ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধী বিচার

মহিবুর, মুজিবর ও রাজ্জাকের পক্ষে সাফাই সাক্ষী শুরু

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ৫ এপ্রিল ২০১৬

মহিবুর, মুজিবর ও রাজ্জাকের পক্ষে সাফাই সাক্ষী শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে হবিগঞ্জের দুই সহোদর মহিবুর রহমান বড় মিয়া ও মুজিবুর রহমান আঙ্গুর মিয়া এবং তাদের চাচাতো ভাই আব্দুর রাজ্জাকের পক্ষে সাফাই সাক্ষী শুরু হয়েছে। সোমবার সাফাই সাক্ষী প্রদান করেন খোরশেদ আলম ও হারু মিয়া। পরবর্তী সাক্ষীর জন্য ৭ এপ্রিল দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার রেজাউল করিম ওরফে আক্কাসসহ আটজনের বিরুদ্ধে অগ্রগতি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে প্রসিকিউশন। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৫ মে দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে দুই সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সোমবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। হবিগঞ্জের তিন রাজাকারের পক্ষে সাফাই সাক্ষী শুরু হয়েছে। এর আগে প্রসিকিউশনের সাক্ষীগণ তাদের জবানবন্দী প্রদান করেছেন। বড় মিয়া ও আঙ্গুর মিয়া উভয়ের বিরুদ্ধে হত্যা, আটক, অপহরণ, অগ্নিসংযোগ, নির্যাতন ও ধর্ষণসহ ৪টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। ২০১৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় মহিবুর রহমান বড় মিয়া ও মুজিবুর রহমান আঙ্গুর মিয়া এলাকায় রাজাকার বাহিনী গড়ে তোলেন। এদের মধ্যে বড় ভাই ছিলেন শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ও ছোট ভাই ছিলেন রাজাকার কমান্ডার। অভিযোগে বলা হয়, একাত্তর সালের ১১ নবেম্বর বানিয়াচং উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তারা মুক্তিযোদ্ধা আকল আলী ও রজব আলীকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলে। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের উপ-সর্বাধিনায়ক মরহুম মেজর জেনারেল এম এ রবের বাড়িতে পাক বাহিনীর সহযোগিতায় হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ করে টাকা-পয়সা, স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যাওয়াসহ ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। একই তারিখে বানিয়াচং উপজেলাধীন খাগাউড়া এলাকার উত্তর পাড়ায় তাদের সহযোগিতায় পাক বাহিনী মঞ্জব আলীর স্ত্রী ও আওলাদ ওরফে আহলাদ মিয়ার ছোট বোনকে ধর্ষণ করে। পরে আহলাদ মিয়ার বোন বিষপানে আত্মহত্যা করে।
×