ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

৩০ এপ্রিলের মধ্যে খেলোয়াড় ফেরত দেয়ার আল্টিমেটাম ;###;আট খেলোয়াড়কে ক্লাবে ফিরে আসার আহ্বান

বাফুফেকে এক হাত মনজুর কাদেরের

প্রকাশিত: ০৪:৪২, ৫ এপ্রিল ২০১৬

বাফুফেকে এক হাত মনজুর কাদেরের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘ফুটবল ফেডারেশনের অব্যাহত দুর্নীতির প্রতিবাদ করেও যখন কান কাজ হচ্ছিল না, তখন আমরা বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। সেটা নিজেদের আট ফুটবলার ফিরে পাওয়া নিয়ে। আজ সর্বোচ্চ আদালত আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ শেষ হওয়ার পর খেলোয়াড়রা মোটেও ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এ ছিল না। ওই আট ফুটবলারের উদ্দেশে আবেদন আদালতের নির্দেশ মেনে আমার ঘরে ফিরে আস। আর বাফুফের অসাধু কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলব, যথাসময়ে আমার খেলোয়াড়দের ফিরিয়ে দিয়ে এ দেশের ফুটবলকে বাঁচাও এবং আগামী ৩০ এপ্রিল নির্বাচনের আগে তোমরা বাফুফে ছেড়ে চলে যাও।’ কথাগুলো মনজুর কাদেরের। সোমবার স্বাধীনতা কাপ ফুটবলে অংশ নেয় শেখ জামাল ধানম-ি। খেলা শুরুর কিছুক্ষণ আগে হঠাৎই কাদের একটি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন। সেখানেই তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য, গত বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে অংশ নেয় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। সে দলের সিংহভাগ ফুটবলারই ছিলেন শেখ জামালের। বাফুফে শেখ জামালের কাছ থেকে এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে আট খেলোয়াড় ক্যাম্পে নিয়ে যায়- বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ শেষ হওয়া মাত্রই ওই খেলোয়াড়দের আবারও শেখ জামালে ফিরিয়ে দেয়া হবে। কিন্তু বিস্ময়করভাবে সেই ওয়াদার বরখেলাপ করে দেশীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। তাদের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে-মদদে ওই আট ফুটবলারকে উঠিয়ে দেয়া হয় তিন ক্লাবের (চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড, ঢাকা আবাহনী লিমিটেড এবং শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেড) গাড়িতে। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে শেখ জামাল। ওই আট ফুটবলার না পেয়ে স্বভাবতই দুর্বল হয়ে পড়ে শেখ জামাল। এর প্রভাব পড়ে এএফসি কাপের খেলাতেও। মালয়েশিয়ান ক্লাব সেলানগোরের কাছে ৪-৩ গোলে হেরে যায় তারা। এজন্য সরাসরি বাফুফেকে দোষারোপ করেন কাদের। কাদের আরও জানান, ইতোমধ্যেই ফিফার কাছে বাফুফের ১০০ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়মের সব প্রমাণাদি উপস্থাপন করা হয়েছে। বাঁচতে চাইলে বাফুফের কর্মকর্তাদের আগেভাগেই পদত্যাগ করার পরামর্শ দেন তিনি। বাফুফে শেখ জামালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেÑ শেখ জামাল না কি এএফসি-ফিফার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এই অভিযোগ দৃঢ়ভাবে নাকচ করে দেন কাদের। এছাড়া তিনি বাফুফের রহসজনকভাবে চট্টগ্রাম গিয়ে ইজিএম করা, অবৈধ আর্থিক অনিয়মকে বৈধ করারও সমালোচনা করেন। সরে দাঁড়ালেন ওয়াকার স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন ওয়াকার ইউনুস। এশিয়া কাপ ও টি২০ বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর সোমবার এ সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ওয়াকার বলেন, ‘আমি পাকিস্তানের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি।’ চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগেই এ ঘোষণা দিলেন সাবেক এই গতি তারকা। ২০১০-২০১১ মৌসুমের পর ২০১৪ সালে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের কোচ হন ৪৪ বছর বয়সী ওয়াকার। সর্বোপরি টেস্টে এবং শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্ট-ওয়ানডেতে ভাল করলেও সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড সফর, এশিয়া কাপ এবং সদ্যসমাপ্ত টি২০ বিশ্বকাপে পুরোপুরি ব্যর্থ হয় ওয়ানডে ও টি২০ দল। দায় মাথা পেতে নিয়ে দুই দিন আগে টি২০’র নেতৃত্ব ছাড়েন শহীদ আফ্রিদি। ধারণা করা হচ্ছে উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান সরফরাজ আহমেদ তার স্থলাভিষিক্ত হবেন। আর মহসিন খান অথবা আকিব জাভেদকে কোচ করা হতে পারে বলে স্থানীয় মিডিয়ায় গুঞ্জন। দায় স্বীকার না করলেও টি২০ বিশ্বকাপ শেষে দেশে ফিরে সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চান ওয়াকার, ‘আক্ষরিক অর্থেই আমি হাত কড়জোড় করছি এবং ব্যর্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি।
×