ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

গ্যাস সরবরাহ বন্ধ

অনির্দিষ্টকালের জন্য আশুগঞ্জ সার কারখানার উৎপাদন বন্ধ

প্রকাশিত: ০৪:০২, ৬ এপ্রিল ২০১৬

অনির্দিষ্টকালের জন্য আশুগঞ্জ সার কারখানার উৎপাদন বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়া ॥ গ্যাস সরবরাহ বন্ধের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানা রবিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টাকালের জন্য সার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। এতে প্রতিদিন আড়াই কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ১৪শ’ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদন ব্যাহত হবে। চলতি অর্থবছরে রবিবার সকাল পর্যন্ত কারখানা থেকে ১ লক্ষ ৯০ হাজার মেট্রিকটন সার উৎপাদন করা হয়েছে। তাই বিসিআইসি চলতি অর্থবছরে ২ লক্ষ মেট্রিকটন সার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও গ্যাস সঙ্কটের কারণে কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চলতি অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন কারখানা চালু করতে ৪৮ থেকে ৫২ এমএমসিএফ গ্যাস প্রয়োজন হয়। তবে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে কারখানা চালু হতে আগামী ৬ মাস সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে, দীর্ঘদিন কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকলে বেশিভাগ যন্ত্রাংশই অকেজো হয়ে পড়ে। তাই গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার পর কারখানা চালু করতে গেলে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ অকেজো হয়ে যাওয়ায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়ে উৎপাদন শুরু হতে দীর্ঘ সময় লাগে। আশুগঞ্জ সার কারখানার মহা-ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) ওমর খৈয়াম জানান, গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুত উৎপাদন বৃদ্ধি, বিদ্যুতের সবগুলো কেন্দ্র ও ইউনিটগুলো সচল রেখে সেচ মৌসুমের জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুত সরবরাহের কারণে আশুগঞ্জ সার কারখানাসহ দেশের ৫টি সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সরকারী এ সিদ্ধান্তের ফলে রবিবার সকাল থেকে সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখে পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষ। ফলে কারখানার ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে কারখানায় নিজস্ব সার মজুদ রয়েছে প্রায় ২২ হাজার মেট্রিকটন ও বিদেশ থেকে আমদানিকৃত সার ৬২ হাজার ১৪০ মেট্রিকটন। তবে কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে সার মজুদ থাকায় সার সঙ্কটের কোন আশঙ্কা নেই।
×