ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংগঠন ও জনগণের শক্তি এক হলে অসাধ্য সাধন করা যায় ॥ মতিয়া

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ৬ এপ্রিল ২০১৬

সংগঠন ও জনগণের শক্তি এক হলে অসাধ্য সাধন করা যায় ॥ মতিয়া

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ সেনাসমর্থিত এক-এগারোর সরকারের সময় দলীয় কিছু নেতার ভূমিকার প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, সুসময় এলে কাউকে নূড়ি দিয়া ঘুতিয়ে ফেলে দেব, এটা সু-রাজনীতির সঙ্গে যায় না। কারণ কাউকে ছোট করলে আমি বড় হব না। বরং সবাইকে নিয়ে চললেই আমি বড় হব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে নিয়ে চলে সেটা প্রমাণ করেছেন। কারণ সাংগঠনিক শক্তি আর জনগণের শক্তি এক হলে যে কোন অসাধ্য সাধন হয়। মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এক-এগারোর সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তির দাবিতে গণস্বাক্ষর গ্রহণ দিবস উপলক্ষে এ আলোচনাসভার আয়োজন করে সংগঠনটি। এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় চালের দামের উর্ধগতির কথা তুলে ধরে মতিয়া চৌধুরী বলেন, আমরা দেখিয়েছি যে শুধু ডিগ্রী থাকলেই চাল পয়দা করা যায় না। এজন্য লাগে দেশপ্রেম, লাগে সংগঠন আর মানুষের সম্মিলিত শক্তি। ওই সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ওই সময় রাজপথে কোন সংগঠনটি মাঠে ছিল? বিএনপি কি একটি মিছিল করেছে? খালেদা জিয়ার জন্য কি একটা লোক সেøাগান দিয়েছে? বাস্তবে তার (খালেদা জিয়া) জন্য কেউ সেøাগান দেয়নি। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশে করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কই এক-এগারোর সময় আপনার জন্য তো কোন কর্মী গণস্বাক্ষর করেনি। তারা আপনার জন্য তা কখনও করবেও না। গ্রেফতার হওয়ার পরও আপনার দলের কোন কর্মী তো আপনাকে দেখতে যায়নি। জনগণের সঙ্গে থাকবেন না, আর জনগণ আপনার জন্য কাঁদবেÑ এটা হয় না। আজকে দেশের জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পেট ভরে ভাত খায়। বিনা-পয়সায় তাদের ছেলে-মেয়েরা বই পায়। তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সুখে আছে, সমৃদ্ধিতে আছে। বিএনপি-জামায়াত জোটের জ্বালাও-পোড়াও ও পুড়িয়ে মানুষ হত্যার রাজনীতির কঠোর সমালোচনা করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, বিএনপি নেত্রী আজ লেডি লাদেন। আগুন জ্বালানো, বোমা ও গ্রেনেড ফাটানোই তার কাজ। ক্ষমতায় থাকতেও গ্রেনেড মারে, অপজিশনে গিয়েও গ্রেনেড মারে, মানুষকে পুড়িয়ে মারে। লাদেন যেমন পাকিস্তানের এ্যাটোয়াবাদে বসে হামলার পরিকল্পনা করে, ঠিক তেমনি খালেদা জিয়া গুলশানের কার্যালয়ের দোতলায় বসে থাকে আর দেশে একের পর এক রেললাইন উঠানোর নির্দেশ দেন, আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারার নির্দেশ দেন। দেশের জনগণ তার এই ধ্বংসাত্মক রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করেছে। কামাল আহমেদ মজুমদার এমপির সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি এমপি, ত্রাণমন্ত্রী ও নগরের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম এমপি, নগরের নেতা মুকুল চৌধুরী, শেখ বজলুর রহমান, খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওলাদ হোসেন, শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল হক সবুজ।
×