ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ॥ হুমকিতে তিস্তা ব্যারাজ

প্রকাশিত: ০৩:৫৩, ৪ এপ্রিল ২০১৬

অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ॥ হুমকিতে তিস্তা ব্যারাজ

তাহমিন হক ববী, নীলফামারী ॥ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দেশের সর্ব বৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ কমান্ড এলাকা ও নদীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে বোমা মেশিন বসিয়ে মাটির তলদেশ থেকে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। অবৈধভাবে একাধারে শতাধিক বোমা মেশিন বসিয়ে পাথর উত্তোলন শুরু হওয়ায় তিস্তা ব্যারাজ ও নদী সংরক্ষণে নির্মিত কোটি কোটি টাকার অবকাঠামো হুমকির মুখে পড়েছে। এ ছাড়া তিস্তার ডান তীরের প্রধান বাঁধ ভেঙ্গে পড়ছে। এলাকাবাসী অভিযোগ করে, স্থানীয় এমপির জামাই প্রভাবশালী কামরুল ইসলামসহ আতাউর রহমান ওরফে আতা মাস্টার, জাহাঙ্গীর, শামীম ও কথিত সাংবাদিক মাজেদ পাটোয়ারী ডিমলা থানার ওসি রুহুল আমিন খানকে ম্যানেজ করে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনে সরাসরি নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রতি বোমা মেশিনের জন্য প্রতিদিন আদায় করা হয় ১৫ হাজার করে টাকা। যার সিংহভাগ ডিমলা থানা পুলিশকে প্রদান করা হয়ে থাকে। সূত্রমতে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টের ছোটখাতা, কাকিনা, খালিশাচাপানী, গয়াবাড়ি, সঠিবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, দাহলপাড়া, পাগলপাড়া, খগাখড়িবাড়ি, দক্ষিণ ও উত্তর খড়িবাড়ি, তিস্তার বাজার এলাকা ও তিস্তা ব্যারাজের উজানের তিস্তা নদীর মাঝে শতাধিক বোমা মেশিন স্থাপন করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোমা মেশিন মালিক জানায়, ২৪ ঘণ্টায় প্রতি মেশিনে ডিমলা থানার ওসিকে ১০ হাজার করে টাকা গুনে দিতে হয়। ডিমলা উপজেলা প্রশাসনের সহকারী ভূমি কমিশনারের পক্ষে ইতোমধ্যে ১৩ বোমা মেশিন মালিকের বিরুদ্ধে ডিমলা থানায় মামলা হলেও পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়নি। এমনকি মামলার আসামিরা বর্তমানে পাথর উত্তোলন অব্যাহত রাখলেও ডিমলা থানা পুলিশ তাদের খুঁজে পায় না! রবিবার ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন আগের ১৩ মামলার পাশাপাশি আরও ১০ বোমা মেশিন মালিকের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কাল-পরশুর মধ্যে ওই মামলা দায়ের করা হবে। ডিমলা থানা ওসি রুহুল আমিন খান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন একটি মহল তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
×