ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

অর্থ পাচারকারীর তালিকায় লিওনেল মেসি

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ৫ এপ্রিল ২০১৬

অর্থ পাচারকারীর তালিকায় লিওনেল মেসি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বেশ বেকায়দায় আছেন লিওনেল মেসি। বার্সিলোনায় কর ফাঁকি মামলা নিয়ে এমনিতই ঝামেলায় আছেন। দিনকয়েক আগে মিসরে যেয়ে অপমানিত হয়েছেন জুতো দানকে কেন্দ্র করে। এবার অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে বার্সিলোনার আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের বিরুদ্ধে! অর্থ পাচার সংশ্লিষ্ট কোম্পানি মোসাক ফোনসেকার ১ কোটি ১০ লাখ নথি ফাঁস হওয়ার ঘটনায় বিশ্বের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি তার কোন কোন মক্কেলের অর্থ পাচার এবং কর ফাঁকিতে সহায়তা করেছে তার বিস্তারিত আছে ওই ফাঁস হওয়া নথিগুলোতে। ফাঁস হওয়া নথিতে আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিগমুন্ডুর নাম থাকায় তার পদত্যাগের দাবিও উঠেছে ইতোমধ্যে। কিন্তু হতবাক করা বিষয় হলো, শুধু রাজনৈতিক ব্যক্তিরাই নয়, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব কিংবা বিশ্ব জুড়ে আলোড়ন তোলা খেলোয়াড়দেরও নাম আছে এই নথিতে। মোসাক ফোনসেকার ফাঁস হওয়া নথি অনুযায়ী, মেসির নামে মেগাস্টার এন্টারপ্রাইজ নামে একটি শেল কোম্পানি আছে। বার্সিলোনায় খেলতে যাওয়ার আগে মেসির সম্পদ নিয়ে স্পেনের তদন্তকারী দল তদন্ত করেছিল। কিন্তু সে সময় মেসি এই প্রতিষ্ঠানটির কথা উল্লেখ করেননি। কিন্তু নথি ফাঁস হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, মেসি তার বিপুল পরিমাণ অর্থ অতিরিক্ত করের কারণে দেশে রাখতে না পারায় মোসাক ফোনসেকা কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হন বিদেশে কোম্পানি খোলার মাধ্যমে। ফুটবলার মেসি ছাড়াও এই তালিকায় আছে বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব জ্যাকি চ্যান, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মৌরিসিও মাকরি, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো, সৌদি আরবের বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ বিন আবদুল রহমান আল সাউদ, চীনা প্রেসিডেন্টের পরিবারসহ ফোর্বেসের তালিকায় থাকা ২৯ জন বিলিওনারেরও নাম রয়েছে এই তালিকায়। ব্রিটিশ রাজনীতিবিদদের মধ্যে আছেন লর্ড এ্যাশক্রফট, ব্যারনেস পামেলা শার্পেলস এবং টরি এমপি মাইকেল ম্যাটস। জার্মান মিডিয়া জুটুয়েটসে সাইতং’এ নামবিহীন এক সূত্র থেকে এই নথিগুলো আসে। এ বিষয়ে মোসাক ফোনসেকার প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্য একজন র‌্যামন ফোনসেকা জানান, এই নথি প্রকাশ একটা অপরাধ এবং পানামার ওপর এটা একটা আঘাত। কিছু দেশ সহ্য করতে পারছিল না আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য। ২০১৩ সালে প্রায় ৪৭ লাখ ডলার কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছিল মেসি ও তার বাবা জর্জের বিরুদ্ধে। এজন্য আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেও হয়েছিল মেসিকে। এরপর আগে মামলা থেকে মেসির নাম বাদ দেয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন তার বাবা ও আইনজীবীরা। এরপর শোনা গিয়েছিল, মেসিকে রেহাই দেয়া হয়েছে কর ফাঁকির মামলা থেকে। কিন্তু সেটা হয়নি। এখনও মামলা নিয়ে ঝামেলায় আছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। এসব কারণে ধারণা করা হয়ে থাকে, হয়ত স্পেন ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যেতে পারেন বর্তমান ফিফা সেরা তারকা। তবে মেসি ও জর্জে শুরু থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। এবার আরেক ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছে মেসির নাম। এখন কি হয় সেটাই দেখার!
×