায়ী। সোমবার রাতে শুল্ক গোয়েন্দা ওই বাড়িতেই অভিযান চালিয়ে গাড়িটি জব্দ করে। বর্তমানে শুল্ক গোয়েন্দা হেফাজতে রাখা হয়েছে বিলাসবহুল গাড়িটি। বিএমডব্লিউ এক্স-৬ মডেলের এই গাড়িটির কাগজপত্রে দেখা যায়, ঢাকা-মেট্রো ঘ- ১৪-০৩৪৩,চ্যাসিস নং-এনবিএফএ ৫২০৫০এলএম৪৯৭১৯। কিন্তুু বিআরটিএ-এর রেজিস্ট্রেশন অনুযায়ী গাড়িটির কাগজপত্রে চ্যাসিস নং উল্লেখ করা আছে আরডিআই-১০৯৯৩৫৯। একই গাড়ির দুই চ্যাসিস নাম্বার সম্পর্কে শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক ডক্টর মইনুল খান জানান, এটি কার্নেট ডি প্যাসেজ সুবিধায় আনেন জনৈক লন্ডন প্রবাসী সিলেটি। তার কাছ থেকে কিনে নেন গুলশানের ব্যবসায়ী কাজী রেজাউল মোস্তফা। তারপর তিনি ঢাকায় বিআরটিএ থেকে অন্য একটি গাড়ির নাম্বারে বিএমডব্লিউ গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নেন। যা সর্ম্পণূ জালিয়াতি ও ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়। এ বিষয়ে খোজ নেয়া হচ্ছে। জালিয়াতির বিষয়টি আরও অধিক তদন্তে প্রমাণিত হলে- ওই ব্যক্তির বিরুদ্বে ফৌজদারি আইনে মামলা দায়ের করা হবে। এ ধরনের নাম্বারবিহীন গাড়ি রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্যও হুমকিস্বরূপ।
×