ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যুদ্ধাপরাধী বিচার

শরীয়তপুরের রাজাকার সোলায়মান ও ইদ্রিসের চার্জের শুনানি ১৯ এপ্রিল

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৪ এপ্রিল ২০১৬

শরীয়তপুরের রাজাকার সোলায়মান ও ইদ্রিসের চার্জের শুনানি ১৯ এপ্রিল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চার অভিযোগে শরীয়তপুরের দুই রাজাকার সোলায়মান মোল্লা (৮৪) ও ইদ্রিস আলী সরদার ওরফে গাজী ইদ্রিসের (৬৭) বিরুদ্ধে চার্জের ওপর শুনানি ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে দুই সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ রবিবার এ আদেশ প্রদান করেছে। আসামিপক্ষের সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল এ দিন নির্ধারণ করেছে। এ সময় প্রসিকিউশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর হৃষিকেশ সাহা। শরীয়তপুরের দুই রাজাকার হলো- জেলার পালং উপজেলার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিপুর মুসলিমপাড়ার মরহুম চাঁন মোল্লার ছেলে সোলায়মান মোল্লা (৮৪) ও একই থানার মাহমুদপুরের মরহুম হামিদ আলী সরদারের ছেলে ইদ্রিস আলী সরদার ওরফে গাজী ইদ্রিস (৬৭)। তাদের মধ্যে গত ১৫ জুন সোলায়মান মোল্লাকে আটক করে ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। ইদ্রিস আলী এখনও পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়ায় মামলায় ২৮ জনকে সাক্ষী ও সিজার লিস্টে আরও ৩ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। এতে সাত খ-ে ৮৫২ পাতার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে দাখিল করে তদন্ত সংস্থা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৯৭১ সালের ২২ মে আসামিরা দখলদার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১০০ থেকে দেড় শ’ সদস্যসহ শরীয়তপুর জেলার পালং থানা এলাকায় কয়েকটি গ্রামে হামলা চালিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কৃষক আব্দুস সামাদসহ প্রায় ২০০ হিন্দুকে গুলি করে হত্যা করে ও বাড়ির মালামাল লুট করে। ২৬ মে, ১৯৭১ সালে পালং থানার মালোপাড়া ও রুদ্রকর গ্রামে হামলা চালিয়ে মঠের পুরোহিতকে গুলে করে হত্যা করে ও গ্রামগুলো থেকে মালামাল লুট ও আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। মালোপাড়া থেকে ৩০-৪৫ মহিলা ও পুরুষকে ধরে মাদারীপুর পাকিস্তান আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে ৩ দিন আটকে রেখে মহিলাদের ধর্ষণ করে ছেড়ে দেয়। পুরুষদের গুি
×