ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাধীনতা কাপ ফুটবল, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ২-১ আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ

শেখ রাসেলের ঘাম ঝরানো জয়

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ৬ এপ্রিল ২০১৬

শেখ রাসেলের ঘাম ঝরানো জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ একদিকে ট্রেবলজয়ী শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। অন্যদিকে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপের রানার্সআপ দল আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। অভিজ্ঞ বনাম মাঝারি শক্তির দ্বৈরথে জয়ী অভিজ্ঞই। ‘কেএফসি স্বাধীনতা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট’-এ ‘বি’ গ্রুপের খেলায় শেখ রাসেল জিতেছে ঘাম ঝরিয়ে, ২-১ গোলে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত অথচ ম্যাচের প্রথম গোলটি করেছিল আরামবাগই! ফলে তাদের হারকে দুর্ভাগ্যজনকই বলা চলে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো- দুই দলের কোচ হিসেবে যারা ডাগআউটে দাঁড়িয়েছিলেন, তারা উভয়েই ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ। আরামবাগের দায়িত্বে সাইফুল বারী টিটু। আর শেখ রাসেলে মারুফুল হক। লড়াইটা যেমন দুই দলের, তেমনি দুই কোচেরও নিজেদের প্রমাণের। কাগজে-কলমে আরামবাগের চেয়ে এগিয়ে রাসেল। খেলাতেও সেটাই প্রতিফলন ঘটায় রাসেল। তবে আরামবাগ এত সহজে জিততে দেয়নি রাসেলকে। তাদের নাভিশ্বাস উঠিয়ে দিয়েছিল তাদের। ঘরোয়া ফুটবলে সনি নর্দের পর আরেকজন ফুটবলারকে ইথিওপিয়া থেকে উড়িয়ে এনেছে রাসেল, যার নৈপুণ্য দেখার জন্য গাঁটের পয়সা খরচ করে গ্যালারিতে হাজির হওয়া যায়। এখন দর্শকদের বেশ আগ্রহ শেখ রাসেলে নতুন আসা ফরোয়ার্য ফিকরু জেইদাকে নিয়ে। ইন্ডিয়ান সুপার লীগে (আইএসএল) চেন্নাই এফসির হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা আছে ফিকরুর। মঙ্গলবার দলের হয়ে সমতাসূচক গোলটি করেছেন তিনিই। রাসেলের জার্সি গায়ে অভিষেক ম্যাচেই গোল! এর আগে রাসেলের জালে বল পাঠায় আরামবাগ। ম্যাচ শুরুর ৩ মিনিটে ফরোয়ার্ড সাজ্জাদুজ্জামানের থ্রু পাসে রাসেলের ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে বল জালে পাঠান নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড কেস্টার একন (১-০)। তবে সমতায় ফিরতে এক মিনিট সময় নেয় মারুফুল হকের শিষ্যরা। শেখ রাসেলের একটি লং বল ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হয় আরামবাগের রক্ষণভাগ। বল পেয়ে যান ফিকরু। এরপর বুঝে শুনে ঠা-া মাথায় পাঠিয়ে দেন পোস্টে ১-১। ৪৪ মিনিটে বক্সের কাছেই ফ্রিকিক পায় শেখ রাসেল। কিন্তু লেফট ব্যাক ও অধিনায়ক আতিকুর রহমান মিশুর শট বক্সে পড়লে বিপদমুক্ত করেন আরামবাগের ডিফেন্ডাররা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকটায় দুই দলই সমানতালে খেলে। তবে ৮১ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় শেখ রাসেলই। এবারের গোলটাও আরামবাগের রক্ষণেরই উপহার। প্রতিপক্ষের ডিফেন্স থেকে বল পেয়ে ডানপ্রান্ত দিয়ে সোজা পোস্টে বল পাঠান রাসেলের ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড পল এমিল (২-১)। ‘প্রথম ম্যাচ হিসেবে কাজটা খুব সহজ ছিল না। তারপরও সতীর্থরা বেশ পরিশ্রম করে খেলেছে এবং ভাল সাপের্ট দিয়েছে। আশা করি সামনের ম্যাচগুলোতে নিজের উন্নতির প্রমাণ রাখতে পারব।’ ম্যাচ শেষে এভাবেই নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ফিকরু। রাসেলের কোচ মারুফুল হক ফিকরু সম্পর্কে বলেন, ‘এই মাঠে প্রথম ম্যাচ হিসেবে ওর কাছ থেকে এরচেয়ে বেশি আশা করিনি। মাঠে তার রানিং ছিল দেখার মতো। যতটুকু খেলেছে তাতে আমি খুশি।’ মারুফুল আরও যোগ করেন, ‘জামাল ভূঁইয়াকে নিয়েই আমার মূল পরিকল্পনা ছিল। ওকে না পাওয়ায় শুরুতেই আমাদের জন্য ছিল বড় ধাক্কা। যেটা দল সামলে ওটতে পারেনি। তাছাড়া ডিফেন্ডারদেরও কিছু ভুল ছিল। যে সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে আরামবাগ বেশ কয়েকবার আক্রমণ করেছে।’ উল্লেখ্য, ইনজুরির কারণে মিডফিল্ডার জামাল ভূঁইয়া এই ম্যাচে রাসেলের হয়ে মাঠে নামতে পারেননি। গত মৌসমে তিনি খেলেন শেখ জামাল ধানম-ির হয়ে।
×