ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিলেন মেসি

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ৬ এপ্রিল ২০১৬

অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিলেন মেসি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পানামার আইনী প্রতিষ্ঠান মোসাক ফনসেকার ফাঁস হওয়া নথি বিশ্বে শোরগোল সৃষ্টি করেছে। ফাঁস হওয়া নথিতে যাদের নাম উঠে এসেছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই বিভিন্নক্ষেত্রে বিশ্বে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছেন। বর্তমান বিশ্বের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসির নাম থাকায় ফুটবল বিশ্বও কেঁপে উঠেছে। তবে মেসি ভক্তদের জন্য স্বস্তির খবর, পানামা পেপারস নামক ফাঁস হওয়া নথিতে মেসির নাম আসার পর তার ক্লাব বার্সিলোনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ইস্যুতে মেসির প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাবে ক্লাবটি। তাছাড়া মেসির পরিবারও বিষয়টি অস্বীকার করে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের উদ্ধৃতিতে এমনটিই জানা গেছে। মোসাক ফনসেকার বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে অবৈধ আর্থিক লেনদেনে সহায়তা দেয়ার যে বোমা ফাটানো খবর বেরিয়েছে, সেখানে মেসিও কর ফাঁকি দিতে এই প্রতিষ্ঠানটির সেবা নিয়েছিলেন বলে জানানো হয়েছে। তবে মেসির পরিবারের তরফ থেকে এই খবরের সত্যতা উড়িয়ে দেয়া হয়েছে। অভিযোগ আছে, মেসি ও তার বাবা ও উরুগুয়েতে নামসর্বস্ব কোম্পানি গড়ে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে কর ফাঁকি দিয়েছেন, যে অর্থ আয় করেছেন স্পেনে বিভিন্ন স্পন্সরের সঙ্গে চুক্তি করে। শুধু মেসি নন, নিষিদ্ধ সাবেক উয়েফা সভাপতি মিশেল প্লাতিনি ও আরও কিছু ফুটবলারের বিরুদ্ধেও এই অভিযোগ। তবে মেসি বিষয়টাকে সহজভাবে নিচ্ছেন না। প্রায় এক বছর লেগে থেকে মূল খবরটা ফাঁস করেছে আন্তর্জাতিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের একটি জোট, ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে)। তবে স্পেনে খবরটি প্রকাশ করেছে যে পত্রিকা, সেই দৈনিক এল কনফিডেনশিয়ালের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন মেসি। মোসাক ফনসেকার নথি দেখাচ্ছে জুয়ান পেড্রো ডামিয়ানি নামের একজনের একটি আইনী প্রতিষ্ঠান মেসিসহ ২০ ফুটবলারের জন্য কাজ করেছে। এই ডামিয়ানি আবার ফিফার নৈতিকতা কমিটির সদস্য। তিনি কাজ করেছেন ফিফার নিষিদ্ধ সাবেক সহ-সভাপতি ইউজেনিও ফিগেরেডোর সঙ্গে। জুরিখে যে সাত ফিফা কর্তা দুর্নীতির অভিযোগে আটক হয়েছিলেন, তাদের মধ্যে ছিলেন ফিগেরেডোও। এর আগে ২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে মেসির বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ উঠে। ইমেজ স্বত্বসংক্রান্ত বিষয়ে মেসি ও তার বাবা প্রায় ৪৭ লাখ ডলার কর পরিশোধ করেননি। এই অভিযোগে স্প্যানিশ আদালতে মামলাও হয়েছে। সেই মামলা এখনও চলছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মেসির পরিবার বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কর ফাঁকির এই বিষয়টির সঙ্গে সে কোনভাবেই জড়িত না।
×