ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চুয়াডাঙ্গায় ক্রেতা নেই ওএমএস দোকানে

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ৪ এপ্রিল ২০১৬

চুয়াডাঙ্গায় ক্রেতা নেই ওএমএস দোকানে

নিজস্ব সংবাদদাতা, চুয়াডাঙ্গা, ৩ এপ্রিল ॥ হতদরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষের সুবিধার জন্য সরকার খোলা বাজারে চাল ও আটা (ওএমএস) বিক্রি শুরু করলেও চুয়াডাঙ্গায় প্রচারের অভাবে ভেস্তে যেতে বসেছে। তিন বছর পূর্বেও ওএমএসের চাল-আটা কেনার জন্য মানুষ ভোর রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকত। এখন আর সে দৃশ্য চোখে পড়ে না। খাদ্য কর্মকর্তারা ও ডিলাররা বলেছেন মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হওয়ায় মোটা চালের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ কম। তবে অনেকের অভিযোগ খাদ্য অধিদপ্তরের তদারকি না থাকায় ডিলাররা নামকাওয়াস্তে কিছু চাল আটা খোলাবাজারে বিক্রি করে বাকি চাল-আটা পাইকারী আড়তে বিক্রি করছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, জেলার চার উপজেলায় ২৮ জন ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে চাল-আটা বিক্রি করা হচ্ছে। সপ্তাহের শনিবার বাদে প্রতিদিন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ৯ ডিলার এক মেট্রিক টন চাল ও এক মেট্রিক টন আটার বরাদ্দ পায়। এছাড়া আলমডাঙ্গা, দামুড়হুদা, দর্শনা ও জীবননগরে ১৯ জন এক মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ পায়। জনপ্রতি ৫ কেজি চাল ও ৫ কেজি আটা দেয়ার নিয়ম রয়েছে। গত ১৩ মার্চ সরকার চাল ও আটার মূল্য পুনর্নির্ধারণ করে। পূর্বে প্রতিকেজি চালের মূল্য ২০ টাকা এবং আটার মূল্য ১৯ টাকা ছিল। বর্তমানে তা কমিয়ে ১৫ ও ১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে খাদ্যশস্য সংগ্রহ অভিযানের সময় সরকার এ চাল ৩২ টাকা ও গম ২৮ টাকা মূল্যে ক্রয় করে।
×