ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় নির্বাচনোত্তর সংঘর্ষে আহত যুবলীগকর্মীর মৃত্যু ॥ ১৪৪ ধারা

প্রকাশিত: ০৬:০০, ৪ এপ্রিল ২০১৬

বগুড়ায় নির্বাচনোত্তর সংঘর্ষে আহত যুবলীগকর্মীর মৃত্যু ॥ ১৪৪ ধারা

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ সোনাতলার দিগদাইর ইউনিয়নের পাঠানপাড়া গ্রামে নির্বাচনোত্তর সংঘর্ষে আহত ২০ জনের একজন রবিবার ভোরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে মারা গেছেন। তার নাম লিটন মিয়া (২৬)। তিনি যুবলীগের সদস্য। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ওই গ্রামে ১৪৪ ধারা জারি ছিল। সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ হাবিবুর রহমান বিকেলে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে অবস্থার অবনতি হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। লাশ দাফনের পর ফের সংঘর্ষের শঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় সূত্র মতে, এই ইউনিয়নে নির্বাচনের পর ১নং ওয়ার্ডের বিজয়ী সাধারণ সদস্য আব্দুস সামাদ ও পরাজিত সাধারণ সদস্য সেলিম হোসেনের মধ্যে পারবাইশা সরকারী বিলের জমির দখল নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। কিছুদিন আগে ওই বিলে ধানের চারা রোপণ করে পরাজিত প্রার্থী সেলিম হোসেন। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর শনিবার বিকেলে আব্দুস সামাদ তার লোকজন লাঠিসোটা, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রোপণকৃত ধান কাটতে যায়। পরাজিত প্রার্থী সেলিম হোসেনের লোকজনও লাঠিসোটা নিয়ে বাধা দেয়। উভয়পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, হামলা, ঘরবাড়ি ভাংচুর শুরু হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই গ্রামে শনিবার বিকেল থেকে রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। সকালে শজিমেক হাসপাতালে এলাকার লোকজন লিটন মিয়ার লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করলে পুলিশী হস্তক্ষেপে মিছিল বন্ধ হয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেয়া হয়। আওয়ামী লীগের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী গ্রেফতার ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা মানিকগঞ্জ থেকে জানান, ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের চেষ্টা, সরকারী কাজে বাধা এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে দৌলতপুরের খলসি ইউনিয়নের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আনোয়ার হোসেন বর্তমান চেয়ারম্যান এবং এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মানিকগঞ্জ শহরের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ৩১ মার্চ দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে তিনি খলসি ইউনিয়ন থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত। মুন্সীগঞ্জে ২০ জন আহত ॥ স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, মুন্সীগঞ্জে নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় ২০ জন আহত হয়েছে। শনিবার রাতে শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়নের জয়ী বিএনপি প্রার্থী মোঃ রতন মিয়ার কর্মী আনোয়ার তালুকদারের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। রতন মিয়া অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ কর্মীরা চঞ্চল (৩০) নামে তার এক কর্মীকে মারধর করে পানিতে ফেলে দেয়। চঞ্চলকে ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে বাড়ৈখালী ইউনিয়নের বিজয়ী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সেলিম তালুকদার ও পরাজিত প্রার্থী আওয়ামী লীগের ইকবাল হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে দু’গ্রুপের ১১ জন আহত হয়। একই দিন তন্তর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাকির হোসেন ও বিদ্রোহী প্রার্থী আলী আকবরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে সাতজন আহত হয়। কুষ্টিয়ায় এসআইসহ পাঁচ পুলিশ আহত ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা দৌলতপুর থেকে জানান, কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের বেধড়ক মারপিট করেছে। এ ঘটনায় এক এসআইসহ ৫ পুলিশ আহত হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ধর্মদহ বাজারে পুলিশের ওপর হামলার এ ঘটনা ঘটে।
×